পুলিশকে অত্যন্ত সতর্ক থাকার নির্দেশ
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস (১৪ ডিসেম্বর) ও মহান বিজয় দিবস (১৬ ডিসেম্বর) সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পুলিশকে অত্যন্ত সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে সম্মেলন কক্ষে সমন্বয় সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) মো. সরওয়ার।।জাতীয় দিবস দুটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনে এবং জাতীয় কর্মসূচিগুলো সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. সরওয়ার বলেন, সবাইকে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে। রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে জনবল মোতায়নে কোনো বিলম্ব করা যাবে না। সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার মধ্যে সমন্বয় রাখতে হবে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ দুটি গুরুত্বপূর্ণ দিবসকে কেন্দ্র করে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেবে।অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, আশা করি সবার সহযোগিতায় দিবস দুটি নির্বিঘ্নে উদ্যাপিত হবে। সবাইকে যথাযথভাবে নিজ নিজ পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে গুজব বা ভুয়া সংবাদ ছড়িয়ে জনমনে যেন বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।সমন্বয় সভার শুরুতে ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস্) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে আসন্ন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গৃহীত সার্বিক নিরাপত্তা পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন।এফএস
জাপানে শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর সুনামির আঘাত
জাপানের উত্তরের হোক্কাইডো অঞ্চলে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর সুনামি আঘাত হেনেছে। সোমবার স্থানীয় সময় রাত সোয়া ১১টার পর উপকূলীয় এলাকায় এই সুনামি আঘাত হেনেছে বলে দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাপানের হোক্কাইডো অঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর ৪০ সেন্টিমিটার উচ্চতার সুনামি আঘাত হেনেছে। এর আগে, জাপানের আবহাওয়া সংস্থা (জেএমএ) বলেছে, জাপানের উত্তরাঞ্চলীয় মিসাওয়া শহর থেকে ৭৩ কিলোমিটার পূর্ব-উত্তর-পূর্ব দিকে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস বলেছে, স্থানীয় সময় রাত ১১টা ১৫ মিনিট ১১ সেকেন্ডে আঘাত হানা ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ওই ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়েছে ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫৩ দশমিক ১ কিলোমিটার ভূগর্ভে।ভূমিকম্পের পর দেশটির হোক্কাইডো, আওমোরি ও ইওয়াতে প্রিফেকচারের প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলজুড়ে উচ্চমাত্রার সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। জেএমএ বলেছে, ভূমিকম্পের পর দেশটির উপকূলীয় এলাকায় ৪০ সেন্টিমিটার উচ্চতার সুনামি আঘাত হেনেছে।সংস্থাটি সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্পের পর জাপানের প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে তিন মিটার (১০ ফুট) পর্যন্ত সুনামি আঘাত হানতে পারে।দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম এনএইচকে বলেছে, স্থানীয় সময় রাত ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে আওমোরি থেকে ইওয়া পর্যন্ত বন্দর এলাকায় সুনামির আঘাত শুরু হতে পারে।তবে ভূমিকম্পে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে এই সংবাদমাধ্যম।সূত্র: এএফপি, এনএইচকেএবি
জাতীয়
সব দেখুন
বিজয় দিবসে টিকিট ছাড়াই ঘুরে দেখা যাবে জাদুঘর
রাজধানীসহ সারা দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি অথবা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার জাদুঘরে আগামী ১৬ ডিসেম্বর সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিনা টিকিটে জনসাধারণ প্রবেশ করতে পারবে।পাশাপাশি দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি বিনোদনমূলক স্থান শিশুদের জন্য সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উন্মুক্ত রাখা ও বিনা টিকেটে প্রবেশের ব্যবস্থা থাকবে।মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে সোমবার বিকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বিষয়টি জানানো হয়েছে।পোস্টে জানানো হয়, ঢাকাসহ সারা দেশের সিনেমা হলগুলোতে ছাত্র-ছাত্রীদের বিনা টিকিটে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনী এবং মিলনায়তন ও উন্মুক্ত স্থানে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে। এ ছাড়া, দেশের সকল হাসপাতাল, জেলখানা, বৃদ্ধাশ্রম, এতিমখানা, পথশিশু পুনর্বাসন কেন্দ্র, প্রতিবন্ধি কল্যাণ কেন্দ্র, ডে কেয়ার ও শিশু বিকাশ কেন্দ্র এবং শিশু পরিবার ও ভবঘুরে প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রীতিভোজের আয়োজন থাকবে। এনআই
খান সারওয়ার মুরশিদের মৃত্যুবার্ষিকী আজ
দেশবরেণ্য শিক্ষাবিদ, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও বাঙালি জাতীয়তাবাদের উত্থানপর্বের বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক খান সারওয়ার মুরশিদের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ।ত্রয়োদশ মৃত্যুবার্ষিকীর এ দিনে সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তার বাবার কবর জিয়ারত করেন।উপদেষ্টা সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, দোয়া ও মোনাজাত করেন। পাশাপাশি দুস্থ শিশুদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।এনআই
বিশ্বরেকর্ড গড়ার প্রত্যয়ে বিজয় দিবসে সর্বাধিক পতাকা হাতে প্যারাস্যুটিং
মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে অন্যান্য আয়োজনের পাশাপাশি এবার সর্বাধিক পতাকা উড়িয়ে প্যারাস্যুটিং করে বিশ্বরেকর্ড গড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনীর যৌথ উদ্যোগে স্বাধীনতার ৫৪ বছর উদযাপনে ৫৪ জন প্যারাট্রুপার পতাকা হাতে স্কাইডাইভিং করবেন। এটিই হবে বিশ্বের বুকে সর্বাধিক পতাকা হাতে প্যারাস্যুটিং, যা গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়বে। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) ‘মহান বিজয় দিবস ২০২৫’ উদযাপন উপলক্ষে বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় আলোচকরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ব্যাপক আকারে বিশেষ বিশেষ কর্মসূচির প্রস্তুতির বিষয়ে আলোচনা করেন।বিজয় দিবসের দিন বেলা ১১টা থেকে ঢাকার তেজগাঁওয়ে পুরাতন বিমানবন্দরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী পৃথকভাবে ফ্লাইপাস্ট মহড়া পরিচালনা করবে। চলবে বিজয় দিবসের বিশেষ ব্যান্ড-শো। বেলা ১১টা ৪০ মিনিট থেকে ‘টিম বাংলাদেশ’-এর ৫৪ জন প্যারাট্রুপার স্বাধীনতার ৫৪ বছর উদযাপনে পতাকা হাতে প্যারাস্যুটিং করবেন। জনসাধারণের জন্য এই বিশেষ আয়োজন উন্মুক্ত থাকবে। পাশাপাশি, দেশের অন্যান্য শহরেও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী ফ্লাইপাস্ট মহড়া পরিচালনা করবে। সারাদেশে সশস্ত্র বাহিনীর পাশাপাশি পুলিশ বাহিনী, বিজিবি, আনসার বাহিনী ব্যান্ড-শোয়ের আয়োজন করবে। প্রতিটি আয়োজন জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে গত বছরের মতো এবারও দেশের সব জেলা-উপজেলায় তিন দিনব্যাপী বিজয়মেলা অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে শিশুদের অংশগ্রহণে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক রচনা, আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করবে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়।অন্যদিকে, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ১৫ ডিসেম্বর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিকেল ৩টায় আ্যাক্রোবেটিক শো ও সন্ধ্যা ৬টায় যাত্রাপালা ‘জেনারেল ওসমানী’ অনুষ্ঠিত হবে। ১৬ ডিসেম্বর বিকেল ৩টা থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পরিবেশিত হবে বিজয় দিবসের গান। পাশাপাশি, সারাদেশের ৬৪ জেলায় একযোগে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গান পরিবেশন করবেন নতুন প্রজন্মের শিল্পীরা।আজকের বৈঠকে মহান বিজয় দিবস উদযাপনের প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা শেষে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম। তিনি বলেন, বিজয় দিবস বাংলাদেশের গৌরবময় দিন। এবছর বিজয়ের উদযাপনে ধর্ম, বর্ণ, বয়স, জাতি, শ্রেণি নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ব্যাপাক আকারে প্রস্তুতি চলছে। এবার পুরো জাতি একসঙ্গে বিজয়ের উৎসবে অংশ নেবে।সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে অনুপ্রেরণাদায়ী বেশির ভাগ গানই ছিল স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ের। আমি নিশ্চিত এটা অরগানিকভাবেই হয়েছে। এটাই বলে দেয় এই প্রজন্মের কাছে দেশ, দেশের অস্তিত্ব কতটা গুরুত্বপূর্ণ। এবারের বিজয় দিবসে দেশব্যাপী বিজয় মেলা, এই প্রজন্মের শিল্পীদের কণ্ঠে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গান, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যাত্রাপালা ‘জেনারেল ওসমানী’, কনসার্ট, এবং পুরাতন এয়ারপোর্টে এয়ার শো এবং ৫৪টা পতাকা নিয়ে ৫৪জন প্যারাট্রুপারের জাম্প—এসব মিলিয়ে নতুন প্রজন্ম এক স্মরণীয় বিজয় দিবস উদযাপন করতে যাচ্ছে। আশা করছি, এবারের বিজয় উদযাপন অতীতের সব উদযাপনকে ছাড়িয়ে যাবে।দিবসটি উপলক্ষে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে তথ্য মন্ত্রণালয়। বিধি অনুযায়ী, এদিন সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবন, বিদেশে অবস্থানরত দূতাবাস ও মিশনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং বিভিন্ন ভবন ও স্থাপনায় আলোকসজ্জা হবে। প্রতিবছরের মতো এবারেও একত্রিশবার তোপধ্বনি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বিশেষ অনুষ্ঠান, জেলা-উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া, চট্টগ্রাম, খুলনা, মংলা ও পায়রা বন্দর, ঢাকার সদরঘাট, পাগলা ও বরিশালসহ বিআইডাব্লিউটিসি এর ঘাটে বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী ও বাংলাদেশ কোস্টগার্ড একক বা যৌথভাবে জাহাজসমূহ সকাল ৯টা থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত জনসাধারণের দর্শনের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। ঢাকাসহ সারাদেশের সিনেমা হলগুলোতে ছাত্র-ছাত্রীদের বিনা টিকেটে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনী এবং মিলনায়তন ও উন্মুক্ত স্থানে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে। সরকারি, সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার জাদুঘরগুলোতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিনা টিকিটে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে। দেশের সকল সরকারি ও বেসরকারি বিনোদনমূলক স্থান শিশুদের জন্য সকাল-সন্ধ্যা উন্মুক্ত রাখা ও বিনাটিকেটে প্রবেশের ব্যবস্থা থাকবে। সারাদেশে মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সুস্বাস্থ্য কামনা করে বিশেষ মোনাজাত-প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে। দেশের সকল হাসপাতাল, জেলখানা, বৃদ্ধাশ্রম, এতিমখানা, পথশিশু পুনর্বাসন কেন্দ্র, প্রতিবন্ধী কল্যাণ কেন্দ্র, ডে-কেয়ার ও শিশু বিকাশকেন্দ্র এবং শিশু পরিবার ও ভবঘুরে প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রীতিভোজের আয়োজন থাকবে।সভায় অংশ নেন মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজমের সভাপতিত্বে সভায় অংশ নেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজউদ্দিন মিয়া, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গণি, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হক, প্রিন্সিপাল অফিস স্টাফ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ। এবি
ইসির নিবন্ধন পেল ৮১ পর্যবেক্ষক সংস্থা
আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে চূড়ান্তভাবে ৮১টি দেশীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষককে নিবন্ধন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সোমবার (০৮ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ শাখা থেকে এ তথ্য জানানো হয়।গত ২৮ সেপ্টেম্বর, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য ৭৩টি স্থানীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রাথমিক তালিকা নির্ধারণপূর্বক গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এই সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে যেকোনো দাবি, আপত্তি বা অভিযোগ ২০ অক্টোবরের মধ্যে নির্বাচন কমিশন সচিবের কাছে লিখিতভাবে জমা দিতে বলা হয় এবং অভিযোগের স্বপক্ষে সহায়ক প্রমাণও জমা দিতে হবে বলে জানায় সংস্থাটি।দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তি শেষে প্রথম ধাপে ৬৬ দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থাকে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে ইসি। এই ৬৬ পর্যবেক্ষক সংস্থাকে চলতি বছরের ৬ নভেম্বর থেকে ২০৩০ সালের ৫ নভেম্বর পর্যন্ত ইসির নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, দ্বিতীয় ধাপে যাচাই-বাছাই করে ১৫ পর্যবেক্ষক সংস্থাকে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এই ১৫ সংস্থাকে চলতি বছরের ৪ ডিসেম্বর থেকে ২০৩০ সালের ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট পাঁচ বছরের জন্য নিবন্ধন দেওয়া হলো। ইসি বলছে, বিগত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে নিবন্ধিত ৯৬টি স্থানীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন ‘নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা ২০২৫’-এর ধারা ১৬ মোতাবেক স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়েছে।প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে পর্যবেক্ষক নিবন্ধন প্রথা শুরু করে ইসি। সেই সময় ১৩৮টি সংস্থা নিবন্ধন পেয়েছিল। ওই নির্বাচনে দেশি পর্যবেক্ষক ছিল এক লাখ ৫৯ হাজার ১১৩ জন। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ২০১৪ সালে ৩৫টি সংস্থার ৮ হাজার ৮৭৪ জন পর্যবেক্ষক ভোট দেখেছেন।২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১১৮টি নিবন্ধিত সংস্থার মধ্যে ৮১টি দেশি সংস্থার ২৫ হাজার ৯০০ জন পর্যবেক্ষক ভোট পর্যবেক্ষণ করেন। সর্বশেষ ২০২৪ সালের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ৯৬টি নিবন্ধিত সংস্থার মধ্যে ৮০টির মতো সংস্থার ২০ হাজার ২৫৬ জন ভোট আয়োজন দেখেছেন।এমআর-২
বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবসে পুলিশকে সতর্ক থাকার নির্দেশ
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনে জাতীয় কর্মসূচিগুলো সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।এ দুটি জাতীয় দিবসে পুলিশের সবাইকে অত্যন্ত সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) মো. সরওয়ার।সোমবার (০৮ ডিসেম্বর) ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে সম্মেলন কক্ষে সমন্বয় সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন।অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) মো. সরওয়ার জানান, সবাইকে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে। রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে জনবল মোতায়েনে কোনো বিলম্ব করা যাবে না। সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার মধ্যে সমন্বয় রাখতে হবে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ দুটি গুরুত্বপূর্ণ দিবসকে কেন্দ্র করে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেবে।অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, আশা করি সবার সহযোগিতায় দিবস দুটি নির্বিঘ্নে উদ্যাপিত হবে। সবাইকে যথাযথভাবে নিজ নিজ পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে গুজব বা ভুয়া সংবাদ ছড়িয়ে জনমনে যেন বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।সমন্বয় সভার শুরুতে ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস্) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে আসন্ন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গৃহীত সার্বিক নিরাপত্তা পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন।এরপর দিবস দুটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সমন্বয় সভায় উপস্থিত বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা ও সুরক্ষা সেবা বিভাগের প্রতিনিধি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, ঢাকা ওয়াসা, ফায়ার সার্ভিসসহ সরকারের বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এবং ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মূল্যবান মতামত ও পরামর্শ দেন।এমআর-২
পুলিশের ঊর্ধ্বতন ২২ কর্মকর্তাকে বদলি
বাংলাদেশ পুলিশের ঊর্ধ্বতন ২২ কর্মকর্তাকে বদলি করেছে অন্তবর্তী সরকার।সোমবার (০৮ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে সই করেছেন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. মাহবুবুর রহমান।প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জনস্বার্থে এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করা হবে। এমআর-২
ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের প্রাণহানি, আক্রান্ত ৪৫৫
সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৫৫ জন। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৯৮ জনে এবং শনাক্ত রোগী বেড়ে ৯৮ হাজার ২৮৪ জনে দাঁড়িয়েছে।সোমবার (০৮ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় যারা ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তাদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৫৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫১ জন, ঢাকা বিভাগে ৫৩ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১০৬ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৫৫ জন, খুলনা বিভাগে ৪৪ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩২ জন, রাজশাহী বিভাগে ৪৮ জন, রংপুর বিভাগে তিনজন ও সিলেট বিভাগে ছয়জন রয়েছেন।২৪ ঘণ্টায় দুজনেরই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে মৃত্যু হয়েছে।২৪ ঘণ্টায় ৪৮৮ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ছাড়পত্র পেয়েছেন ৯৬ হাজার ২৩২ জন।২০২৪ সালে দেশে মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিল ১ লাখ ১ হাজার ২১৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছিল ৫৭৫ জনের। এর আগের বছর ২০২৩ সালে ডেঙ্গুতে মারা যান সর্বোচ্চ ১ হাজার ৭০৫ জন এবং আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।এমআর-২
খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিতে মঙ্গলবার আসছে না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি’র চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিতে আগামীকাল (মঙ্গলবার) ঢাকায় আসার কথা ছিল জার্মানির এয়ার এম্বুলেন্স। এনিয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের অনুমতিও নিয়েছিল তারা। তবে সেই অনুমতি বাতিলের অনুরোধ করেছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কর্তৃপক্ষ।বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বেবিচক সেই অনুরোধটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রয়োজনীয় পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পাঠাচ্ছে বলে জানা গেছে।এর আগে সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এস এম রাগীব সামাদ জানিয়েছিলেন, প্রসঙ্গত, খালেদা জিয়াকে যুক্তরাজ্যে নিতে কাতার সরকারের এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠানোর কথা ছিল। তবে, কারিগরি ত্রুটির কারণে কাতার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি আসতে না পারায় দেশটির সরকারের ব্যবস্থাপনায় জার্মানি থেকে ঢাকায় এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আসার কথা ছিল।৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।আরডি
সর্বশেষ প্রকাশিত
রাজনীতি
সব দেখুন
আরও দুই নেতাকে সুখবর দিল বিএনপি
আবেদনের প্রেক্ষিতে দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেছে বিএনপি। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।এতে বলা হয়, ইতোপূর্বে সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য শেরপুর জেলাধীন শেরপুর পৌরসভার অন্তর্গত ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. সারোয়ার জাহান সেলুকে দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। আবেদনের প্রেক্ষিতে দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক আজ তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।অপরদিকে, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং দলের নীতি ও আদর্শ পরিপন্থি কার্যকলাপের জন্য কক্সবাজার জেলাধীন ঈদগাঁও উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব মো. আনিছুর রহমানকে দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। আবেদনের প্রেক্ষিতে দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক আজ তার অব্যাহতি আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।এফএস
আরও দুই নেতাকে সুখবর দিল বিএনপি
আবেদনের প্রেক্ষিতে দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেছে বিএনপি। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।এতে বলা হয়, ইতোপূর্বে সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য শেরপুর জেলাধীন শেরপুর পৌরসভার অন্তর্গত ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. সারোয়ার জাহান সেলুকে দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। আবেদনের প্রেক্ষিতে দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক আজ তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।অপরদিকে, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং দলের নীতি ও আদর্শ পরিপন্থি কার্যকলাপের জন্য কক্সবাজার জেলাধীন ঈদগাঁও উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব মো. আনিছুর রহমানকে দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। আবেদনের প্রেক্ষিতে দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক আজ তার অব্যাহতি আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।এফএস
‘ক্ষমতায় গেলে আবারও খাল খনন কর্মসূচি শুরু করবে বিএনপি’
বিএনপি ক্ষমতায় এলে কৃষির উন্নতিতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবে বলে জানিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।সোমবার (০৮ ডিসেম্বর) বিএনপির ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা শীর্ষক’ কর্মসূচির আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।তারেক রহমান বলেন, আগামী নির্বাচনে জনগণ বিএনপিকে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিলে জিয়াউর রহমানের খাল খনন কর্মসূচি আবার হাতে নেওয়া হবে। বন্যা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ফসলের ক্ষেতে সেচ নিশ্চিতের ব্যবস্থা করেছিলেন জিয়াউর রহমান। তিনি বলেন, এক মাঠে তিন ফসল ফলানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। বিএনপির আগামী দিনের পরিকল্পনায় ইতোমধ্যে বিষয়টি জায়গা পেয়েছে। এ সময় প্রবাসীদের জন্য বিএনপির নেওয়া নানা উদ্যোগের কথা জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের প্রবাসে যাওয়া ও উপার্জনের পথ তৈরি করেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। আমরা প্রবাসীদের স্বার্থরক্ষা এবং ভালো মানের কর্মী পাঠানোর বিষয়ে কাজ করবো। তিনি আরও বলেন, প্রযুক্তির জ্ঞান থাকলে তরুণরা অনেকবেশি আয় করতে পারবে। এছাড়া ভাষাগত জ্ঞান থাকলে তাদের কর্মসংস্থান ও আয়-উন্নতির সুযোগ আরও বাড়বে। বিএনপি এসব বিষয়ে কাজ করতে চায়। মানুষের জীবনমান উন্নত করতে নানা পরিকল্পনা আমরা হাতে নিয়েছি।এমআর-২
‘জামায়াত নয়, যারা নির্বাচন এলে তসবিহ নিয়ে ঘুরে তারাই ধর্মকে ব্যবহার করে’
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ধর্মকে ব্যবহার করে রাজনীতি করে না জানিয়ে দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, যারা নির্বাচনের সময় এলে তসবিহ নিয়ে ঘুরে তারাই ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করে। সোমবার (০৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ঢাকাস্থ দূতাবাসে ৮ দেশের দূতদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।নির্বাচন পেছালে দেশ গভীর সংকটে পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে জামায়াত আমির বলেন, জাতীয় নির্বাচন পেছানো জামায়াতের কাম্য না। কোনো কারণে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন পেছালে দেশ গভীর সংকটে পড়বে।তিনি বলেন, ক্ষমতায় গেলে আমরা ইনক্লুসিভ বাংলাদেশ গড়বো। আমরা কোনও দলকেই বাদ দেবো না। দেশের স্বার্থে দারুণভাবে আমোরা অনুভব করি, জামায়াত ক্ষমতায় গেলে অন্তত আগামী ৫ বছর দেশের স্থিতিশীলতা, অর্থনিতী ফিরিয়ে আনা, সমাজে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা পাবে।খালেদা জিয়ার অসুস্থতায় রাজনীতিতে কোনও সংকট দেখছেন কী না এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, সুস্থতা অসুস্থতা আল্লাহর সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে। দেশবাসী তার সুস্থতায় শ্রদ্ধা নিবেদন করে দোয়া করছে। সবাইকে বিদায় নিতে হবে। এর সঙ্গে সমাজের চাকা চলা বা অচল হওয়া উচিত নয়। ৮ দেশের রাষ্ট্রদূতরা নির্বাচনের প্রস্তুতি এবং একই দিনে নির্বাচন ও গণভোট নিয়ে কোনো শঙ্কা প্রকাশ করেছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একই দিনে দুই ভোট নিয়ে শঙ্কা আছে। এ সময় আলাদা আলাদা দিনে নির্বাচন করার কথাও জানান তিনি।তিনি আরও বলেন, ফেব্রুয়ারির নির্বাচন খুবই প্রয়োজন। এর সামান্য নড়চড় হলে দেশ গভীর সংকটে পড়বে। এ সময় দেশের স্বার্থে আগামীর স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান জামায়াতের আমির।এমআর-২
২০ দল নিয়ে নতুন জোটের আত্মপ্রকাশ
ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের জাতীয় পার্টি (জাপা) এবং আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর জাতীয় পার্টির (জেপি) নেতৃত্বে ২০ দলের জোট আত্মপ্রকাশ করেছে। নতুন এ দলের নাম জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট (এনডিএফ)।সোমবার (০৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানে ইমানুয়েলন্স পার্টি সেন্টারে দলটি আত্মপ্রকাশ করে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।অন্য দলগুলো হলো- জনতা পার্টি বাংলাদেশ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, তৃণমূল বিএনপি, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, জাতীয় ইসলামিক মহাজোট, জাতীয় সংস্কার জোট, বাংলাদেশ লেবারপার্টি, স্বাধীন পার্টি, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টি, বাংলাদেশ মানবাধিকার পার্টি, বাংলাদেশ সর্বজনীন দল, বাংলাদেশ জনকল্যাণ পার্টি, অ্যাপ্লায়েড ডেমোক্রেটিক পার্টি, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আন্দোলন, ডেমোক্রেটিক পার্টি এবং বাংলাদেশ জাতীয় লীগ।এমআর-২
একটা দল ধর্মের নামে ট্যাবলেট বিক্রি করে: সালাহউদ্দিন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘যে দলের কোনও নীতি-আদর্শ নেই, পরিকল্পনা নেই, তারা শুধু ধর্মের নামে একটি ট্যাবলেট বিক্রি করে জনগণের সঙ্গে প্রতারণার চেষ্টা করছে। জনগণ ইতোমধ্যে তাদের চেনে, তাদের মুখোশ উন্মোচিত হয়ে গেছে। আর বিএনপির হাতে রয়েছে মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের সুস্পষ্ট পরিকল্পনা।’সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত ‘বিএনপির দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব মন্তব্য করেন।তিনি বলেন, ‘আমরা ধর্মের ট্যাবলেট বিক্রি করতে চাই না। আমরা চাই জনগণের কল্যাণে কী সুষ্ঠু পরিকল্পনা আছে তা মানুষের কাছে তুলে ধরতে।’ জনগণকে সহজ ভাষায় বিএনপির পরিকল্পনা জানাতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘যারা বিনা পরিশ্রমে জান্নাতে যেতে চায় তাদের জানতে হবে সেখানে যাওয়ার বাস স্টেশন কোথায়। জনগণ এসব বোঝে।’ তার মতে, রাষ্ট্র পরিচালনায় আগে থেকে স্পষ্ট পরিকল্পনা না করলে তা নিজেরাই ব্যর্থ হওয়ার পরিকল্পনা করার শামিল।অনুষ্ঠানে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘জামায়াত ধর্মের নামে ব্যবসা করে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে।’সাত দিনব্যাপী বিএনপির এ কর্মসূচির আজ দ্বিতীয় দিন। এই কর্মসূচির মাধ্যমে আগামীর বাংলাদেশ বিষয়ে মানুষের মতামত নেবে বিএনপি। এর আলোকে প্রস্তুত করা হবে দলটির নির্বাচনী ইশতেহার। দ্বিতীয় সেশনের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন। গতকাল উদ্বোধন হওয়া এ কর্মসূচি চলবে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত।ইখা
খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আসছে আগামীকাল সকালে
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নিতে ভাড়া করা এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি আগামীকাল মঙ্গলবার সকালে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের অনুমতি পেয়েছে। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এস এম রাগীব সামাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।তবে খালেদা জিয়ার লন্ডনে যাওয়া সম্পূর্ণ নির্ভর করছে তার বর্তমান শারীরিক অবস্থার ওপর। তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জে এম জাহিদ হোসেনও শনিবার জানান, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অগ্রগতি অনুযায়ীই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তিনি বিদেশ যেতে পারবেন কি না।রাগীব সামাদ বলেন, জার্মানভিত্তিক এফএআই এভিয়েশন গ্রুপের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি আগামীকাল সকাল ৮টা ২০ মিনিটে ঢাকায় নামবে। প্রয়োজন হলে একই দিন রাত ৯টার পর বিমানটি ঢাকায় থেকে লন্ডনের উদ্দেশে উড়াল দিতে পারবে।বেবিচক সূত্র জানায়, গত শনিবার এফএআই এভিয়েশন গ্রুপ যে আবেদন জমা দিয়েছিল, তাতে মঙ্গলবার ঢাকায় অবতরণ এবং পরদিন বুধবার লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রার সময়সূচি প্রস্তাব করা হয়।দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন খালেদা জিয়া। চিকিৎসা ও বিদেশযাত্রা-সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের সঙ্গে যুক্ত একটি সূত্র জানায়, চিকিৎসকেরা তার সর্বশেষ অবস্থা পর্যালোচনা করে বিদেশ পাঠানোর সম্ভাব্য সময় আরও দুদিন পিছিয়েছেন। দীর্ঘ যাত্রার ঝুঁকি বিবেচনায় নেওয়া এ সিদ্ধান্ত এখন পুরোপুরি নির্ভর করছে আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় তার শারীরিক অবস্থার পরিবর্তনের ওপর।সূত্রটি আরও জানায়, গতকাল রাত পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী খালেদা জিয়ার অবস্থায় উল্লেখযোগ্য উন্নতি বা অবনতি-কোনটিই দেখা যায়নি; পরিস্থিতি বেশ স্থির রয়েছে।মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, তার ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদ্যন্ত্র ও ফুসফুস-সংক্রান্ত জটিলতাগুলো কখনো নিয়ন্ত্রণে থাকলেও হঠাৎ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। ফলে তাকে স্থিতিশীল বলা যাচ্ছে না। সর্বশেষ পরীক্ষায় কিডনি ও ফুসফুসের কিছুটা উন্নতি দেখা গেলেও তা সামগ্রিক ঝুঁকি কমানোর জন্য যথেষ্ট নয়। চিকিৎসকেরা বলেছেন, তিনি এখনও আশঙ্কামুক্ত নন।এই অনিশ্চয়তার কারণে বিদেশ যাত্রার সম্ভাব্য তারিখ বারবার বদলাচ্ছে। শুরুতে বিএনপি জানায়, ৫ ডিসেম্বর ভোরে খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়া হবে। পরে সময় পরিবর্তন করে ৭ ডিসেম্বর করা হয়। এরপর নতুন সূচিতে ৯ ডিসেম্বর যাত্রার সম্ভাবনা জানানো হয়, যা আবারও পিছিয়ে যায় তার স্বাস্থ্যগত অনিশ্চয়তার কারণে।এইচএ
খালেদা জিয়ার সিটি স্ক্যান সম্পন্ন, রিপোর্ট নরমাল: মেডিকেল বোর্ড
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সিটি স্ক্যান সম্পন্ন হয়েছে। রিপোর্টও নরমাল (স্বাভাবিক) এসেছে। রোববার (৭ ডিসেম্বর) রাতে এ তথ্য জানিয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড।এর আগে গত শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার এন্ডোস্কপি সম্পন্ন হয়। এতে তার পাকস্থলীর রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়েছে বলে সেদিনই জানিয়েছিল মেডিকেল বোর্ড।এদিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়াকে দেখতে ও তার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতে রোববারও রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে এসেছেন ডাক্তার জুবাইদা রহমান। রাত ১০টায় মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে তার বৈঠক করার কথা রয়েছে বলে জানা গেছে।উন্নত চিকিৎসার জন্য গত শুক্রবারই লন্ডনে নেয়ার কথা থাকলেও শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় বিএনপি চেয়ারপারসনের যাত্রা স্থগিত করা হয়েছে। সবশেষ রোববার দুপুরে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বিমানযাত্রার ধকল সামলানোর অবস্থায় নেই, তাই এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত থাকলেও আপাতত তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন নেয়া হচ্ছে না।গত ২৩ নভেম্বর হৃদযন্ত্র ও ফুসফুসের সমস্যার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর খালেদা জিয়ার শরীরে আরও কিছু জটিলতা দেখা দেয়। বিভিন্ন অঙ্গের কার্যক্ষমতায় সীমাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। এসব কারণে বিদেশে স্থানান্তরের মতো শারীরিক স্থিতিশীলতা এখনো অর্জিত হয়নি। অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড তার চিকিৎসা পরিচালনা করছে।এদিকে গত বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) লন্ডনের হিথ্রো থেকে রওনা দিয়ে পরদিন শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান। পরে ওইদিন সকাল ১১টা ৫৪ মিনিটে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়ে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন। এরপর থেকে ইতোমধ্যে বেশ কয়েকবার তিনি বিএনপির চেয়ারপারসনের খোঁজ-খবর নিতে এভারকেয়ার হাসপাতালে এসেছেন।এবি
চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত
রাজধানীতে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা, গৃহকর্মী পলাতক
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে একটি বাসায় মালাইলা আফরোজ (৪৮) ও তার মেয়ে নাফিসা বিনতে আজিজকে (১৫) কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে গৃহকর্মী তাদেরকে হত্যা করে পালিয়েছে।সোমবার (০৮ ডিসেম্বর) সকালে পুলিশ খবর পেয়ে শাহজাহান রোডের একটি বাসার ৭তলায় গেছে।তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।তিনি জানান, মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডে মা ও মেয়ের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় বাসার গৃহপরিচারিকাকে সন্দেহ করা হচ্ছে। তার নাম-পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আমরা কাজ করছি।মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, নিহতরা ভবনের ৭ তলায় বসবাস করতেন। গৃহকর্তা আজিজুল ইসলাম সকালে কাজের উদ্দেশে বের হয়ে যান। এরপর দুপুর ১২টার দিকে এসে তিনি স্ত্রী ও মেয়েকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান। মেয়ে নাফিসাকে জীবিত অবস্থায় পেলেও হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যায়।ঘটনাস্থলে থানা পুলিশ ও তেজগাঁও বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত আছেন।পুলিশের একটি সূত্র জানায়, ওই গৃহকর্মীর নাম আয়েশা। সে হত্যার উদ্দেশ্যেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদেরকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করছে। এ ছাড়া হত্যায় ব্যবহৃত দুটি ধারালো ছুরি বাথরুমের বালতির ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।এমআর-২
রাজধানীতে বিটিআরসি ঘেরাও মোবাইল ব্যবসায়ীদের, অবরুদ্ধ চেয়ারম্যান
ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) সংস্কারসহ কয়েকটি দাবিতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ভবনের সামনে কঠোর কর্মসূচিতে নেমেছেন মোবাইল ব্যবসায়ীরা। রোববার (০৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে ‘বাংলাদেশ মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি’র ব্যানারে শত শত ব্যবসায়ী আগারগাঁওয়ের বিটিআরসি ভবনের সামনে জড়ো হয়ে অবস্থান নেন। এদিন রাত সাড়ে ৭টার দিকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওই স্থানে অবরোধ করে বিক্ষোভ করছিলেন ব্যবসায়ীরা।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ব্যবসায়ীদের অবরোধে সড়কের এক পাশের যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে, সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট ও জনদুর্ভোগ।ব্যবসায়ীরা বিটিআরসি ঘেরাও করেন। এতে চেয়ারম্যানসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ভবনের ভেতরে অবরুদ্ধ রয়েছেন। একই সঙ্গে রবিবার সন্ধ্যায় আগারগাঁও মোড় থেকে বিটিআরসি ভবনের সামনে পর্যন্ত অন্তত চার জায়গায় আগুন জ্বালিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশ (এমবিসিবি)-এর সেক্রেটারি আবু সায়ীদ পিয়াস জানান, ‘আমরা বহুবার সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বৈঠকের জন্য অনুরোধ করেছি। কিন্তু একবারও আমাদের ডাকা হয়নি। আলোচনার সুযোগ পেলে সমাধান সম্ভব ছিল। এখন পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। সারা দেশের খুচরা ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ রেখেছেন।’ব্যবসায়ীদের মূল দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে এনইআইআর সংস্কার, সিন্ডিকেট প্রথা বাতিল এবং মোবাইল ফোন আমদানির সুযোগ উন্মুক্ত করা। তাদের অভিযোগ, এনইআইআর বাস্তবায়ন হলে লাখো ব্যবসায়ী ও তাদের পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হবে। নতুন এই নিয়মের ফলে একটি বিশেষ গোষ্ঠী লাভবান হবে এবং বাড়তি করের চাপে গ্রাহক পর্যায়ে মোবাইলের দাম বেড়ে যাবে।এ বিষয়ে তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগের (শেরেবাংলানগর জোন) সহকারী কমিশনার (এসি) জাকির হোসেন বলেন, বিটিআরসি ভবনের সামনে মোবাইল ব্যবসায়ীদের সড়ক অবরোধের কারণে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। আমরা ডাইভারশন দিয়ে অন্য রাস্তায় যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করেছি। আগারগাঁও একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। এটি বন্ধ থাকায় অন্য রাস্তায় ব্যাপক চাপ পড়েছে। বিভিন্ন সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছি।এর আগে গত ৩০ নভেম্বর সকাল ১০টায় পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে দোকান বন্ধ রেখে রাজধানীর কারওয়ান বাজার-পান্থপথ এলাকায় জড়ো হয়ে মানববন্ধন করেছিলেন বিভিন্ন শপিং মলের মোবাইল ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা।প্রসঙ্গত, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী টেলিযোগাযোগ খাতে নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং অনিবন্ধিত মোবাইল ফোনের ব্যবহার রোধ করতে আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে এনইআইআর ব্যবস্থা চালু হওয়ার কথা রয়েছে। এর ফলে দেশের মোবাইল নেটওয়ার্কে নিবন্ধনবিহীন, চুরি হওয়া বা অনুমোদনহীন আমদানি করা মোবাইল ফোনের ব্যবহার বন্ধ হয়ে যাবে। এর ঠিক আগেই বড় ধরনের আন্দোলনে নামলেন ব্যবসায়ীরা।এমআর-২
বাংলা একাডেমির মাঠে বিজয় বইমেলা শুরু হচ্ছে বুধবার
বাংলা একাডেমির মাঠে তিন দিনব্যাপী ‘বিজয় বইমেলা’ শুরু হচ্ছে। বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির (বাপুস) উদ্যোগে আগামী বুধবার (১০ ডিসেম্বর) থেকে মেলা শুরু হবে।১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে এই মেলা। প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে বিজয় বইমেলা। তবে শুক্রবার ছুটির দিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে মেলা প্রাঙ্গণ।এই বইমেলায় অংশ নেবে দেশের প্রায় ২০০ প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান। থাকবে হাজারো পাঠকের সমাগম, শিশু–কিশোরদের জন্য বিশেষ আয়োজন, মুক্তিযুদ্ধের তথ্যচিত্র, ঐতিহ্যবাহী সংগীত, লেখক–পাঠকের সরাসরি সাক্ষাৎ—সবকিছু মিলিয়ে বিজয় বইমেলা হয়ে উঠবে একটি জীবন্ত, প্রাণবন্ত ও জাতীয় জীবনঘনিষ্ঠ আয়োজন।বিজয় বইমেলা উদ্যাপন জাতীয় কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী এবং প্রন্থিক প্রকাশনের প্রকাশক রাজ্জাক রুবেল, বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাস, সংগ্রাম ও অর্জনের প্রতিটি অধ্যায়ে ‘বিজয়’ শব্দটি আমাদের অস্তিত্বের গভীরে নতুন চেতনা জাগ্রত করে। ডিসেম্বর মাস আমাদের কাছে শুধু স্বাধীনতার স্মরণ নয়—এটি আত্মবিশ্বাস, আত্মত্যাগ, স্বপ্ন ও পুনর্জাগরণের মাস। আর সেই চেতনাকে কেন্দ্র করে আয়োজিত বিজয় বইমেলা কেবল একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নয়; এটি বিজয়ের আলোকে বইয়ের শক্তিকে পুনরুদ্ধার করার এক অনন্য জাতীয় উদ্যোগ।’তিনি আরও বলেন, ‘বইমেলা কোনো সাধারণ বাণিজ্যিক আয়োজন নয়—এটি এক জাতির চিন্তা–চেতনা, সংস্কৃতি, সাহিত্য, মানবিকতা ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের মহামঞ্চ। বই কেনা–বেচার বাইরে বইমেলা মানুষকে পরিচিত করে নতুন ধারণা, যুক্তিবোধ, মানবিক মূল্যবোধ, প্রজ্ঞা এবং নৈতিকতার সঙ্গে। শিশুদের জন্য এটি কল্পনার নতুন জগত, তরুণদের জন্য এটি সম্ভাবনার দিগন্ত, প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য এটি জীবন, সমাজ ও বিশ্বকে নতুন চোখে দেখার উপলক্ষ। ফলে বইমেলা একটি জাতির মানসিক স্থাপত্য নির্মাণের অন্যতম শক্তিশালী সাংস্কৃতিক উৎসব।’রাজ্জাক বলেন, ‘এখানে বই শুধু পণ্য নয়, এটি স্বাধীন চিন্তার প্রতীক, মানবিকতার প্রতীক, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শিক্ষা, আলোকিত চেতনা ও জাতি গঠনের প্রতীক। বাংলা একাডেমির মাঠে আয়োজিত এই মেলা হবে আমাদের জাতীয় সাংস্কৃতিক ধারার একটি মর্যাদাপূর্ণ সংযোজন।’শুধু মেলা আয়োজন নয়, জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়েছে বাপুস। সেই লক্ষ্যে আগামী বছরের মে মাসে সংগঠনটি আয়োজন করতে যাচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল চিলড্রেনস বুক ফেয়ার। একই বছর দেশের ৬৪ জেলায় বইমেলা আয়োজন করা হবে। দেশের প্রতিটি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে বইমেলা আয়োজনের পরিকল্পনাও হাতে নিয়েছে বাপুস। আন্তর্জাতিক বইমেলাও আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়েছে সংগঠনটি।ইখা
এনসিপি নেতা আকরাম-এর নেতৃত্বে রাজধানীতে ‘বিজয় রিকশা র্যালি’
মহান বিজয়ের মাস ডিসেম্বরকে স্বাগত জানিয়ে এবং ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্যের বার্তা তুলে ধরতে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ঢাকা-১৩ আসনের উদ্যোগে ‘বিজয় রিকশা র্যালি’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় শেরেবাংলা নগর আদর্শ স্কুল থেকে র্যালিটি শুরু হয়ে আদাবর, মোহাম্মদপুর, বছিলা, লালমাটিয়া ও রায়েরবাজারসহ ঢাকা-১৩ আসনের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব ও ঢাকা-১৩ আসনের এমপি পদপ্রার্থী আকরাম হোসাইন-এর নেতৃত্বে আয়োজিত এ র্যালিতে অংশ নেন ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব, সদস্য সচিব সরদার আমিরুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা। রঙিন সাজসজ্জা ও ব্যানার-ফেস্টুনে সজ্জিত শতাধিক রিকশায় বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়ে র্যালিকে উৎসবমুখর করে তোলেন।র্যালিতে আকরাম হোসাইন বলেন, বিজয়ের মাস ডিসেম্বর আমাদের জাতীয় জীবনে এক অফুরন্ত প্রেরণার উৎস। আজকের রিকশা র্যালি শুধু উদযাপন নয়, এটি আনন্দ, ঐক্য ও নাগরিক দায়িত্ববোধের প্রতীক। বর্তমান প্রেক্ষাপটে ফ্যাসিবাদবিরোধী সব শক্তির ঐক্য অত্যন্ত জরুরি। এই আয়োজন সেই ঐক্যেরই প্রতিফলন, যেখানে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ তাদের সামাজিক ও নাগরিক দায়িত্ব পালনে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছেন।আয়োজনে সহযোগিতা ও অংশগ্রহণের জন্য বিভিন্ন শ্রেণী–পেশার মানুষ, ছাত্র-জনতা ও সংশ্লিষ্ট নেতাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি ঢাকা মহানগর উত্তর।এসকে/আরআই
শনিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ
রাজধানী ঢাকায় সপ্তাহের একেক দিন একেক এলাকার মার্কেট-দোকানপাট বন্ধ থাকে। এজন্য রাজধানীতে বসবাসকারীদের মার্কেটে যাবার আগে কোন দিন কোন এলাকার মার্কেট বা দোকানপাট বন্ধ থাকে, সেটা জানা থাকা ভালো। এতে বাসা-বাড়ি থেকে বের হয়ে ঘুরে আসতে হয় না এবং সময়ও নষ্ট হয় না।জেনে নেওয়া যাক আজ শনিবার রাজধানীর কোন কোন এলাকায় দোকানপাট ও মার্কেট বন্ধ থাকবে।যেসব এলাকার দোকানপাট বন্ধ থাকবে: শ্যামবাজার, বাংলাবাজার, পাটুয়াটুলী, ফরাশগঞ্জ, জুরাইন, করিমউল্লাহবাগ, পোস্তগোলা, শ্যামপুর, মীরহাজারীবাগ, দোলাইপাড়, টিপু সুলতান রোড, ধূপখোলা, গেণ্ডারিয়া, দয়াগঞ্জ, স্বামীবাগ, ধোলাইখাল, জয়কালী মন্দির, যাত্রাবাড়ীর দক্ষিণ-পশ্চিম অংশ, গুলিস্তানের দক্ষিণ অংশ, ওয়ারী, আহসান মঞ্জিল, লালবাগ, কোতোয়ালি থানা, বংশাল, নবাবপুর, সদরঘাট, তাঁতীবাজার, লক্ষ্মীবাজার, শাঁখারি বাজার, চানখারপুল।যেসব মার্কেট বন্ধ থাকবে: ফুলবাড়িয়া মার্কেট, সান্দ্রা সুপার মার্কেট, আজিমপুর সুপার মার্কেট, গুলিস্তান হকার্স মার্কেট, ফরাশগঞ্জ টিম্বার মার্কেট, শ্যামবাজার পাইকারি দোকান, সামাদ সুপার মার্কেট, রহমানিয়া সুপার মার্কেট, ইদ্রিস সুপার মার্কেট, দয়াগঞ্জ বাজার, ধূপখোলা মাঠবাজার, চকবাজার, বাবুবাজার, নয়াবাজার, কাপ্তান বাজার, রাজধানী সুপার মার্কেট, দয়াগঞ্জ সিটি করপোরেশন মার্কেট, ইসলামপুর কাপড়ের দোকান, ছোট কাটরা, বড় কাটরা হোলসেল মার্কেট, শারিফ ম্যানশন।যে দর্শনীয় স্থান বন্ধ থাকবে: শিশু একাডেমি জাদুঘর শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। আগামীকাল রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে।এইচএ
কুষ্টিয়ায় দিনেদুপুরে বৃদ্ধার গলাকাটা লাশ উদ্ধার
কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় দিনেদুপুরে জাহানারা বেগম (৬৫) নামে এক বৃদ্ধাকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে কুষ্টিয়া পৌরসভার ১২ নং ওয়ার্ডের হরিশংকরপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত জাহানারা বেগম ওই এলাকার মৃত আবুল মোল্লার স্ত্রী। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জাহানারা বেগম বাড়িতে একাই ছিলেন। তাকে দেখভালের দায়িত্বে থাকা দুজনই বাড়ির বাইরে ছিলেন। বিকেল চারটার দিকে এক প্রতিবেশী কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরের দরজা খুলে বিছানার উপর জাহানারা বেগমের গলাকাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।নিহত জাহানারা বেগমের দেখভাল করা মেঘলা নামে এক গৃহবধূ বলেন, ‘বেলা ১১টা পর্যন্ত বাড়িতেই ছিলাম। এরপর আমি আমার বাবার বাড়িতে গিয়েছিলাম। আমার স্বামীও কাজে বাড়ির বাইরে বের হয়ে যায়। যাওয়ার সময় বাড়ির পাশেই থাকা আমার বোনকে বিকেল চারটার দিকে এসে গবাদি পশুগুলোকে পানি খাইয়ে যেতে বলেছিলাম। তখন আমার বোন এসে কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজা খুলে দেখে গলাকাটা অবস্থায় তিনি পড়ে আছেন।’স্থানীয়দের ভাষ্য, ‘জাহানারা বেগমের ছেলে রাজধানী ঢাকায় সরকারি চাকরি করেন। তিনি পরিবারসহ ঢাকাতেই থাকেন। বাড়ির ভাড়াটিয়া লিটন নামে এক ভ্যান চালক ও তার স্ত্রী নিহত জাহানারা বেগমের দেখভাল করতেন।’কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল আলীম বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি কোন নেশাগ্রস্ত লোক চুরি করতে এসেছে দেখে ফেলায় এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এ নিয়ে অধিকতর তদন্ত চলছে।’এনআই
সেন্টার ফ্রুটের প্রলোভনে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ
যশোর সদর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের দায়তলায় এক দোকানির বিরুদ্ধে ৯ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাত ৮ টায় ওই শিশুকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সে গাইনী ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।শিশুটির মা জানান, গত ৩ ডিসেম্বর দুপুরে তার মেয়ে দায়তলা গ্রামের মুদি দোকানদান সোহাগের কাছে সেন্টার ফ্রুট (চুইংগাম) কিনতে যায়। এসময় সোহাগ সেন্টার ফ্রুটের প্রলোভনে দোকানের পাশে গোডানে নিয়ে মুখ চেপে ধর্ষণ করে। তার মেয়ে বাড়িতে ফিরে ঘটনাটি তাকে জানালে সম্মানের ভয়ে চুপ ছিলেন। সোমবার সন্ধ্যায় শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।হাসপাতালের গাইনী ওয়ার্ডে দায়িত্বরত চিকিৎসক তানিয়া আক্তার জানান, ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ওই শিশুর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষার পর ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।হাসপাতালে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য সোহেল রানা জানান, শিশু ধর্ষণের ঘটনাটি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে।এনআই
আলোচিত মহিলা লীগ নেত্রী মহুয়া আটক
যশোরে মহিলা লীগ নেত্রী নাসিমা সুলতানা মহুয়া আটক হয়েছে। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে ডিবি পুলিশ শহরের পালবাড়ি গাজিরঘাট এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করে। সন্ধ্যার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। মহুয়া গাজিরঘাট এলাকার মৃত সোহরাব খানের মেয়ে। পুলিশের এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি ব্যাপক আলোচিত হন। যশোর ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মনজুরুল হক ভূঁইয়া জানান, ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট যশোর লালদিঘী পাড়স্থ বিএনপি অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ মামলায় মহুয়া আটক করা হয়েছে। ওই ঘটনার সাথে তার জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। প্রসঙ্গত, পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করে ব্যাপক আলোচনায় এসেছিলেন নাসিমা সুলতানা মহুয়া। আওয়ামী শাসনামলে তিনি যশোর জেলা পরিষদ সদস্য প্রার্থী ছিলেন। এছাড়া জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর-৩ আসনের সংরক্ষিত নারী আসনের প্রার্থী হতে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন তিনি। এফএস
চুয়াডাঙ্গায় ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা
চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরে সাতভাই পুকুর এলাকায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে একটি গোডাউন থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ খেজুর ও মানহীন ডাল জব্দ করেছে। এ ঘটনায় ওই গোডাউনের মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং জব্দকৃত পণ্য ধ্বংস করা হয়।সোমবার (০৮ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুনুল হাসানের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।অভিযানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কয়েকটি গুদাম তদারকি করা হয়। তদারকির সময়ে মেসার্স আল মদীনা ট্রেডার্সের গুদামে মেয়াদোত্তীর্ণ খেজুর ও মানহীন ডাল বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে মজুদ রাখার প্রমাণ পাওয়া যায়। ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯-এর ৫১ ও ৪৫ ধারা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির মালিক শফিকুল ইসলামকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির গুদাম থেকে ৫০০ কেজি খেজুর এবং ৩৭৫ কেজি ডাল জব্দ করে পরে ধ্বংস করা হয়।অভিযানে উপস্থিত ছিলেন নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা সজীব পাল, পৌর স্যানিটারি ইন্সপেক্টর নার্গিস জাহান, জেলা দোকান মালিক সমিতির আহ্বায়ক মনজুরুল আলম মালিক লার্জ, সদস্য সচিব সুমন পারভেজ, ক্যাব প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম এবং চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের একটি টিম।জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান নিয়মিতভাবে চলবে বলে জানিয়েছে ভোক্তা অধিকার।
মোংলায় নানা অনিয়মে রাতুল ক্লিনিককে জরিমানা
নানা অনিয়মের অভিযোগে মোংলার রাতুল ক্লিনিককে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রবিবার (৭ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে পৌর শহরের রবীন্দ্রনাথ সড়কের রাতুল ক্লিনিকে অভিযান চালান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন আক্তার সুমি।এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. শাহীন। অভিযানকারীরা ক্লিনিকে ব্যাপক অনিয়ম খুঁজে পান। সেইসব অনিয়মের অভিযোগে ক্লিনিকটিকে ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া প্রাথমিকভাবে সতর্ক করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুতের জন্য সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছে।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন আক্তার সুমি এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. শাহীন বলেন, রাতুল ক্লিনিকের লাইসেন্স নবায়ন নেই, নেই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা চুক্তি, নারকোটিক পারমিশন ও ড্রাগ লাইসেন্সও নেই। এসব অনিয়মের মধ্য দিয়েই দীর্ঘদিন ক্লিনিকটি পরিচালিত হয়ে আসছে। এতসব গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র না থাকায় ক্লিনিক মালিক জোহরা খাতুনকে জরিমানা করা হয়েছে। আর এসব কাগজপত্র আপডেট করার জন্য ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাগজপত্রের শর্ত পূরণে ব্যর্থ হলে রাতুল ক্লিনিকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া এর আগে গত ২০ নভেম্বর ক্লিনিকটি পরিদর্শন করে সেবার মূল্য তালিকা টানানোর নির্দেশনা দেওয়া হলেও তা বাস্তবায়ন করেনি ক্লিনিকটি।স্থানীয় বাসিন্দা সুরজিৎ মণ্ডল ও মনির শিকদার বলেন, রাতুল ক্লিনিকে চরম অনিয়ম চলে। এখানে সিজার রোগীদের কাছ থেকে গলাকাটা টাকা আদায় করা হয়। কোনো নির্দিষ্ট পরিমাণ নেই; যার কাছ থেকে যা নিতে পারে। কারও কাছ থেকে ২০ হাজার, কারও কাছ থেকে ২৫/৩০ হাজার টাকা নেয়। এতে রোগীরা হয়রানি ও প্রতারিত হচ্ছেন। সিজার রোগীর জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ থাকা প্রয়োজন।স্থানীয় ফার্মেসি মালিক সুব্র মণ্ডল বলেন, ড্রাগ লাইসেন্স না থাকলেও নিয়মিত ওষুধ বিক্রি করছে রাতুল ক্লিনিক। এটা তো অনিয়ম। কারও লাইসেন্স থাকবে, কারও থাকবে না—এটা হতে পারে না।স্থানীয় বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম বলেন, রাতুল ক্লিনিকে বিভিন্ন অপারেশন করা হয়, কিন্তু সবসময় ডাক্তার থাকেন না। এতে ভর্তি রোগীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এছাড়া বিভিন্ন পরীক্ষায় অতিরিক্ত টাকা নেয়। পরীক্ষানিরীক্ষার রিপোর্টও ভুল-ভাল হয়—দেখেছি। এ নিয়ে প্রায়ই হট্টগোল ঘটে।স্থানীয়দের অভিযোগ, এতসব অনিয়মের মধ্য দিয়েও রাতুল ক্লিনিক বহাল তবিয়তে রয়েছে। কারণ, রাতুল ক্লিনিকের মালিক জাহাঙ্গীর সবসময় রাজনৈতিক শেল্টারে থাকেন। এর আগে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের ছত্রছায়ায় থেকে ক্লিনিক ব্যবসা পরিচালনা করতেন। আর ৫ আগস্টের পর তিনি ভরসা করেছেন অন্য রাজনৈতিক দলের ওপর। এখন তাদের ছত্রছায়ায় চলছে রাতুল ক্লিনিকের অনিয়ম বাণিজ্য।এদিকে নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগে গত শুক্রবার পৌর শহরের মাদ্রাসা রোডের রাব্বি ক্লিনিক সিলগালা করে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকের অবহেলায় শুক্রবার দুপুরে এক প্রসূতির মৃত্যু হয় ক্লিনিকটিতে। এরপর প্রশাসন অভিযান চালায় সেখানে। সেখানেও নানা অনিয়ম পান অভিযানকারীরা। অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় রাব্বি ক্লিনিকের মালিক এনামুল কবির ও সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে গত শনিবার থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। উল্লেখ্য, রাব্বি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে এসে একাধিক রোগীর মৃত্যু হয়েছে, হয়েছে মামলা-দায়রাও। তারপরও রাব্বি ক্লিনিক ঠিক রাতুল ক্লিনিকের মতো রাজনৈতিক কৌশল ও ভোল পাল্টে বহাল তবিয়তে রয়েছে।এনআই
বাঘাইছড়িতে মারিশ্যা বিজিবির অভিযানে অবৈধ সেগুন কাঠ জব্দ
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে মারিশ্যা জোন ২৭ বিজিবি'র অভিযানে পরিত্যক্ত অবস্থায় বিপুল পরিমাণ অবৈধ গোল সেগুন কাঠ জব্দ করা হয়েছে। বিজিবি জানান, ৮ ডিসেম্বর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মারিশ্যা মোস্তফা কলোনী নামক এলাকায় মারিশ্যা জোন (২৭ বিজিবি) এর জোন কমান্ডারের দিক নির্দেশনায়, হাবিলদার আমান উল্লাহ এর নেতৃত্বে একটি টহল দল অভিযান পরিচালনা করে।পরবর্তীতে বিজিবি টহল দল কর্তৃক পরিত্যক্ত অবস্থায় ৩৮.৩১ ঘনফুট আটক করতে সক্ষম হয়। আটককৃত কাঠের সিজার মূল্য ৯৫,৭৭৫/- মারিশ্যা জোন (২৭ বিজিবি) এর জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, পিএসসি বলেন মারিশ্যা জোন এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় নিয়মিত চোরাচালান প্রতিরোধ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এছাড়াও মারিশ্যা জোনের দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় চোরাকারবারী কর্তৃক বিভিন্ন অভিনব পদ্ধতিতে চোরাচালানী তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে বিধায় মারিশ্যা জোন কর্তৃক উক্ত চোরাচালান প্রতিরোধকল্পে সর্বদা গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধির পাশাপাশি আভিযানিক টহল কার্যক্রমের মাধ্যমে চোরাচালান দমন কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে এবং ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।এনআই
এই দিনে হানাদার মুক্ত হয়েছিল রামগড়
খাগড়াছড়ির প্রথম হানাদার মুক্ত এলাকা রামগড়। ১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে (৮ ডিসেম্বর) তৎকালীন মহকুমা শহর রামগড়ে দিনের আলো ফোটার সাথে সাথে বিজয়ের হাসিতে মুখরিত হয়ে উঠে সকল মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিকামী মানুষ।যুদ্ধের শুরুর দিকে বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিকামী মানুষ রামগড়ে আসতে শুরু করেন। ১৯৭১ সালের সেই উত্তাল সময়ে গঠন করা সংগ্রাম কমিটি। রামগড় সেক্টরের আওতাধীন চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের সশস্ত্র প্রতিরোধ সংগ্রামের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয় এই রামগড়।রামগড় ও তার পার্শবর্তী এলাকা নিজেদের জন্য হুমকি মনে করে প্রতিপক্ষ ২ মে প্রথম বারের মতো রামগড়ে হামলা চালায়। সে সময় মুক্তিযুদ্ধে রামগড়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেজর মো. রফিকুল ইসলামের নির্দেশে সব যুদ্ধসামগ্রী সীমান্তের ওপারে স্থানান্তর করা হয়। সে দিনই হানাদার বাহিনী আক্রমণ চালিয়ে রামগড় শহর ও আশপাশ এলাকা জ্বালিয়ে দেয়। এতে পাক বাহিনীর হাতে রামগড়ের সাময়িক পতন ঘটেছিলো।মুক্তিযুদ্ধের প্রায় শেষের দিকে ৬ ডিসেম্বর মুক্তিবাহিনীর গেরিলা আক্রমণ ও ভারতীয় যুদ্ধবিমান থেকে রামগড়ের শত্রু ঘাঁটিতে বোমা বর্ষণ করা হলে পাক সেনারা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে রাতের আঁধারে রামগড় ত্যাগ করেন।৮ ডিসেম্বর ভোরে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতায় দুটি ভারতীয় জঙ্গী বিমান ঘাঁটিতে পৌঁছে রামগড়কে পুরোপুরি হানাদার মুক্ত করে। পরদিন প্রথম প্রহরে রামগড় প্রধান ডাকঘর প্রাঙ্গণে বিজয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে মুক্ত হয় রামগড়।৮ ডিসেম্বর (সোমবার) সকালে রামগড় মুক্ত দিবস উপলক্ষে রামগড় উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, রাজনৈতিক সংগঠনগুলো রামগড় লেকপাড়ে স্থাপিত বিজয় ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অপর্ণ, শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভার কর্মসূচি গ্রহণ করেন।এতে সভাপতিত্ব করেন, রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাজী শামীম। এছাড়াও অংশ নেন স্থানীয় স্কুল শিক্ষক, শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক প্রমূখ।আরডি
লোহাগাড়ায় ধানের শীষের পক্ষে বিএনপি’র নেতাকর্মীদের গণসংযোগ
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী নাজমুন মোস্তফা আমিনের পক্ষে ধানের শীষে ভোট চেয়ে গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করেছে আমিরাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীরা। সোমবার (০৮ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার বটতলী মোটর স্টেশনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।গণসংযোগটি বটতলী সিকদার সেন্টার থেকে শুরু হয়ে কাচাঁবাজার হয়ে মোস্তফা সিটি সেন্টারের সামনে গিয়ে শেষ হয়।গণসংযোগে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা লিফলেট বিতরণ করেন।এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি শাহেদুল আনোয়ার চৌধুরী,আমিরাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আনসার উদ্দীন আহমদ,ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক এস.এম সাহাব উদ্দীন,নজরুল ইসলাম,সিরাজুল ইসলাম,লোহাগাড়া উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোরশেদুল আলম চৌধুরী,আমিরাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আলাউদ্দীন বাচ্ছু,মাহাবুবুর রহমান,আমিরাবাদ ইউনিয়ন শ্রমিকদলের আহ্বায়ক মো.ইব্রাহীম, সাধারণ সম্পাদক মো.হাসান প্রমূখ।এসআর
পানছড়িতে বিজিবির অভিযানে দেড় লাখ টাকার চোরাই মালামাল জব্দ
খাগড়াছড়ির পানছড়িতে পানছড়ি ব্যাটালিয়ন (৩ বিজিবি) কর্তৃক পরিচালিত বিশেষ অভিযানে বিপুল পরিমাণ চোরাচালানী মালামাল আটক করা হয়েছে।সোমবার (৮ ডিসেম্বর) ভোররাতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনা করেন নাঃ সুবেদার মোঃ মোফাজ্জল হোসেন-এর নেতৃত্বে বিশেষ টহল দল।অভিযানে মোট বাংলাদেশী সিস্টেম প্লাস কীটনাশক ১০ লিটার, বেবিসেট কীটনাশক ১০ লিটার, চ্যাপা শুটকি ১০৫ কেজি, পপ ক্রীম ৪টি, এবং বনলতা সালসা ৪৩ বোতল জব্দ করা হয়েছে। আটককৃত মালামালের আনুমানিক মূল্য ১,৪৯,১৬০ টাকা।বিজিবি জানায়, আটককৃত মালামালসমূহ যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সীতাকুন্ড, চট্টগ্রাম কাস্টমস অফিসে জমা দেওয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়াও সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান দমন ও নিরাপত্তা জোরদারে ৩ বিজিবির এমন তৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়।এসআর
আনোয়ারায় প্রাণিসম্পদ হাসপাতালে চুরি
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় প্রাণিসম্পদ ও ভেটেনারি হাসপাতালে চুরির ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল প্রায় সাড়ে নয়টার দিকে অফিস সহকারী মো. ইয়াছিন কর্মস্থলে এসে দেখেন, অফিসের ভেতর এলোমেলো জানালার গ্রিল কাটা, কাগজপত্র ছড়ানো। জানা যায়, বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম চুরি গেছে। ঘটনাটি জানাজানি হতেই হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, রাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা পেছনের দিক দিয়ে ভবনে প্রবেশ করে। তারা কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ক্যামেরা, সিসি ক্যামেরার ডিভিআরসহ নানা ইলেকট্রনিক সরঞ্জামসহ নগদ ২৫ হাজার টাকা নিয়ে গেছে।অফিস সহকারী মো. ইয়াছিন বলেন, 'সকালে এসে দেখি জানালার গ্রিল কাটা, ভেতরে সবকিছু ওলটপালট। বেশ কিছু মালামাল নেই। অফিসের গুরুত্বপূর্ণ নথিও ছড়ানো ছিল। বিষয়টি দেখে আমি আমার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের খবর দিই।' ফিল্ড অফিসার সানি দাশ বলেন, 'এই অফিসে প্রতিদিনই অনেক পশুপালক আসে। চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি থেকে শুরু করে নথিপত্র, সব প্রয়োজনীয় জিনিস চুরি গেছে। এতে সেবা বিঘ্নিত হবে।'ভেটেনারি সার্জন ডা. করবী বড়ুয়া বলেন, 'ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। কোন কোন জিনিস চুরি গেছে তার তালিকা করা হয়েছে। পুলিশকে খবর দেয়ার পর ঘটনাস্থলে এসেছেন তারা।'এ বিষয়ে জানতে চাইলে আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুনায়েত চৌধুরী বলেন, 'ঘটনার সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে এবং বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।' চুরির ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার পর হাসপাতালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও সিসিটিভি ব্যবস্থা হালনাগাদ করার দাবি উঠেছে স্থানীয়দের মধ্যে।জানা গেছে, গত ২৬ নভেম্বর একই কায়দায় চুরির ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায়। সেখানে তালা কেটে উপজেলা প্রাণিসম্পদ হাসপাতালে কম্পিউটার-ল্যাপটপসহ নানা যন্ত্রাংশ খোয়া গেছে। ফলে, দুটি ঘটনাই একই যোগসূত্রের হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।এদিকে, ঘটনার পর সাংবাদিকেরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে প্রাণিসম্পদ হাসপাতালের সাইনবোর্ডে কম্বল ও কাঁথা দিয়ে ঢেকে রাখা অবস্থায় দেখা যায়। কেন এমন করা হলো- জানতে চাইলে ভেটেনারি সার্জন ডা. করবী বড়ুয়া বলেন, 'বিষয়টা তো আমরা জানি না। কে বা কারা করেছে, সেটাও বলতে পারছি না।'ইখা
শরীয়তপুরে দোকানের মালামাল লুট ও জমি দখলের অভিযোগ
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় এক ব্যবসায়ীর দোকানের প্রায় ৫০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে জমিসহ দোকান দখলের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি সুরুজ মাদবরের বিরুদ্ধে। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলা কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধনের মাধ্যমে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন ভুক্তভোগী সোবহান মাদবর।মানববন্ধনে ভুক্তভোগীরা জানান, জাজিরা উপজেলার ডুবিসায়বর বন্দর কাজীরহাট এলাকায় জমি ক্রয় করে দীর্ঘ ৮ বছর ধরে দোকানঘর নির্মাণ করে কাঠের ফার্নিচার ও টিনের ব্যবসা চালিয়ে আসছেন সোবহান মাদবর। অভিযোগ অনুযায়ী, গত ৫ আগস্টের পর থেকে উপজেলা বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি সুরুজ মাদবর ও তার ছেলে স্বাধীন মাদবর তার কাছে একাধিকবার চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে দলবল নিয়ে এসে দোকানের প্রায় ৫০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গিয়ে দোকানটি দখলে নেন তারা।ভুক্তভোগী সোবহান মাদবর বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে সুরুজ মাদবর বিএনপির প্রভাব খাটিয়ে আমার কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিল। টাকা না দেওয়ায় মঙ্গলবার রাতে লোকজন নিয়ে এসে দোকানের প্রায় ৫০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নেয়। এরপর তারা নিজেরাই ব্যানার টানিয়ে দোকানটি দখল করে নেয়। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। ভুক্তভোগীর ছেলে মুন্না মাদবর বলেন,দোকানটি আমাদের নিজের কেনা সম্পত্তি। দীর্ঘদিন ধরে আমরা এখানে ব্যবসা করে আসছি। এটা বাজারের সবাই জানে। এখন জোর করে দোকানের তালা ভেঙে মালামাল নিয়ে গেছে। আমাদের বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমরা আমাদের জায়গাসহ দোকান ফেরত চাই।তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপজেলা বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি সুরুজ মাদবর। তিনি বলেন, দোকানের জমি ও সম্পত্তি আমাদের ক্রয়কৃত। আওয়ামী লীগের আমলে কিছু লোক আমাদের জায়গা দখল করে রেখেছিল। এখন আমরা আমাদের নিজের জায়গায় ব্যবসা করছি। আমরা কারো মালামাল লুট করিনি। আমাদের কাছে জমির বৈধ কাগজপত্র রয়েছে। কেউ যদি প্রমাণ করতে পারে জমিটি তার, তাহলে আমি তা ছেড়ে দেব।এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতি বজলু শিকদার বলেন,সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরেছি। তবে আমাদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। শুনেছি জায়গাটি সুরুজ মাদবরের। তবে দখলের কোনো অভিযোগ থাকলে সেটি তার ব্যক্তিগত বিষয়, এখানে দলের কোনো প্রভাব নেই।এনআই
ভৈরবে আধিপত্যকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত ৩০
কিশোরগঞ্জের ভৈরব আধিপত্যকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৩০ জন আহত হয়েছে। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া গ্রামের শেখ বাড়ি ও মোল্লা বাড়ির মধ্যে এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ভৈরব থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ভৈরব থানা অফিসার আতাউর রহমান আকন্দ। সংঘর্ষে আহত তামজিদ মোল্লা (১৬) ,রাজু মোল্লা (২২), বাবু মিয়া (২৫), বশির মিয়া (৫৫), ফয়সাল মোল্লা (৩৭), সাইফুল (২২), শফিকুল ইসলাম (১৬), হযরত আলী (৪০), আব্দুর রহমান (১৬), ফখর উদ্দিন ১৬ শোয়েব (৩৬) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা নিয়েছেন। স্থানীয়রা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ৮ নভেম্বর বিকালে আধিপত্যকে কেন্দ্র করে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া গ্রামের মোল্লা বাড়ি ও শেখ বাড়ির মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে মোল্লা বাড়ির নেতৃত্ব দেন ইউপি সদস্য হারুন মিয়া ও মুর্শিদ মিয়া অপর দিকে শেখ বাড়ির নেতৃত্ব দেন মাইন উদ্দিন মিয়া ও দিলু মিয়া। এর আগে ৭ ডিসেম্বর আগানগর টুকচাঁনপুরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আহতদের সহযোগিতার দেয়ার বিষয় ও স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীদের সাথে বিএনপির চলাফেরাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। ওই দিন সংঘর্ষে মোল্লা বাড়ির নিজাম (৪২) ও তার ছেলে তামিম (২২) আহত হয়। এতে এলাকায় ৮ ডিসেম্বর সকাল থেকে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিকালে উভয় পক্ষ দা, বল্লম, লাঠি ও ইট পাটকেলসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ বিষয়ে মোল্লা বাড়ির সাইফুল ইসলাম বলেন, আমাদের ইউনিয়নের টুকচাঁন পুর গ্রামে গ্যাস সিলিন্ডারে বিস্ফোরণে গুরুতর আহদের দেখতে গিয়েছিলাম আমরা। সেখানে যেতে মোটর সাইকেলে যেতে হয়। মোটরসাইকেল চালকরা ছিল আওয়ামী লীগ সমর্থক। এ বিষয়ে আমাদের মোল্লা বাড়ির বিএনপির সাথে শেখ বাড়ির বিএনপির নেতাদের বাগ্বিতণ্ডায় জেরে প্রথমে মারামারি পরে সংঘর্ষে রুপ নেয়। আমিসহ সংঘর্ষে আমাদের মোল্লা বাড়ির ১৫ জন আহত হয়েছে। এ বিষয়ে শেখ বাড়ির গোলাপ মিয়া বলেন, মোল্লা বাড়ির বিএনপির নেতারা আওয়ামী লীগের নেতার সাথে আঁতাত করে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারিত শুরু করেছে। আমরা তাদের এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করতে গেলে বাগ্বিতণ্ডা হয়। পরে বিষয়টি সংঘর্ষে রুপ নেয়। এতে আমাদের ১৫ জন আহত হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক উম্মে হাবীবা জুঁই বলেন, বিকাল পাঁচটা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ১১ জন রোগী চিকিৎসা নিতে আসে। তাদের মধ্যে ১ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ আতাউর রহমান আকন্দ বলেন, ৮ ডিসেম্বর বিকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ দুইটি টিম পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। উভয় পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।এফএস
ফেইসবুক পোস্টে কমেন্টকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ৫
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ফেসবুক পোস্টে আপত্তিকর (চুদলিংপং) মন্তব্যকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে গুলিবিদ্ধ একজনসহ মোট পাঁচজন আহত হয়েছেন। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) গভীর রাত ২টার দিকে তারাবো পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রসুলপুর এলাকায় সংঘর্ষটি ঘটে।আহতদের মধ্যে শহিদুল ইসলাম নামের এক যুবক গুলিবিদ্ধ হন। স্থানীয়রা জানান, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁকে রাতেই উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ তিন রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করেছে।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রসুলপুর এলাকার মৃত সুজাত আলীর ছেলে সাকিবুল হাসান নিজেকে রূপগঞ্জ মানবাধিকার সংস্থার সদস্য পরিচয় দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। ওই পোস্টে একই এলাকার আবু দায়েন প্রধানের ছেলে মাহিম চুদলিং পং লিখে কমেন্ট করেন।এ নিয়ে রাত ১১টার দিকে দু’জনের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়ভাবে বাগবিতণ্ডা হয়। পরে রাত ২টার দিকে দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র ও পিস্তল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলাকালে কয়েকটি বাড়িঘরে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনাও ঘটে। এ সময় শহিদুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হন এবং উভয় পক্ষের আরও চারজন আহত হয়। তাঁদের স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, ফেইসবুক পোস্টে কমেন্ট করাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ৫ জনের মতো আহত হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। দুই পক্ষের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হবে।আরডি
নারায়নগঞ্জে শালীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে দুলাভাই গ্রেফতার
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে বেড়ানোর কথা বলে নিজ বাসায় নিয়ে ৮ বছর বয়সী শালীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে দুলাভাই মো. মাসুদ (৩০) কে গ্রেফতার করেছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরর প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।সোমবার(৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মফিজুর রহমান।গ্রেফতার মো. মাসুদ ফরিদপুর সদর উপজেলার চন্দ্রপাড়া এলাকার মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে।পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার বেড়ানোর কথা বলে ভুক্তভোগীকে নিয়ে অভিযুক্ত তার ভাড়া বাসায় ভুক্তভোগীকে ডেকে নিয়ে যায়। এসময় অভিযুক্ত বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ভুক্তভোগীর শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন। পরবর্তীতে ধর্ষণের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন তিনি। পরে ভুক্তভোগী ভয় পেয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পরলে তার পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি জানতে চান। ভুক্তভোগী বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের কাছে খুলে বললে তারা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যান।এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মফিজুর রহমান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্তকে আমরা গ্রেফতার করেছি। ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।আরডি
মুন্সীগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কৃষি শ্রমিকের মৃত্যু
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আফর উদ্দিন (৪৫) নামের এক কৃষি শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (০৮ ডিসেম্বর ) বেলা ২টা ২০ মিনিটের দিকে গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের গুয়াগাছিয়া এলাকার জনৈক শাহ আলমের কৃষি জমিতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।নিহত আফর উদ্দিন জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ থানার পাড়ারামপুর ইউনিয়নের ভাতখাওয়া গ্রামের মৃত তসলিম উদ্দিনের ছেলে।জানা যায়, মাঠের পানির মটরের সুইচ অন করতে গেলে অসাবধানতাবশত বিদ্যুৎ শর্ট লেগে গুরুতর আহত হন তিনি। পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত তার সঙ্গী জসিম উদ্দিনসহ অন্যান্য শ্রমিকরা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।গজারিয়া থানার ওসি তদন্ত মোঃ সাব্বির জানান, পুলিশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে নিহতের মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন সম্পন্ন করে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।আরডি
হানাদার মুক্ত দিবসে ববিতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন
১৯৭১ সালের ৮ ডিসেম্বর বরিশাল হানাদারমুক্ত হয়েছিল। সেই ঐতিহাসিক দিনটিকে স্মরণ করে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল।সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালের সর্বস্তরের মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ এবং বরিশাল হানাদার মুক্ত দিবস উদযাপন করা হয়।অনুষ্ঠানে ভূমিকা সরকার বলেন, যারা বরিশালকে মুক্ত করার জন্য লড়াই করেছেন, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই আমাদের এই আয়োজন। তরুণ প্রজন্মকে তাদের লড়াই-সংগ্রামের ইতিহাস জানানো জরুরি। ব্যক্তিকে বাদ দিয়ে নিরপেক্ষভাবে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরতে হবে।আব্দুর রহমান বলেন, ৫৪ বছর আগে আজকের এই দিনে লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বরিশালে প্রথম স্বাধীনতার পতাকা উড়েছিল।পাশাপাশি আমরা বলতে চাই মুক্তিযুদ্ধের এই ইতিহাস প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে সঞ্চারিত হোক । ক্লিনটন চাকমা বলেন, ৮ ডিসেম্বরের এই দিনে আমরা স্মরণ করছি সেই সব বীর মুক্তিযোদ্ধাদের, যাদের আত্মত্যাগে বরিশাল স্বাধীন হয়েছিল।এনআই
আমতলীতে ভিক্ষুকদের আর্থিক অনুদান ও সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ প্রদান
বরগুনার আমতলী উপজেলায় সরকারের ভিক্ষুক পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান কর্মসূচির আওতায় ভিক্ষুকদের আর্থিক অনুদান ও সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ প্রদান করা হয়েছে। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় উপজেলা পরিষদ হলরুমের সামনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব অনুদান বিতরণ করা হয়।অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন, বরগুনা জেলা প্রশাসক তাছলিমা আক্তার। সভাপতিত্ব করেন, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ মানজুরুল হক কাওসার।অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আতিকুল ইসলাম, আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক মোহাম্মদ জাফর আরিফ চৌধুরী, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ রাসেল মিয়া, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আল আমিন, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক ম্যানেজারের কামাল হোসেন, আমতলী সাংবাদিক ইউনিয়নের (ভারপ্রাপ্ত) সাধারণ সম্পাদক এইচ এম কাওসার মাদবর, উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সজিব মিয়া, আল—আমিন বাবু, ইমরান হোসাইন প্রমুখ।কর্মসূচির আওতায় দুইজনকে পুনর্বাসনের জন্য প্রতি জনকে ২৫ হাজার টাকা করে মোট ৫০ হাজার টাকার মুদি ও মোনোহারি পণ্যের মালামাল প্রদান করা হয়।এ ছাড়া পল্লী সমাজসেবা কার্যক্রমের আওতায় মোট ৯ জনকে ৪ লাখ টাকা সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ প্রদান করা হয়। এর মধ্যে চারজনকে ৫০ হাজার টাকা করে এবং পাঁচজনকে ৪০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে।ইখা
"লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড" নষ্ট করছে বিএনপির ছোট একটি অংশ: ব্যারিস্টার ফুয়াদ
আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) এর সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেছেন, ‘বিএনপির রাজনৈতিক অঙ্গনে ছোট একটি অংশ সেই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের মতোই রাজনীতি করে যাচ্ছে। দলের পক্ষ থেকে এদেরকে চিহ্নিত করে প্রতিহত না করলে আগামী নির্বাচনে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখির পাশাপাশি দিনে দিনে ভোট কমে যাবে বিএনপির। আর এভাবে চলতে থাকলে ফ্যাসিস্টদের মতো তাদেরও পরিণতি হবে।’ ৮ ডিসেম্বর (সোমবার) দুপুরে বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি (বিআরইউ) কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে ফুয়াদ এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, ‘বাবুগঞ্জে ব্রিজ উদ্বোধনকালে বিএনপির কিছু ব্যক্তি আমাকেসহ আমার এবি পার্টির নেতাকর্মীদের পুলিশ প্রশাসনের সামনে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। বিষয়টি ছিল ফৌজদারি অপরাধ। যা পুলিশের সামনে ঘটায় তারা আইনি পদক্ষেপ নিতে পারতো। কিন্তু পুলিশ নিষ্ক্রিয় অবস্থায় থেকে শুধু ২/৩ বার বাঁশি বাজিয়েছে। নির্বাচনের আগেই পুলিশের এমন ভূমিকা। পরবর্তীতে তাদের ভূমিকা কেমন হবে। যখন যে দল আসে পুলিশ তখন সেই দলের দালালি করে। এমনটা চলতে থাকলে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।’তিনি বলেন, ‘এ ঘটনার দুই দিন আগে মুলাদি উপজেলায় একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন এলজিডির সচিব, জেলার ডিসিসহ জেলা পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা। সে অনুষ্ঠানও পণ্ড করে দিয়েছে বিএনপির রাজনৈতিক অঙ্গনে ছোট একটি অংশ। বিএনপির আগামীতে সরকার গঠন করবে- তাই এই দলের নেতাকর্মীরা ছোট দলের সঙ্গে ভালো আচরণ করে তাদের সহযোগিতা করবে এবং যারা হামলা-নির্যাতন করে তাদের বিরুদ্ধে দল ব্যবস্থা নিবে’-এমন প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন ব্যারিস্টার ফুয়াদ।সংবাদ সম্মেলনে ফুয়াদ আরেও বলেন, ‘বরিশালের মীরগঞ্জ সেতু নির্মাণের জন্য যে চিনা কোম্পানি টেন্ডার পেয়েছে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তবে যোগাযোগের যে ভাষা ছিল তাতে চীনা কোম্পানি মোটেই সন্তুষ্ট হয়নি।’দেশে এখন "লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড" নেই জানিয়ে ফুয়াদ বলেন, ‘এই প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ে একটা ভালো নির্বাচন হবে তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করার জন্য যার যেখানে যতটুকু দায়িত্ব আছে তার সেই দায়িত্ব পালন করা উচিত। তাছাড়া নির্বাচন কমিশনের একটা চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ভোটের পরিবেশ এনসিওর করা। এখনো অনেক নতুন ভোটার ভোটার হতে পারিনি।’ তাদের জন্য যাতে সময় বৃদ্ধি করা যায়, তারও দাবি জানান ফুয়াদ।ইখা
বাউফলে বিএনপির দলীয় মনোনয়নকে ঘিরে উত্তপ্ত বিএনপির রাজনীতি
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনের বিএনপির মনোনয়ন ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বিএনপির রাজনীতি। গত কয়েকদিন ধরে বিক্ষোভ সমাবেশ, মশাল মিছিল ও সড়ক অবরোধের মতন কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপির একাংশ।সোমবার (৮ ডিসেম্বর) বেলা সারে ১১টার দিকে বিএনপির সহশ্রাধিক নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করে বিএনপি দলীও কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। এ সময় নেতাকর্মী বিএনপির মনোনীতি প্রার্থী শহিদুল আলম তালুকদারের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেয়। এর আগে গত রবিবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বাউফল পৌরশহরের হাচোন দালাল মার্কেটের উপজেলা বিএনপি কার্যালয় এক জরুরি সভা ডাকে উপজেলা বিএনপি। সভায় নেতাকর্মীরা বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক মু. মুনির হোসেনকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি করেন।সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল জব্বার মৃধা। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা, পৌরসভা, ১৫ টি ইউনিয়ন ও ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যায়ের কমিটির কয়েকশ নেতা-কর্মী।উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আপেল মাহমুদ ফিরোজ বলেন, যিনি ২০০৮ সালের নির্বাচনে যিনি প্রকাশ্যে ধানের শীষের প্রার্থীর বিরোধতা করেছেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে যিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছেন সেই শহিদুল আলাম তালুকদারকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। বিগত ১৭ বছর তিনি কোনো আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন না। তিনি দুর্দিনে কোনো নেতাকর্মীর খোঁজ খবর নেননি। তার মত একজন ব্যক্তিকে তারা কোনোভাবেই মেনে নিবেন না।গতবৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে চারটায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ৩৬টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেন। এই ৩৬ আসনের মধ্যে পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনে বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য শহিদুল আলম তালুকদারের নামও ঘোষণা করা হয়।শহিদুল আলম জাতীয় পার্টি থেকে ১৯৯৬ সালে তিনি বিএনপিতে যোগদান করেন এবং বিএনপির মনোনয়নে ১৯৯৬ সালে ১২ জুন অনুষ্ঠিত সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করে ২৪ ভোটে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর কাছে হেরে যান। ২০০১ সালে ফের বিএনপির মনোনয়নে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালে বিএনপির মনোনয়ন পেলেও মামলাসংক্রান্ত জটিলতার কারণে তিনি অংশ নিতে পারেননি।এসআর
'রুপবান’ জাতের শিমে লাভবান কৃষক
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় সর্জন পদ্ধতিতে 'রুপবান' জাতের শিম চাষে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে। যা, চলতি মৌসুমে ৪০৫ হেক্টর জমির নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৪২৫ হেক্টরে শিম চাষ করেছেন কৃষকেরা। এসব তথ্য জানিয়েছেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নাজমুল হুদা।কৃষকদের ভাষায়, এই মৌসুমে আবহাওয়ার প্রতিকূল পরিবেশ সৃষ্টি না হলে লাভবান হবেন তারা। শীতের শুরুতে কৃষকরা প্রতি কেজি শিম ১৫০ টাকা করে বিক্রি করেছেন। ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রতি কেজি শিম ৭০ থেকে ৮০ টাকা পাইকারি দরে বিক্রি করেছেন। তবে দেশি জাতের শিমের কদর স্থানীয়দের কাছে বেশি রয়েছে।অধিক মুনাফা পাওয়ায় কৃষকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে সর্জন পদ্ধতিতে 'রুপবান' জাতের শিম চাষ। চারদিকে নদীবেষ্টিত এ অঞ্চলে বর্ষা ও জলোচ্ছ্বাসের কারণে অনেক সময় আবাদি জমিতে দীর্ঘদিন পানি আটকে থাকে। ফলে মৌসুমি চাষাবাদ বাধাগ্রস্ত হয়। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে সর্জন অর্থাৎ উঁচু বেড বা উঁচু কুপ তৈরি করে সবজি উৎপাদন পদ্ধতিটি কৃষকদের কাছে যেন নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে। বিশেষ করে এই জাতের শিম চাষে এ পদ্ধতি এখন বেশ লাভজনক এক চাষাবাদ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে।শিম চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কৃষকরা প্রচলিত চাষ পদ্ধতির তুলনায় সর্জন পদ্ধতিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। কারণ এই পদ্ধতিতে পানি নিষ্কাশন সহজ, মাটির উর্বরতা ধরে রাখা সম্ভব, পাশাপাশি গাছের শিকড়ও ভালোভাবে বেড়ে ওঠে। ফলে গাছ দ্রুত বড় হয় এবং আগাম সময়ে ফলন পাওয়া যায়। বাজারে আগাম শিমের চাহিদা ও দাম দুটোই বেশি হওয়ায় কৃষকরা বলছেন, এ পদ্ধতিতে বিনিয়োগের বিপরীতে লাভও তুলনামূলক বেশি।উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে উপজেলার আসলামপুর, ওমরপুর, চর মাদ্রাজ, আমিনাবাদ, এওয়াজপুর, জিন্নাগড়, হাজারীঞ্জ ইউনিয়নে কৃষকরা 'রুপবান' জাতের আগাম শিম চাষাবাদ করছেন। এ উপজেলায় ৮০০ কৃষক এই শিম চাষাবাদের যুক্ত রয়েছেন।আসলামপুর এলাকার কৃষক আবু তাহের বলেন, 'এক সময়ে সর্জন পদ্ধতি ছাড়া সবজি চাষাবাদ করেছিলাম, কখনো লোকসান, কখনো লাভবান হয়েছি। তবে এখন পুরো বছরেই সর্জন পদ্ধতিতে বিভিন্ন প্রকার সবজি চাষাবাদ করছি। এ বছরেই আমি ২৪০ শতাংশ জমিতে রুপবান জাতের আগাম শিম চাষ করছি। এতে প্রায় ৩ লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে। ফলন ভালো হলে প্রায় ১০ লাখ টাকার শিম বিক্রি করতে পারবো৷'কৃষক ইউছুফ বলেন, 'দুই মাস আগে সর্জন পদ্ধতিতে শিম চাষ শুরু করেছি। আগাম তোলায় ৬০ হাজার টাকার শিম বিক্রি করেছি। আমি চলতি মৌসুমে ২ একর ৫০ শতাংশ জমিতে শিমের আবাদ করছি। আবহাওয়ার অনুকূল পরিবেশ ও ফলন ভালো হলে শেষ পর্যন্ত ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা শিম বিক্রি করতে পারবো। সর্জন পদ্ধতিতে বিভিন্ন ধরনের সবজি উৎপাদনের কারনে তেমন ঝুঁকি থাকে না।'উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নাজমুল হুদা বলেন, 'দ্বীপ জেলা ভোলার চরফ্যাশন উপজেলাটি সবজি চাষের জন্য বিখ্যাত। সর্জন পদ্ধতিতে বছরব্যাপি প্রায় ৭ হাজার হেক্টর জমিতে সবজি চাষ করছে কৃষকরা। তবে শীতকালীন সবজির মধ্যে কৃষকরা রুপবান জাতের শিম চাষাবাদ করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। এই পদ্ধতিতে সবজি চাষ দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে কৃষকদের কাছে। আমরা সার্বক্ষণিক কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে আসছি।'ইখা
ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে বিয়ে করতে গেলেন সৌদি প্রবাসী
শখের বসে মাত্র এক কিলোমিটার ব্যবধানে ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে কনেকে বিয়ে করতে কনের বাড়ি গেলেন সৌদি প্রবাসী বর সাব্বির হোসেন। আধুনিক সভ্যতার এ যুগে প্রাচীন আমলের বিবাহরীতি নজর কেড়েছে উৎসুক মানুষের। তখন রাস্তার দুপাশে অসংখ্য নারী-পুরুষ ঘোড়ার গাড়ি প্রত্যক্ষ করে আনন্দ উপভোগ করেন।সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে এমনি ব্যতিক্রমী চিত্র দেখা গেছে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার বীরকামট খালী গ্রামে।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নান্দাইল উপজেলার বীরবেতাগৈর ইউনিয়নের বীরকামট খালী গ্রামের কৃষক রুহুল আমিনের কন্যা লিজা আক্তারের বিয়ে ঠিক হয় উপজেলার চরবেতাগৈর ইউনিয়নের চরকামট খালী গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক উজ্জ্বল মিয়ার সৌদি প্রবাসী ছেলে সাব্বির হোসেনের সঙ্গে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ৩০টি মোটরসাইকেল ও ৩টি মাইক্রোবাসে দুই শতাধিক বরযাত্রী এবং মাঝখানে সুসজ্জিত ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে বর যান কনের বাড়িতে। এ দৃশ্য দেখতে ভিড় জমায় নানা বয়সের মানুষ।স্থানীয় তাইজুল ইসলাম মাস্টার জানান, অনেকদিন পর প্রাচীনকালের হারিয়ে যাওয়া চিত্র দেখতে পেয়ে খুবই ভাল লাগল। গ্রামবাংলার প্রাচীন ঐতিহ্যের ছোঁয়ায় আধুনিক বিয়ের আয়োজন করায় বর পক্ষকে অশেষ ধন্যবাদ।বরের কাকা পল্লী চিকিৎসক গোলাম মোস্তফা জানান, আধুনিক যুগের বিয়েতে প্রাচীনতার ছোঁয়া লাগাতে সুদূর ঈশ্বরগঞ্জ থেকে ৫ হাজার টাকায় ভাড়া করা হয়েছে সুসজ্জিত ঘোড়ার গাড়ি।বরের পিতা উজ্জ্বল মিয়া বলেন, ‘আমার ছেলের ইচ্ছে ছিল ছেলেকে ঘোড়ার গাড়িতে করে বিয়ে করবে। সেই ইচ্ছে থেকেই ছেলেকে ঘোড়ার গাড়িতে করে বিয়ে করাইছি।’কনের পিতা রুহুল আমিন বলেন, ‘আমার মেয়ের বিয়েতে ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে বর এসেছেন। এটি একটি ব্যতিক্রমী আয়োজন। দেখে খুবই ভালো লেগেছে।স্থানীয়দের বিষয়টি মুগ্ধ করেছে।’ইখা
ময়মনসিংহে রিগান হত্যা: গ্রেফতারে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
ময়মনসিংহে ফয়সাল আহমেদ রিগান হত্যার বিচার এবং জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী ও সামাজিক সংগঠনের সদস্যরা।সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত নগরীর চরপাড়া মোড়ে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে নিহতের স্বজন, স্থানীয় বাসিন্দা এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সদস্যরা অংশ নেন। কর্মসূচি চলাকালে ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে, সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজট। ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।অংশগ্রহণকারীরা ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে হত্যাকারীদের নাম ও ছবি প্রকাশ করে দ্রুত গ্রেপ্তার এবং সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবি জানান। মানববন্ধনে নিহতের স্বজনরা অভিযোগ করেন, ফয়সাল আহমেদ রিগানকে পরিকল্পিতভাবে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। দ্রুত অভিযুক্তদের আইনের আওতায় না আনলে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেন তারা।প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী কর্মসূচির একপর্যায়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জড়িতদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে মানববন্ধনকারীরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।বক্তারা বলেন, হত্যাকাণ্ডটি ছিল নৃশংস ও পরিকল্পিত। দ্রুত সময়ের মধ্যে সব আসামিকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। খুনিদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া যাবে না।ব্যানারে উল্লেখিত তথ্য অনুযায়ী, গত মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে নগরীর চরপাড়া কফিক্ষেত এলাকায় ফয়সাল আহমেদ রিগানকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে, পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পর থেকে একাধিক আসামি পলাতক রয়েছেন বলে অভিযোগ স্বজনদের। ব্যানারে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়, তারা হলেন আকিব, নাজমুল, জিহাদ, হৃদয়, সেলিম, অন্তর, রাহাত, তারেক, রিজভি, দিগন্ত, ইমরান ও সৌরভ।এসআর
ভালুকায় হানাদার মুক্ত দিবস উদযাপিত
ময়মনসিংহের ভালুকায় হানাদারমুক্ত দিবস উপলক্ষে র্যালি, আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও বিশেষ দোয়া করা হয়।১৯৭১ সালের এই দিনে মেজর আফসার উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে ভালুকা পাক হানাদারমুক্ত হয়। মুক্তিযুদ্ধ শুরুর সময় ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর (অব.) সুবেদার আফসার উদ্দিন মাত্র একটি রাইফেল ও আট যোদ্ধাকে নিয়ে গড়ে তোলেন একটি গেরিলা ইউনিট। পরে ভালুকা থানা দখল করে সংগ্রহ করেন প্রায় ১৫টি রাইফেল, এলএমজি ও বিপুল গোলাবারুদ। এই শক্তিকে ভিত্তি করে তিনি প্রায় সাড়ে চার হাজার সদস্যের একটি বাহিনী গড়ে তোলেন, যা পরবর্তীতে এফজে-১১ সেক্টরের ‘আফসার ব্যাটালিয়ন’ নামে পরিচিতি পায়।স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের বর্ণনায় জানা যায়, রাজৈ ইউনিয়নের পারুলদিয়া গ্রামের আব্দুল হামিদ মেম্বারের কাছ থেকে পাওয়া একটি রাইফেল দিয়ে শুরু হওয়া এই ইউনিট প্রথম গেরিলা ক্যাম্প স্থাপন করে মল্লিকবাড়ি বাজারে। পরে শ্রীপুরের কাউরাইদ থেকে খীরু নদীপথে আসা পাকসেনাদের অস্ত্রবোঝাই নৌকা আটক করে তারা আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে।২৫ জুন ভাওয়ালিয়া বাজু এলাকায় শিমুলিয়া নদীর তীরে সংঘটিত ত্রিশ ঘণ্টার সরাসরি সংঘর্ষ ছিল ভালুকার মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ। মুক্তিযোদ্ধাদের তিন দিকের আক্রমণে বহু পাকসেনা হতাহত হয়। পরদিন আকাশ পথ থেকে পাক বাহিনীর হামলার মুখেও মুক্তিযোদ্ধারা পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।এই যুদ্ধে মল্লিকবাড়ির অষ্টম শ্রেণির ছাত্র তরুণ যোদ্ধা আব্দুল মান্নান শহীদ হন। আহত হন মজিবর রহমানসহ আরও পাঁচ মুক্তিযোদ্ধা।ভালুকার যুদ্ধের খবর সে সময় প্রচারিত হয় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র, অল-ইন্ডিয়া রেডিও এবং বিবিসিতে। একই সময়ে হানাদারদের সহযোগিতায় রাজাকার-আলবদররা ভালুকা অঞ্চলে হত্যা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও নির্যাতন চালায়। আফসার ব্যাটালিয়নের গড়ে তোলা ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল যুদ্ধজুড়ে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।দীর্ঘ নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধে আফসার উদ্দিনের ছেলে নাজিম উদ্দিন এবং মল্লিকবাড়ির আব্দুল মান্নানসহ মোট ৪৭ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।ইখা
নেত্রকোণা ট্র্যাজেডি দিবস পালিত
নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আজ পালিত হচ্ছে নেত্রকোণা ট্র্যাজেডি দিবস। নেত্রকোণায় উদীচীর সামনে জেএমবির আত্নঘাতী বোমা হামলায় নিহতদের স্মরণে প্রতিবছরের মতো জেলাবাসী এবারও ট্রাজেডি দিবসে তিন মিনিট স্তব্ধ নেত্রকোনা কর্মসূচি পালন করেছে।এ উপলক্ষে সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে কালো ব্যাজ ধারণ, উদীচী কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন, নিহতদের স্মরণে নির্মিত শহরের অজহর রোডে স্মৃতিস্তম্ভে পুস্পস্তবক অর্পন, স্মৃতিচারণ ও গণসংগীত, সকাল ১০টা ৪০ মিনিট থেকে ১০টা ৪৩ স্মৃতিস্তম্ভের সামনের সড়কে দাঁড়িয়ে ৩ মিনিট মিনিট ‘স্তব্ধ নেত্রকোনা’ কর্মসূচি পালন করা হয়। ট্র্যাজেডি দিবস পালন কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত এসব কর্মসূচিতে সব স্তরের মানুষ অংশ নেন। সকালে নিহতদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভে পুস্পস্তবক অর্পন করেন মুক্তিযোদ্ধাসহ সামাজিক,সাংস্কৃতিক সংগঠন।২০০৫ সালের এ দিনে অজহর রোডে উদীচীর সামনে জেএমবির আত্মঘাতী বোমা হামলায় উদীচীর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খাজা হায়দার হোসেন ও সাংগঠনিক সম্পাদক সুদীপ্তা পাল শেলিসহ আট জন নিহত হন। আহত হয়েছিলেন অর্ধশতাধিক।এরপর থেকে দিবসটি উপলক্ষে শহীদদের স্মরণে সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িক, মৌলবাদের বিরুদ্ধে শহরবাসী এক হয়ে ‘স্তব্ধ নেত্রকোনা’ পালন করে আসছে। প্রতিবছর এ কর্মসূচি পাঁচ মিনিট হলেও ট্রাজেডি পালন পর্ষদের আয়োজনে গত বছর থেকে তিন মিনিট করা হয়েছে। সব প্রকার যান চলাচল হাঁটাসহ সব কিছু বন্ধ থাকায় ভোগান্তি কমাতেই দুই মিনিট সময় কমিয়ে আনা হয়েছে।সেদিন ৯ ডিসেম্বর নেত্রকোনা মুক্ত দিবস উপলক্ষে সাংস্কৃতিক পরিবেশনার রিহার্সাল করার সময় প্রথমে একটি ডামি বোমা ফেলে যায়।পরে সবাই রিহার্সাল রেখে সেটি দেখতে ভিড় জমালে পরবর্তীতে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালায়। ওই হামলায় আত্মঘাতী কিশোর, মোটর মেকানিক যাদব দাস ও পথচারীসহ মোট আটটি তাজা প্রাণ ঝরে যায়।এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে জেএমবি প্রধান শায়খ আব্দুর রহমান, সিদ্দিকুর রহমান ওরফে বাংলা ভাই, সামরিক শাখার প্রধান আতাউর রহমান সানি, জেএমবি কমান্ডার আসাদুজ্জামান, সালাউদ্দিন এবং ইউনূসসহ আট জনকে আসামি করে পৃথক দুটি মামলা করে।ইতোমধ্যে ঢাকা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালত-২ নেত্রকোনায় বোমা হামলা মামলার সাত আসামিকে ফাঁসি ও বাংলা ভাইয়ের স্ত্রীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। ইখা
দেওয়ানগঞ্জে ভুলে ইঁদুরনাশক খেয়ে দুই বিয়াইয়ের মৃত্যু, দুই গ্রামে শোকের ছায়া
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার পাররামরামপুর ইউনিয়নে ভুল করে ইঁদুর মারার গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করে প্রাণ হারিয়েছেন দুই বিয়াই বানিয়াপাড়া গ্রামের কানকু মিয়া (৬০) এবং পোড়াভিটা গ্রামের কোম্পানি ওরফে কমল মিয়া (৫৫)। রবিবার রাতের এই অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুতে দুই গ্রামজুড়ে বইছে গভীর শোক আর আহাজারি।পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, রবিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে নিয়মিত ওষুধ খেতে গিয়ে ভুলবশত বাড়িতে রাখা ইঁদুরনাশক ট্যাবলেট সেবন করেন দুইজন। সাথে সাথে বুকে জ্বালা, মাথা ঘোরা ও শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে পরিবার তাদের দ্রুত দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান কানকু মিয়া। রাত গভীরেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তার বিয়াই কমল মিয়া।হঠাৎ এভাবে দুই পরিবারের দুই অভিভাবকের মৃত্যুতে বাকরুদ্ধ স্বজনরা। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন স্ত্রী-সন্তানসহ নিকটজনেরা। একসাথে চলাফেরা করা, সুখ-দুঃখে পাশাপাশি থাকা দুই বিয়াইয়ের একইদিনে এমন মৃত্যু মানুষকে আরও শোকাহত করেছে।স্থানীয় এক বাসিন্দা জানালেন, “এভাবে ভুলে বিষ খেয়ে দুইজন মানুষ চলে যাবে এটা বিশ্বাসই করা যাচ্ছে না। গ্রামের প্রতিটি ঘরে এখন শুধু কান্না আর মাতম।”এ ঘটনাকে ‘চরম হৃদয়বিদারক’ উল্লেখ করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলেন, বাড়িতে বিষাক্ত দ্রব্য সুরক্ষিতভাবে না রাখার কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। তারা সকলকে ঘরে থাকা বিপজ্জনক ট্যাবলেট আলাদা রাখা ও সতর্কতা বাড়ানোর আহ্বান জানান।হঠাৎ দুই প্রাণের বিদায়ে বানিয়াপাড়া ও পোড়াভিটা গ্রামের আকাশ আজ যেন আরও অন্ধকার। শোকাহত পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন এলাকাবাসী।এসআর
রংপুরে নিহত মুক্তিযোদ্ধা দম্পতির শেষকৃত্য রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় হত্যাকাণ্ডের শিকার মুক্তিযোদ্ধা দম্পতি (অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায় এবং তাঁর স্ত্রী সুবর্ণা রায়) শেষকৃত্য রাষ্ট্রীয় মার্যাদায় সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে তাঁদের মরদেহ রাহিমাপুরের খিয়ারপাড়া এলাকায় নিজ বাড়িতে আনা হয়। এরপর আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকাল সাড়ে ৪ টায় মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায়কে স্থানীয় রহিমাপুর চাকলা সরকারি প্রাইমারি স্কুল মাঠ প্রাঙ্গণে রাষ্ট্রীয়ভাবে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন তারাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোনাব্বর হোসেন, তারাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রুহুল আমিন , উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের আহ্বায়ক ডা. আলী হোসেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, উপজেলার কর্মরত শিক্ষক এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তার দুই ছেলে রাজেশ রায় ও সুবেন্দ্র রায়। তাদের মধ্যে একজন বাংলাদেশ পুলিশে ও একজন র্যাব ক্যাম্প জয়পুরহাটে কর্মরত আছেন।পরে যোগেশ চন্দ্র রায় ও তাঁর স্ত্রী সুবর্ণা রায়ের শেষকৃত্য বাড়ির পাশের শ্মশানে সম্পন্ন হয়।উল্লেখ্য, গত শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের রহিমাপুর খিয়ারপাড়া গ্রামে অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায় (৭৫) এবং তাঁর স্ত্রী সুর্বণা রায় (৬০)-কে তাদের নিজ বাড়িতে নৃশংসভাবে গলা ও মাথায় কুপিয়ে নির্মমভাবে খুন করে দুর্বৃত্তরা।উল্লেখিত ঘটনায় নিহত দম্পতির পুত্র সুবেন্দ্র রায় বাদী হয়ে তারাগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার নম্বর- ২, তারিখ: ০৭ ডিসেম্বর,২০২৫।তারাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোনাব্বর হোসেন বলেন, ‘নিহত মুক্তিযোদ্ধাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষ বিদায় হয়েছে। যারা এই ঘটনায় জড়িত তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।’আরডি
ফুলবাড়ীতে কৃষকদের বীজ ও সার প্রদান
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ১ হাজার ৭০০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে বোরো ধান বীজ ও সার প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে কৃষি অফিস চত্বরে বীজ ও সার প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দিলারা আকতার।এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছা: নিলুফা ইয়াছমিন, অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা রাফিকা আক্তার, সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শিশির কুমার কিশোর, উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা, শাহনাজ লাইজু চৌধুরী, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিক, আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ। কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, সোমবার (৮ ডিসেম্বর) কার্যক্রম উদ্বোধনের পর থেকে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ১ হাজার ৭০০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মধ্যে কৃষি প্রনোদনা কর্মসূচির আওতায় উফশি হাইব্রিড জাতের ধান, বীজ ও সার প্রদান করা হবে। এর মধ্যে ৫০০ জন কৃষকের মধ্যে ৫ কেজি করে উফশী জাতের ধান বীজ, ৫ কেজি ডিএপি ও এমওপি সার এবং ১ হাজার ২০০ জন কৃষককে দুই কেজি করে হাইব্রিড জাতের ধান বীজ বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তা। ইখা
হিলিতে ম্যাজিকের মত কমেছে পেঁয়াজের দাম
একদিনের ব্যবধানে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির ফলে দিনাজপুরের হিলির খুচরা বাজারে ম্যাজিকের মত কমেছে সব ধরনের পেঁয়াজের দাম। দেশি ভাল মানের পেঁয়াজ প্রকারভেদে কেজি প্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা কমে ৯০ থেকে ১০০ টাকা, দেশি মুড়ি কাটা পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৩০ টাকা কমে ৭০ এবং ভারত থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৭০ থেকে ৭৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ভারত থেকে আমদানির কারনে দেশের বিভিন্ন মোকামে কমেছে দাম বলছেন ব্যবসায়ীরা। দাম কমাতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে ক্রেতাদের মাঝে। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে হিলির পেঁয়াজের বাজার ঘুরে এই তথ্য পাওয়া যায়। হিলির বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা মাজহারুল ইসলাম মানিক বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির কারনে হিলির বাজারে কমেছে দাম। এতে করে আমাদের সাধারণ ক্রেতাদের কিছুটা সুবিধা হয়েছে। কারন দুই দিন আগে পেঁয়াজ কিনছিলাম মুড়ি কাটা পেঁয়াজ ১১০ টাকা কেজি দরে কিনতে হয়েছিলো কিন্তু আজ সেই মুড়ি কাটা পেঁয়াজ মাত্র ৭০ টাকা কেজি দরে কিনলাম। অপর দিকে দেশি ভাল মানের পেঁয়াজ হিলির বাজারে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। নিয়মিত বাজার মনিটরিং করার দাবী জানান ক্রেতারা।হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা রায়হান কবির বলেন, দেশের বিভিন্ন মোকামে দেশি পেঁয়াজের দাম কমেছে। বর্তমানে মুড়ি কাটা পেঁয়াজ ৭০ টাকা এবং দেশি ভাল মানের পেঁয়াজ প্রকারভেদে ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সেই সাথে ভারত থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তারা কম দামে কিনে কম দামে বিক্রি করছেন। ভারত থেকে আমদানি স্বাভাবিক থাকলে আরো দাম কমে আসবে বলেও জানান এই পেঁয়াজ বিক্রেতা। হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী কর্মকর্তা ইউসুফ আলী জানান, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুর পর্যন্ত চার জন আমদানিকারক ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পেয়েছেন। তারা হলেন, রবেল ইন্টারপ্রাইজ, শাহাজান আলী পাইকার, এমআর টেড্রার্স এবং রকি টেড্রার্স। হিলি কাস্টমসের তথ্য মতে, রোববার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে ১টি ভারতীয় ট্রাকে ৩০ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে এই স্থলবন্দর দিয়ে। এসআর
অনিয়ম লুকাতে হাজিরা খাতা নিয়ে অধ্যক্ষের ঢাকা গমন!
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে এক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দিনের পর দিন প্রতিষ্ঠানে না এসে নিয়মিত বেতন উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। বেশির ভাগ সময়ই রংপুরে পরিবারের সঙ্গে থাকেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। অধ্যক্ষ নিয়মিত কলেজে উপস্থিত না হয়েও যেদিন কলেজে আসেন সেদিন হাজিরা খাতায় আগের কর্মদিবসে উপস্থিতি দেখিয়ে স্বাক্ষর করেন।অভিযোগ উপজেলার সোনাহার টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের অধ্যক্ষ আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে। নিজের ইচ্ছেমাফিক কলেজে যাতায়াত করায় পুরো কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। নামকাওয়াস্তে প্রতিষ্ঠান প্রধানের দায়িত্ব পালন করায় অন্য শিক্ষক ও কর্মচারীদের মধ্যেও স্বেচ্ছাচারিতা দেখা দিয়েছে।রবিবার (৭ ডিসেম্বর) অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে দুপুর পৌনে ১টায় সরেজমিন কলেজটিতে গেলে শিক্ষক-কর্মচারীদের কলেজ প্রাঙ্গনে রোদে বসে আড্ডা দিতে দেখা যায়। অধ্যক্ষের অফিস পাওয়া যায় তালাবদ্ধ। সাংবাদিকের উপস্থিতিতে অস্বস্তিতে পড়েন উপস্থিত শিক্ষক-কর্মচারীরা। আটজন শিক্ষক ও সাতজন কর্মচারীর এই কলেজে ২০০ শিক্ষার্থী রয়েছে বলে জানান উপস্থিত শিক্ষকরা।কিছু দূর এগিয়ে শ্রেণীকক্ষে প্রবেশ করে দেখা গেল মাত্র ১৬ জন শিক্ষার্থী নিয়ে দ্বাদশ শ্রেণীর ক্লাস চলছে। একাদশ শ্রেণীর ক্লাসের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে কোন শিক্ষার্থীকে পাওয়া যায়নি। উপস্থিত শিক্ষকরা জানান, ক্লাস শেষ হওয়ায় একাদশ শ্রেণীর সবাই চলে গেছে। যদিও রুটিন অনুযায়ী ১২টা ৪০-১ টা ২০ পর্যন্ত ইংরেজি-১ ও ১টা ২০-২টা পর্যন্ত অর্থনীতি ও বাণিজ্যিক ভূগোল বিষয়ে পাঠদান হওয়ার কথা।অধ্যক্ষ নিয়মিত আসেন কী-না এমন প্রশ্নে উপস্থিত সবাই তা এড়িয়ে যান। আজ আসেননি কেন? -জানতে চাইলে অধ্যক্ষ কলেজের কাজে ঢাকায় অবস্থান করছেন বলে জানান। পরে শিক্ষকদের হাজিরা খাতা দেখানোর অনুরোধ জানালে সবাই একে অপরের দিকে তাকিয়ে চুপ করে থাকেন। পুনরায় অনুরোধ জানালে হাজিরা খাতা নিয়ে অধ্যক্ষ ঢাকা গেছেন বলে দাবি করা হয়। আজ কোথায় স্বাক্ষর করেছেন এমন প্রশ্নে একসঙ্গে সবাই বলে উঠেন, 'আজ স্বাক্ষর করেননি কেউই'।কলেজের এমন চিত্রে ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয়রা। সোনাহার বাজারের ব্যবসায়ী তরিকুল বলেন, ‘কলেজটিতে ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিতি খুবই কম থাকে। বছরের শুরুতে শুধু একাদশ শ্রেণীতে শিক্ষার্থী ভর্তি শিক্ষকদের প্রধান টার্গেট। এরপর সারা বছর কলেজ নিয়মমাফিক না চলে শিক্ষকদের মর্জিমাফিক চলে।’নূরুর বাজার এলাকার মোসলেম উদ্দিন বলেন, ‘শিক্ষকদের যেটুকু উপস্থিতি তার পুরোটাই মাস শেষে বেতনের আশায়। কলেজে যেমন শিক্ষার্থী সংকট আছে তেমনি শিক্ষার মানও যাচ্ছেতাই।’অধ্যক্ষ আতিকুর রহামান কলেজে নিয়মিত উপস্থিত না হওয়ার পেছনে পারিবারিক কারণকে দায়ী করেছে একটি সূত্র। অধ্যক্ষের বড় মেয়ে আসফি নীলফামারীর সরকারি কলেজে একাদশ শ্রেনীতে পড়েন। মেজ মেয়ে ছোটন রংপুর ক্যাডেট কোচিং এ পড়েন। এজন্য রংপুরেই বেশির ভাগ সময় থাকা হয় বলে জানায় সূত্রটি।এই বিষয়ে অধ্যক্ষ আতিকুর রহমানকে মুঠোফোনে কল দিলে তিনি ঢাকা থেকে দেবীগঞ্জে ফিরছেন বলে জানান। এসে এই বিষয়ে কথা বলবেন বলে জানান।কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও উপজেল নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘বিষয়টি যাচাই না করে কিছু বলা যাচ্ছে না। আমি খোঁজ নিয়ে দেখব।’কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের রংপুর বিভাগের আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালক নাহিদ হাসান বলেন, ‘বিষয়টি নজরে এলো। কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হিসেবে ইউএনও দায়িত্বে আছেন। আমি ওনাকে বিষয়টি জানাবো। সেই সঙ্গে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা যেন এই বিষয়গুলো মনিটরিং এর আওতায় আনেন সেই ব্যাপারেও বলব।’ হাজিরা খাতা ঢাকায় নেওয়ার প্রয়োজন আছে কী-না -এমন প্রশ্নে পরিচালক নাহিদ হাসান বিস্ময় প্রকাশ করেন।ইখা
রংপুরের তারাগঞ্জে নিয়মবহির্ভূতভাবে সার মজুদ করায় ব্যবসায়ীকে জরিমানা
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার হাঁড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের ডাংগীরহাট বাজারে রবিবার (৭ ডিসেম্বর) সার ব্যবস্থাপনা আইনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকালে বিএডিসির সার ডিলার মোঃ আশরাফুজ্জামান এর গোডাউন থেকে ১০৭ বস্তা টিএসপি সার জব্দ করা হয়। নিয়ম বহির্ভূতভাবে ১০৭ বস্তা টিএসপি সার মজুদ করায় মোঃ আশরাফুজ্জামান, পিতা: ওবায়দুল্লাহ প্রামাণিক, মেনানগর, ডাংগীরহাট, তারাগঞ্জ, রংপুর সার ব্যবস্থাপনা আইন, ২০০৬ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় ৩০,০০০/- টাকা অর্থদন্ড আরোপ করে আদায় করা হয়। একইসাথে ১০৭ বস্তা সার উপস্থিত কৃষকদের মাঝে সরকার নির্ধারিত মূল্যে বিতরণ করা হয়।বিক্রিত ১,৪৬,৪৫০ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার জন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়। একইসাথে কৃত্রিমভাবে সারের সংকট সৃষ্টি করায় মো: শহীদুল ইসলাম, পিতা: মৃত আলহাজ্ব কপিল উদ্দিন, পূর্বকুর্শা মাছুয়াপাড়া, তারাগঞ্জ, রংপুরকে কৃষি বিপণন আইন, ২০১৮ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় ২০,০০০/- টাকা অর্থদন্ড আরোপ করে আদায় করা হয়।ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন তারাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মোনাব্বর হোসেন। তিনি বলেন, এ ধরনের র্ভিযান নিয়মিত পরিচালনা করা হবে। অসাধু ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনা হবে।এফএস
নারীকে হত্যার পর চোখ উপড়ে ড্রেনে ফেলে যায় প্রেমিক
সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার নলিছাপাড়ার একটি কলাবাগান থেকে উদ্ধার হওয়া চোখ উপড়ানো নারীর পরিচয় শনাক্ত করেছে পুলিশ। ওই নারীকে হত্যার পর চোখ উপড়ে ড্রেনে ফেলে যায় প্রেমিক।এ ঘটনায় নিহত নারীর প্রেমিক সোহেল রানাকে (৩৫) গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি একই ইউনিয়নের গুনেরগাঁতী গ্রামের মো. আসাদুল্লাহর ছেলে।নিহত নারীর নাম মোছা. মরিয়ম বেগম (৪৮)। তিনি সদর উপজেলার খোকশাবাড়ী ইউনিয়নের বাসিন্দা।সোমবার দুপুরে সদর থানা চত্বরে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) নাজরান রউফ এ তথ্য জানান।সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, মরিয়ম বেগম দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন। প্রায় দুই থেকে তিন বছর আগে তার সঙ্গে সোহেলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে সোহেল বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকেন। তবে মরিয়ম সময় নিতে চাইলে তাদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল।একপর্যায়ে ৫ ডিসেম্বর মরিয়ম ও সোহেল সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কুশিয়াহাটা এলাকায় দেখা করেন। সেখানে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ক্ষুব্ধ হয়ে মরিয়মকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন সোহেল। পরে মরিয়মের চোখ উপড়ে লাশ পাশের কলাবাগানের একটি ড্রেনে ফেলে রেখে তিনি পালিয়ে যান। এ ঘটনার পর তথ্যপ্রযুক্তি ও বিভিন্ন সূত্রের সহায়তায় সোহেল রানাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।সংবাদ সম্মেলনে সিরাজগঞ্জ সদর থানা পুলিশের পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আহসানুজ্জামানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।উল্লেখ্য, রোববার দুপুরে স্থানীয় বাসিন্দারা আবাদি জমির পাশে একটি কলাবাগানে চোখ উপড়ানো নারীর লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পরে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।এনআই
নাটোরে অতিরিক্ত ঠান্ডায় রেললাইনে ফাটল
নাটোরের নলডাঙ্গায় অতিরিক্ত শীতের কারণে রেললাইনে ফাটল দেখা দিয়েছে। এতে ১ নম্বর লাইনে ট্রেন ধীরগতিতে চলাচল করছে বলে জানায় স্টেশন কর্তৃপক্ষ।সোমবার (৮ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার মাধনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।স্থানীয়রা জানান, মাধনগর রেলস্টেশনের দক্ষিণে ২৫৩ নম্বর পিলারের কাছে ফাটল দেখতে পান স্থানীয়রা। এ সময় তারা দ্রুত বিষয়টি স্টেশন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন।গ্রাম পুলিশ নাজমুল হোসেন জানান, মাধনগর রেলস্টেশনের দক্ষিণে এনড়ারপাড় এলাকায় এক নম্বর লাইনে স্থানীয়রা প্রথম ফাটলটি দেখতে পান। ঘটনাস্থলে মেরামতের কাজ চলছে।রেলওয়ের ট্রলিম্যান জুলফিকার হোসেন জানান, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। রেলওয়ের কর্মীরা দ্রুত তা মেরামতে কাজ করছেন। তবে ওই লাইনে ট্রেন ধীরগতিতে চলাচল করছে।স্টেশন মাস্টার আব্দুল আওয়াল জানান, অতিরিক্ত শীতের কারণে রেললাইন ফেটে গেছে।এসআর
নওগাঁয় বৃদ্ধের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
নওগাঁর পোরশায় গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় মজিবর রহমান (৫৬) নামে এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। মজিবর রহমান উপজেলার মর্শিদপুর ইউনিয়নের গোরখাই গ্রামের মৃত ধলা মন্ডলের ছেলে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মজিবর রহমান রবিবার সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। সন্ধ্যায় বাড়ি না ফিরলে পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুজি শুরু করে। খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে আজ সকালে বাড়ির পাশে ঘোলাকুড়ি এলাকার একটি গাছের ডালে তার মরদেহ ঝুলে থাকতে দেখেন। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।পোরশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমান বলেন, খবর পেয় ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।এসআর
সেতু নয়, দড়ির নৌকাই ভরসা: সিরাজগঞ্জে নদী পারাপারে চরম ভোগান্তি
অর্ধশতাব্দী ধরে সেতুবিহীন ঝপঝপিয়া নদী পার হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গা ইউনিয়নের অন্তত ২০টি গ্রামের মানুষ। চরবেড়া, চরগোজা, বড় গোজা, মানিকদিয়ার, তেলকুপি, ভরমোহনী ও সাতটিক্রি এলাকার শিক্ষার্থী-জনসাধারণ প্রতিদিন দড়ি টেনে ডিঙ্গি নৌকা চালিয়ে নদী পার হচ্ছেন। এতে চরম দুর্ভোগের পাশাপাশি দুর্ঘটনার আশঙ্কা স্থায়ী হয়ে উঠেছে।স্থানীয় চরগোজা গ্রামের সত্তরোর্ধ ইছহাক মিয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পঞ্চাশ বছর দড়ি টানি, তবুও সেতুর দেখা মিলল না। কত নেতা প্রতিশ্রুতি দিল, কেউ কথা রাখে নাই। জীবনে ব্রিজ দেইখা যাইতে পারমু কিনা সন্দেহ।সলঙ্গা ধামাইকান্দি সড়কের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝপঝপিয়া নদী পার হয়ে ইউনিয়ন পরিষদ, বাজার, ডাকঘর, সাব-রেজিস্ট্রি অফিস, থানা ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করেন এলাকাবাসী। চরবেড়া খেয়াঘাটে ষষ্ঠি চন্দ্র দাস নামের এক ব্যক্তি ডিঙ্গি নৌকায় পারাপার করলেও বয়সজনিত কারণে অধিকাংশ সময় তিনি ঘাটে অনুপস্থিত থাকেন। ফলে নৌকা ব্যবহারকারীদের নিজেরাই দড়ি টেনে পার হতে হয়।চরবেড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চরবেড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, মাঝি না থাকায় তারা প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হন। দড়ি ছিঁড়ে যাওয়া বা ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে যাওয়ার ঘটনা নিত্যদিনের। অনেকের বই-খাতা ভিজে নষ্ট হয়।স্থানীয় ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, স্বাধীনতার আগে বাঁশের সাঁকো থাকলেও মুক্তিযোদ্ধোত্তর সময়ে আর কোনো সেতু নির্মাণ হয়নি। বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিকে বহুবার আবেদন করেও কেবল আশ্বাস ছাড়া কিছু পাওয়া যায়নি।সলঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মন্টু জানান, ঝপঝপিয়া নদীতে সেতু নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিনের। রাজনৈতিকভাবে বিষয়টি গুরুত্ব পেলেও বাস্তবায়ন হয়নি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এলজিইডি একাধিকবার জরিপ করেছে।উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ শহিদুল্লাহ বলেন, নদীর ওপর সেতু নির্মাণের জন্য প্রস্তাব প্রস্তুত করে এলজিইডির প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন মিললেই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে।এসআর
দরজা ভেঙে বিছানা থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার
বগুড়ায় ঘরের দরজা ভেঙে সাবিকুন নাহার (৪৩) নামে এক দর্জির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সদর থানা পুলিশ শনিবার রাত ১১টার দিকে শহরের জামিলনগর এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে।সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মাহফুজ আলম জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা- ওই নারী অসুখে মারা গেছেন। এরপরও মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হতে মরদেহ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।পুলিশ ও এলাকাবাসীরা জানান, পর্দানশীন সাবিকুন নাহার চট্টগ্রাম পোর্ট এলাকার হোন্দালপাড়ার গোলাম সবানীর মেয়ে। তিনি নয় মাস আগে বগুড়া শহরের জামিলনগর এলাকায় শাহজাহানের বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন। তিনি বিভিন্ন ধরনের দর্জির কাজ করতেন। শনিবার বিকালের পর তিনি বাড়ির ঘরে অবস্থান করলেও কারো ফোন ধরেননি। রাত ৯টার দিকে দরজায় ডাকাডাকি করে তার কোনো সাড়া মেলেনি। পরে জানালা দিয়ে বিছানায় মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এরপর সদর থানা পুলিশে খবর দেওয়া হয়।বাড়ির মালিক শাহজাহান মিয়া জানান, নয় মাস আগে সাবিকুন নাহার এক ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে এসে নিজেদের স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দেন। এরপর দুই হাজার টাকায় দুই কক্ষের বাড়ি ভাড়া নেন। স্বামী পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তির বাড়ি বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার রানীরহাট এলাকায়। তবে তিনি তার নাম জানেন না। ওই ব্যক্তি মাঝে মাঝে জামিলনগরের ওই বাসায় এসে ওই নারীর সঙ্গে রাতে থাকতেন।তিনি আরও জানান, এক সপ্তাহ আগে তাদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এরপর থেকে সাবিকুন নাহার একাই বাড়িতে থাকতেন। শনিবার রাত ৯টার পর স্বামী পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তিকে ফোন করে সাবিকুন নাহারের মৃত্যু সংবাদ দিলে তিনি ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, বিছানায় ওই নারীর মরদেহ পড়ে আছে। মাক্স দিয়ে তার মুখ ঢাকা। বিছানায় দুই প্যাকেট খাবার ও কিছু ওষুধ ছড়ানো ছিটানো ছিল। ঘরের অন্যান্য জিনিসপত্র স্বাভাবিক ছিল।বগুড়া সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মাহফুজ আলম জানান, মৃত ওই নারীর শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। বিছানায় ডায়াবেটিসের কিছু ওষুধ পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই নারীর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। এরপরও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। আপাতত সদর থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।এনআই
হবিগঞ্জে ট্রাক চাপায় স্কুলশিক্ষক নিহত
হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলায় ট্রাক চাপায় রূপজিত কর রাজু (৩৬) নামে স্কুল শিক্ষক মারা গেছেন। রবিবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের নতুনবাজার এলাকার বেন্দারপুল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।নিহত রাজু উপজেলার মিরপুর সানশাইন মডেল হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক এবং বানিয়াগাঁও গ্রামের নিপেশ করের ছেলে। এ ঘটনায় সানশাইন মডেল হাই স্কুলের সকল পরীক্ষা স্থগিত করে শোক পালনে একদিনের বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।স্থানীয় সূত্র জানায়, রবিবার সকালে চাকরিজীবী স্ত্রীকে কুলাউড়ার উদ্দেশ্যে মিরপুর বাজার থেকে বাসে তুলে দেওয়ার পর রাজু কর বাড়ি ফিরে আসেন। এরপর এলাকার আরও দুইজনকে সঙ্গে নিয়ে মিরপুর–শ্রীমঙ্গল আঞ্চলিক মহাসড়ক ধরে নতুনবাজার এলাকায় হাঁটতে যান। সকাল ৭টার দিকে বেন্দারপুল এলাকায় পৌঁছালে শ্রীমঙ্গলগামী একটি সবজি বোঝাই ট্রাক তাদের চাপা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।দুর্ঘটনায় রূপজিত কর রাজু ও ফুরঞ্জন দেব গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদের হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসক রূপজিতকে মৃত ঘোষণা করেন। ফুরঞ্জন দেবকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।ইখা
যারা এতদিন নির্বাচনের জন্য পাগল ছিলেন, তাদের এখন ভিন্ন সুর: জামায়াত আমির
যারা এতদিন নির্বাচন নির্বাচন করে পাগল হয়ে গিয়েছিলেন, তারা এখন ভিন্ন সুরে কথা বলছেন। কারণ তারা বুঝতে পারছেন, জনগণ তাদের লালকার্ড দেখাবে। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সিলেটে সমমনা ইসলামি ৮ দলের বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটসহ পাঁচ দফা দাবিতে সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠে অনুষ্ঠিত হয় সমাবেশটি। জামায়াত আমির বলেন, দেশবাসী আশা করেছিল- অতীত অপকর্মের পরিণতি থেকে শিক্ষা নিয়ে রাজনীতিবিদরা নতুন করে রাজনীতি শুরু করবেন। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি, একদল সেই পুরাতন ধারায় পড়ে আছে। তারা কোনো সংস্কারে রাজি না, সনদ বাস্তবায়নেও রাজি না। এখন আবার কোথাও কোথাও আমরা ভিন্ন সুর শুনতে পাচ্ছি। যারা এতদিন নির্বাচন নির্বাচন করে জনগণকে বেহুঁশ করে তুলেছিল, এখন তারা ভিন্ন সুরে কথা বলতে শুরু করেছে। এ লক্ষণ ভালো নয়। তারা বুঝতে পেরেছে বাংলাদেশের জনগণ তাদেরকে আগামী নির্বাচনে লাল কার্ড দেখানোর জন্য প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে। এ সময়, কেউ নির্বাচনকে ভন্ডুল করার চেষ্টা করলে, তাদের সব ষড়যন্ত্র দেশের সংগ্রামী জনগণ ভন্ডুল করে দেবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। তিনি আরও বলেন, আমাদের যুবসমাজ যেই আকাঙ্ক্ষা নিয়ে রক্ত দিয়েছে, তার সাথে ৮ দল সম্পূর্ণ একমত। এই আকাঙ্ক্ষার বিপক্ষে যারা দাঁড়াবেন, জনগণ আগামী নির্বাচনে তাদেরকে আর ক্ষমা করবে না। কেউ কেউ আমাদেরকে অন্যদের রক্তচক্ষুর ভয় দেখান— অমুক শক্তি, তমুক শক্তি, অমুক দেশ, তমুক দেশ। তাদের উদ্দেশে বলেন, ইসলামি এবং দেশপ্রেমিক নেতাকর্মী হাসিমুখে যেখানে ফাঁসি বরণ করতে পারে, তাদেরকে কোনো কিছুর ভয় দেখাবেন না। আমরা ভয় করি শুধু আল্লাহ তায়ালাকে। বাকি যাদের কথা বলেন, তাদেরকে আমরা কোনো পাত্তাই দেই না। ডা. শফিকুর রহমান বলেন, বিশ্বের সব শান্তিকামী সভ্য দেশকে আমরা সম্মান জানাই। কিন্তু কেউ যেন আমাদের ওপরে কোনো দাদাগিরি করতে না আসে। আমরা আর কারো দাদাগিরি দেখতেও চাই না, বরদাস্ত করতেও রাজি নই। বাংলাদেশ চলবে আল্লাহ তায়ালার নির্দেশ মোতাবেক, এই দেশের জনগণের পছন্দে। এ সময়, যারা প্রশাসনিক ক্যু'র মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে চান তাদের উদ্দেশে বলেন, সেই সূর্য দেশে উঠবে না। সমাবেশে ইসলামী আন্দোলনের আমির সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, যারা নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র করছে, তাদের বয়কট করবে জনগণ। অপরদিকে, খেলাফত মজলিশের মহাসচিব মামুনুল হক বলেন, গণভোটে যারা 'না'-এর পক্ষে ক্যাম্পেইন করবে, তাদের জনতা প্রত্যাখ্যান করবে। আরডি
হবিগঞ্জে বেপরোয়া ট্রাক চাপায় নারী নিহত
হবিগঞ্জ জেলার শহরের পোদ্দারবাড়ি বাইপাস এলাকায় রাস্তা পারাপার হওয়ার সময় ট্রাক চাপায় সুজিনা আক্তার (২০) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন। তিনি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পইল নাজিরপুর গ্রামের মো. মানিক মিয়ার মেয়ে।শুক্রবার (০৫ ডিসেম্বর) রাতে শহরের পোদ্দারবাড়ি বাইপাস এলাকায় রাস্তা পার হওয়ার সময় ঢাকা মেট্রো-ট-২০১৭২৮নংট্রাক তাকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ট্রাকটি হবিগঞ্জ শহরের দিকে আসার সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।স্থানীয়রা জানান, পোদ্দারবাড়ি বাইপাস এলাকা জনবহুল। সড়কের পাশে বাজার ও একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকায় প্রতিদিন মানুষের চলাচল বেশি। তবুও দীর্ঘদিন ধরে এখানে স্পিড ব্রেকার না থাকায় যানবাহনগুলো বেপরোয়া গতিতে চলাচল করে। এ কারণে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে স্থানীয়রা বিভিন্ন সময় দাবি জানিয়ে আসছেন।দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। ট্রাকটি আটক করা হলেও চালক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পুলিশ ঘাতক চালককে শনাক্তে চেষ্টা চালাচ্ছে। হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দেলোয়ার হোসেন দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।এসআর
আজ হবিগঞ্জ মুক্ত দিবস
আজ ৬ ডিসেম্বর হবিগঞ্জ মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর সদস্যরা মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল প্রতিরোধে হবিগঞ্জ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। মুক্ত হয় হবিগঞ্জ জেলা। তাছাড়া হবিগঞ্জের অবহেলিত মুক্তিযোদ্ধাদের পুনর্বাসন ও বধ্যভূমি, গণকবরগুলো সংরক্ষণ, গণহত্যা এলাকার হতাহতদের পরিবারের লোকদের সাহায্য-সহযোগিতা এবং স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের।১৯৭১ সালের ৪ এপ্রিল হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় তেলিয়াপাড়া ডাকবাংলো থেকে সারা দেশকে মুক্তিযুদ্ধের ১১টি সেক্টর বিভক্ত করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের উপ সর্বাধিনায়ক মেজর জেনারেল এম এ রব (বীরউত্তম) ও মেজর জেনারেল এজাজ আহমেদ চৌধুরীর নির্দেশে ভারতের খোয়াই বাঘাই ক্যাম্পের ২২ কোম্পানীর ৩৩ মুক্তিফৌজ নিয়ে গঠিত ১নং প্লাটুন কমান্ডার আব্দুস শহীদের নেতৃত্বে ৩ ডিসেম্বর হবিগঞ্জের বাহুবলে অবস্থান নেয়।এর পর তারা কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে হবিগঞ্জের বিভিন্ন পাক ক্যাম্পে হামলা চালায়। এ সময় বেশ কয়েকজন পাকসৈন্য প্রাণ হারায়। একটানা ৩ দিনের অভিযানের পর ৬ ডিসেম্বর ভোরে পাক বাহিনী পালিয়ে যায়। এ সময় মুক্তিযোদ্ধারা বিজয়ের বেসে সারা শহর প্রদক্ষিণ করে সদর থানায় বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন। ওই দিন একই সাথে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ, লাখাই, চুনারুঘাট ও অন্যান্য উপজেলাও মুক্ত হয়।যে সকল মুক্তিযোদ্ধা হবিগঞ্জ মুক্ত করেন তারা হলেন আব্দুস শহিদ, সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান বাচ্চু, মো. শুকুর মিয়া, মো. সিরাজুল ইসলাম, সিরাজ মিয়া, মো. রইছ আলী, আব্দুল কুদ্দুছ, আবু মিয়া, আ. লতিফ, মো. গিয়াস উদ্দিন, কালা মিয়া, ছাবু মিয়া প্রমুখ।আর হবিগঞ্জ মুক্ত করতে গিয়ে বানিয়াচং উপজেলার মাকালকান্দি, লাখাই উপজেলার কৃষ্ণপুর, চুনারুঘাট উপজেলার লাল চান চা বাগান, নালুয়া চা বাগান ও বাহুবল উপজেলার রশিদপুর সহ বিভিন্ন স্থানে সহস্রাধিক মুক্তিকামী নারী-পুরুষকে প্রাণ দিতে হয়েছে।৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধে জেলার ২৭ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। যুদ্ধে আহত হন ৩৭ জন মুক্তিযোদ্ধা। এছাড়া নিরীহ অসংখ্য মানুষ নর-নারী ও মুক্তিযোদ্ধা হানাদারদের নির্মম নিষ্ঠুরতার শিকারে শহীদ হন।এসব শহীদদের জন্য তেলিয়াপাড়া, ফয়জাবাদ, কৃষ্ণপুর, নলুয়া চা বাগান, বদলপুর, মাকালকান্দিতে বধ্যভূমি নির্মিত হয়। হবিগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা ও তরুন প্রজন্মের দাবি অবিলম্বে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ সম্পন্ন, অবহেলিত মুক্তিযোদ্ধাদের পুনর্বাসন ও গণহত্যা, বধ্যভূমি ও মুক্তিযুদ্ধকালীন স্মৃতিস্থানগুলো সংরক্ষণ করা হউক।পাশাপাশি গণহত্যা এলাকাগুলোতে এখনো যারা পঙ্গু, ক্ষতিগ্রস্ত ও হতাহতদের পরিবারগুলোর অবর্ণনীয় দূরাবস্থা ও তাদের পুনর্বসানের উদ্যোগ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও ভুক্তভোগীরা।এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ সদর উপজেলা কমান্ডার মো. আব্দুস সহিদ বলেন, ৭১ এর ৬ ডিসেম্বর মিত্রবাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর যৌথ অভিযানে হানাদাররা পিছু হটতে থাকে। ৬ ডিসেম্বর হবিগঞ্জ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পর্যন্ত মুক্ত হয়।তিনি বলেন, ৭১ এর যুদ্ধকালে দেশ বিরোধী রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু জামাত- শিবির এ বিচার প্রক্রিয়া নস্যাৎ করতে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ও যুদ্ধক্ষেত্র, মুক্তিযুদ্ধের বধ্যভূমি, চারণভূমি সংরক্ষণের জন্য মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পরপর একাধিক প্রকল্প গ্রহণ করা হয় এবং অধিকাংশ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। মুক্ত দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।এসআর
বেইলিব্রিজ ভেঙে হবিগঞ্জ-বানিয়াচং সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
রত্না বেইলি ব্রিজের পাটাতন ভেঙে হবিগঞ্জ জেলা সদরের সঙ্গে বানিয়াচং ও আজমিরীগঞ্জের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। পাঁচ লক্ষাধিক মানুষ এখন ফেরিতে করে দ্বিগুণ সময় ও খরচ করে যাতায়াত করছে।শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে বানিয়াচংগামী ভারী ট্রাক ব্রিজে উঠতেই হবিগঞ্জ-বানিয়াচং সড়কের রত্না বেইলি ব্রিজের মাঝখানের পাটাতন ভেঙে পড়ে। এরপর থেকেই যান চলাচল বন্ধ। সুনামগঞ্জের দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলের লোকজনও এ সড়ক ব্যবহার করত। ব্রিজ ভেঙে পড়ায় দুইপারে আটকে থাকা যানবাহন নদীপথে যাত্রী ও পণ্য পারাপার করছে। রত্না নদীতে অস্থায়ী ফেরি চালু হয়েছে। একটি বাইসাইকেল পারাপারে ৫০ টাকা, আর পণ্য বোঝাইয়ের আকার-ওজন অনুযায়ী ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। সময়ও দ্বিগুণ লাগছে। সিএনজি অটোরিকশার যাত্রীরা দুই ধাপে ভাড়া দিচ্ছেন।জানা যায়, ব্রিজের মাঝখানের পাটাতন দেবে গেছে হাঁটারও সুযোগ নেই। সওজের কর্মীরা ট্রাকের মাল সরিয়ে ব্রিজ মেরামতের চেষ্টা করছেন। দুই পাড়ে ফেরির অপেক্ষায় রয়েছে যানবাহনের দীর্ঘ সারি।পত্রিকা এজেন্ট মোস্তাকিম আহমদ বলেন, ‘সেতু ভাঙায় বাইসাইকেলসহ ফেরি পার হতে ৫০ টাকা দিতে হয়েছে।’ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা ফারুক আহমেদ বলেন, ‘মোটরসাইকেলসহ পার হতে ১০০ টাকা লেগেছে। অটোরিকশাগুলোকে সাধারণ যাত্রীদের কাছ থেকেও দুই দফায় বাড়তি ভাড়া নিতে দেখেছি। ফলে চালকদের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়াচ্ছেন যাত্রীরা।’বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা বেগম সাথী বলেন, ‘নির্ধারিত ওজনের বেশি পণ্য নিয়ে ট্রাক ওঠায় ব্রিজটি ভেঙে গেছে। সওজ আজকের মধ্যেই যোগাযোগ স্বাভাবিকের চেষ্টা চালাচ্ছে। ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে।’এসআর
অনলাইন ভোট
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট আয়োজন করা হবে। আপনি কি এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন?
আন্তর্জাতিক
সব দেখুন
আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য কঠোর হচ্ছে ইউরোপ, না ছাড়লে হবে জেল
অবৈধ অভিবাসন ও আশ্রয়প্রার্থীদের চাপ সামলাতে আরও কঠোর নিয়ম আনতে যাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) অভিবাসন নীতিতে কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্তে ঐকমত্যে পৌঁছেছে ইইউ’র সদস্য দেশগুলো। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’রবেলজিয়ামের ব্রাসেলসে সোমবার ইইউ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীদের বৈঠকে পদক্ষেপের কয়েকটি প্রাথমিকভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়। ইউরোপীয় কমিশনের উপস্থাপিত ওই প্রস্তাবের ওপর প্রথমবারের মতো ভোট হবে। এতে থাকছে অভিবাসীদের আগমন ও প্রত্যাবর্তন আরও কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা।এই নিয়মের মধ্যে থাকবে ইইউ’র ২৭ দেশের বাইরে অভিবাসীদের জন্য ‘রিটার্ন হাব’ বা পুনর্বাসন কেন্দ্র স্থাপনের ধারণার প্রতি সমর্থন। ইউরোপজুড়ে ডানপন্থী দলগুলোর ভোটের জনপ্রিয়তা বাড়তে পারে—এই আশঙ্কায় বিভিন্ন সরকার অভিবাসন ইস্যুতে আরও কঠোর অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করছে। এরপরই আসতে যাচ্ছে কঠোর পদক্ষেপ।নতুন প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে—ইইউ-এর বাইরে পুনর্বাসন কেন্দ্র (রিটার্ন হাব) স্থাপনস্বেচ্ছায় দেশে না ফিরলে কঠোর শাস্তি ও দীর্ঘ মেয়াদি জেলনিজ দেশে নয়, ইইউ নির্ধারিত ‘নিরাপদ’ তৃতীয় দেশে অভিবাসী ফেরত পাঠানোইউরোপীয় কমিশনের প্রস্তাবিত এই পদক্ষেপগুলো এখন কার্যকর হওয়ার আগে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এই পদক্ষেপগুলো ইইউর অভিবাসন ব্যবস্থাকে আরও কঠোর ও দ্রুত কার্যকর করার প্রচেষ্টার অংশ বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।তবে অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা এ ধরনের কঠোরতার বিরুদ্ধে কড়া আপত্তি জানিয়েছে।এবি
চীনের কাছে ভারতীয়দের নিশানা না করার আশ্বাস চায় ভারত
চীনের বিমানবন্দর দিয়ে ট্রানজিটের সময় ভারতীয় নাগরিকদের নিশানা করা, ইচ্ছেমতো আটক কিংবা হয়রানি না করতে বেইজিংয়ের কাছে নিশ্চয়তা চেয়েছে ভারত। গত মাসে সাংহাই বিমানবন্দরে ভারতীয় এক নাগরিককে আটকের ঘটনার পর সোমবার নয়াদিল্লি এই প্রত্যাশার কথা জানিয়ে দিয়েছে।সাংহাই বিমানবন্দরে ভারতীয় নাগরিককে আটক করার ঘটনায় চীনের কাছে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিল ভারত। দিল্লি বলছে, এমন ঘটনা দুই দেশের সম্পর্ক পুনর্গঠনের প্রচেষ্টাকে দুর্বল করে।ভারতের গণমাধ্যম বলছে, যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ভারতীয় পাসপোর্টধারী প্রিমা ওয়াংজম থংডককে গত ২১ নভেম্বর ট্রানজিটের সময় আটক করে চীনের নিরাপত্তা বাহিনী। ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য অরুণাচল প্রদেশে জন্ম নেওয়ায় তার পাসপোর্ট ‘অবৈধ’ বলে সেই সময় তাকে জানানো হয়।এই ঘটনার জেরে ভারতীয় নাগরিক প্রিমাকে জাপানের পরবর্তী ফ্লাইটে উঠতে দেওয়া হয়নি এবং ১৮ ঘণ্টা ধরে আটকে রাখা হয়। বেইজিং অরুণাচল প্রদেশকে দক্ষিণ তিব্বতের অংশ হিসেবে দাবি করে। যদিও বেইজিংয়ের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে দিল্লি।সোমবার নয়াদিল্লিতে সাপ্তাহিক সংবাদ ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রনধীর জয়সওয়াল বলেছেন, ‘‘আমরা আশা করছি, চীনা কর্তৃপক্ষ চীনের বিমানবন্দর দিয়ে যাতায়াতকারী ভারতীয় নাগরিকদের বাছাই করে লক্ষ্যবস্তু করবে না। ট্রানজিটের সময় ভারতীয় নাগরিকদের ইচ্ছেমতো আটক কিংবা হয়রানি করবে না এবং আন্তর্জাতিক বিমান ভ্রমণবিধির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করবে বেইজিং।তিনি ভারতীয় নাগরিকদের চীন বা চীনের মধ্য দিয়ে ভ্রমণের ক্ষেত্রে ‘‘যথাযথ সতর্কতা’’ অবলম্বনেরও পরামর্শ দিয়েছেন। তবে এই বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।গত মাসে চীন বলেছিল, দেশের সব বিমানবন্দরের নিরাপত্তা আইন ও বিধি অনুযায়ী পরিচালিত হয়।বছরের পর বছর ধরে চলে আসা উত্তেজনার মাঝে সম্প্রতি সম্পর্ক উন্নয়নের দিকে জোর দিয়েছে চিরবৈরী দুই প্রতিবেশী ভারত-চীন। সম্পর্ক উন্নয়নে উচ্চপর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক সফর হয়েছে। গত আগস্টে সাত বছরের মধ্যে প্রথমবার চীন সফর করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সফরে প্রতিদ্বন্দ্বিতার বদলে অংশীদারিত্বের প্রতিশ্রুতি দেন মোদি ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।২০২০ সালে হিমালয়ে দুই দেশের সেনাবাহিনীর সদস্যদের সংঘর্ষে ২০ ভারতীয় ও চার চীনা সৈন্য নিহত হওয়ার পর সম্পর্ক তিক্ত হয়ে ওঠে। প্রতিবেশী এই দুই দেশের মাঝে ৩ হাজার ৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ অমীমাংসিত সীমান্ত রয়েছে।সূত্র: রয়টার্সএবি
নাগরিকদের চীন ভ্রমণ নিয়ে সতর্কতা জারি ভারতের
ভারতীয় নাগরিকদের চীনে ভ্রমণ বা চীনের ট্রানজিট নেওয়ার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। অরুণাচল প্রদেশের এক ভারতীয় নারীকে সাংহাই বিমানবন্দরে আটক করার দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় পরে সোমবার (৮ ডিসেম্বর) নয়াদিল্লি এমন ঘোষণা দিয়েছে। ওই নারী জাপান যাওয়ার সময় সাংহাই বিমানবন্দরে ট্রানজিট নিতে গেলে তার ভারতীয় পাসপোর্টকে বৈধ বলে মানতে অস্বীকৃতি জানায় চীনা কর্তপক্ষ।সোমবার সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জওসয়াল বলেন, ‘আমরা আশা করি চীনা কর্তৃপক্ষ এই নিশ্চয়তা দেবে যে, চীনা বিমানবন্দর দিয়ে যাতায়াতকারী ভারতীয় নাগরিকদের বেছে বেছে লক্ষ্যবস্তু করা হবে না, নির্বিচারে আটক বা হয়রানি করা হবে না। একইসঙ্গে চীনা পক্ষ আন্তর্জাতিক বিমান ভ্রমণ নিয়ন্ত্রণকারী নিয়মগুলোকে সম্মান করবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতীয় নাগরিকদের চীনে ভ্রমণের সময় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিচ্ছে।’নয়াদিল্লিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জসওয়াল আরও বলেন, ‘আমরা বারবার বলেছি, অরুণাচল প্রদেশ ভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ আছে এবং থাকবে। আমরা এতে কোনও হস্তক্ষেপ চাই না।চীন-ভারত সম্পর্ক নিয়ে তিনি বলেন, সম্পর্ক ধীরে ধীরে ইতিবাচক দিকে এগিয়ে চলেছে এবং আমরা এটিকে সেদিকেই এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।অন্যদিকে সম্প্রতি খালিস্তানিদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে ব্রিটিশ সরকার। সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে গুরপ্রীত সিং রেহল নামে এক ব্যক্তি ও ‘বব্বর অকালি লহর’ নামে এক সংগঠনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ব্রিটেন সরকার। বিতর্কিত এই সংগঠন ‘বব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনাল’ নামে খালিস্তানি সংগঠনের অংশ বলে নিশ্চিত করে যুক্তরাজ্যে পুলিশ। এ প্রসঙ্গে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘আমরা ভারত-বিরোধী চরমপন্থী সত্তাগুলিকে নিষিদ্ধ করার জন্য যুক্তরাজ্য সরকারের পদক্ষেপকে স্বাগত জানাই, যা সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থার বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী লড়াইকে শক্তিশালী করবে। এটি অবৈধ আর্থিক প্রবাহ এবং আন্তঃজাতিক অপরাধ নেটওয়ার্ক বন্ধ করতে সাহায্য করবে।’এবি
জাপানে শক্তিশালী ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা জারি
জাপানের পূর্ব আওমোরি উপকূলের কাছে ৭.৬ মাত্রা শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় রাত প্রায় ১১টা ১৫ মিনিটে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের পর আওমোরি, ইওয়াতে ও হোক্কাইডোর উপকূলীয় এলাকায় সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। খবর দ্য জাপান টাইমসের।জাপানি সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, বহু এলাকায় সুনামি ঢেউয়ের উচ্চতা ৩ মিটার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এসব অঞ্চলের বাসিন্দাদের দ্রুত উঁচু স্থানে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জাপানের আবহাওয়া সংস্থা (জেএমএ) জানিয়েছে, আওমোরির হাচিনোহে শহরে জাপানি ভূমিকম্পমাত্রা স্কেলে আপার-৬ তীব্রতা রেকর্ড করা হয়েছে।জেএমএ-এর তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল প্রায় ৫০ কিলোমিটার গভীরে এবং এর মাত্রা ছিল আনুমানিক ৭.৬।ভূমিকম্পের পর ইস্ট জাপান রেলওয়ে কয়েকটি রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। ২০১১ সালের মার্চে রিখটার স্কেলে ৯ মাত্রার ভূমিকম্পে দেশটির রেলব্যবস্থা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।জাপান প্রশান্ত মহাসাগরের 'রিং অফ ফায়ার'-এর ওপর অবস্থিত। যেখানে ইউরেশিয়ান, ফিলিপাইন এবং প্যাসিফিক টেকটোনিক প্লেট মিলিত হয়েছে। অর্থাৎ, জাপান তিনটি মিলিত টেকটোনিক প্লেটের ওপর অবস্থান করছে। এটিকে পৃথিবীতে ভূতাত্বিকভাবে সবচেয়ে সক্রিয় অঞ্চল বলা হয়। এই ভূতাত্ত্বিক অস্থিতিশীলতার কারণে জাপানে বছরে প্রায় দেড় হাজারের মতো ভূমিকম্প হয়, সুনামির সতর্কতাও দেওয়া হয় বিভিন্ন সময়।এবি
এক হামলাতেই ৩৬ মোসাদ সদস্যকে হত্যার দাবি করল ইরান
ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশন গার্ডস কোরের (আইআরজিসি) মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলি মোহাম্মদ নাইনি দাবি করেছেন, গত মধ্য-জুনে ১২ দিনের যুদ্ধের সময় ইসরায়েলের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে একাধিক হামলা চালায় তার দেশ। হাইফা তেল শোধনাগারে দুটি সফল ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দাবি করেন তিনি। মোসাদের একটি গোয়েন্দা স্থাপনা লক্ষ্য করেও হামলা চালানো হয়।ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাইনি বলেন, ইরান ইসরায়েল-নিয়ন্ত্রিত হাইফা শহরের বৃহত্তম তেল শোধনাগারটিতে দুই বার আঘাত হানে এবং ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের একটি স্থাপনা লক্ষ্য করে চালানো হামলায় ৩৬ জন নিহত হয়।তিনি আরও উল্লেখ করেন, ইরান দুর্বল হয়ে পড়েছে ইসরায়েলের এই ধারণা ছিলো সম্পূর্ণ ভুল। তার মতে, ইসরায়েল ভেবেছিলো পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কেন্দ্রগুলোতে আঘাত এবং কমান্ডারদের হত্যার জবাব ইরান দিতে পারবে না। আর এই ভুল হিসাবের ভিত্তিতেই ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেছিল।প্রসঙ্গত ১৩ জুন ইসরায়েল বিনা প্ররোচনায় ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে। এতে ইরানের বহু উচ্চপদস্থ সামরিক কমান্ডার, পারমাণবিক বিজ্ঞানী এবং সাধারণ নাগরিক নিহত হন। এর এক সপ্তাহেরও বেশি সময় পরে জাতিসংঘ সনদ, আন্তর্জাতিক আইন এবং পারমাণবিক অস্ত্র প্রসার রোধ চুক্তি (এনপিটি)-এর মারাত্মক লঙ্ঘন করে তিনটি ইরানি পারমাণবিক কেন্দ্রে বোমা হামলা চালিয়ে এই যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও যোগ দেয়।তবে, ২৪ জুন ইরানের টানা পাল্টা প্রতিরোধের মুখে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ বন্ধ করতে বাধ্য হয় বলে দাবি করেছেন নাইনি।১২ দিনের যুদ্ধে চীন ও রাশিয়ার কাছে ইরানের সাহায্য না চাওয়ার বিষয়ে নাইনি বলেন, সামরিক চুক্তি অনুযায়ী সামরিক হস্তক্ষেপ ও যুদ্ধে জড়ানো হয়। যেহেতু চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের কোনো সামরিক চুক্তি ছিল না, তাই আমরা কোনো অনুরোধ করিনি। সূত্র: প্রেস টিভিএমআর-২
মালয়েশিয়ায় কিশোরীকে ‘ধর্ষণের’ অভিযোগে বাংলাদেশি যুবক গ্রেফতার
মালয়েশিয়ায় ১৬ বছর বয়সি এক কিশোরীকে ‘ধর্ষণের’ অভিযোগে ৩১ বছর বয়সি এক বাংলাদেশি যুবককে গ্রেফতার করেছে দেশটির পুলিশ।সোমবার (৮ ডিসেম্বর) কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পরপরই ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়। ভুক্তভোগী কিশোরী বর্তমানে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানা গেছে।পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত যুবক নেগারি সেম্বিলান রাজ্যের তামান সেমারাকের একটি মুদি দোকানে কাজ করতেন। ভুক্তভোগী কিশোরীও একই দোকানে তার সহকর্মী ছিল।গত ৩০ এপ্রিল কিশোরীর মা তার মেয়ের শারীরিক পরিবর্তন লক্ষ্য করে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে যান। সেখানে পরীক্ষার পর জানা যায় কিশোরীটি সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা। পরবর্তীতে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের পরামর্শে ওই কিশোরীর পরিবার পুলিশের কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করে। নিলাই জেলা পুলিশ সুপার জোহরি ইয়াহইয়া এক বিবৃতিতে জানান, ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর অভিযুক্ত বাংলাদেশি যুবক মালয়েশিয়া থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে চলে গিয়েছিলেন। দীর্ঘ কয়েক মাস পর সোমবার (৮ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা ৪৪ মিনিটে তিনি পুনরায় মালয়েশিয়ায় প্রবেশের চেষ্টা করেন। তবে বিমানবন্দরের অ্যারাইভাল হলে পৌঁছাতেই আগে থেকে সতর্ক থাকা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত যুবক স্বীকার করেছেন যে মুদি দোকানে কাজ করার সময় তিনি ওই কিশোরীকে চারবার ‘ধর্ষণ’ করেছিলেন।পুলিশ সুপার জোহরি ইয়াহইয়া আরও জানান, অভিযুক্ত বাংলাদেশিকে রিমান্ডের আবেদনের জন্য মঙ্গলবার (৯ অক্টোবর) সেরেম্বান ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হবে। ঘটনার অধিকতর তদন্ত চলছে।আরডি
থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, পালাচ্ছে হাজারো মানুষ
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সীমান্ত এলাকায় নতুন করে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ার পর উভয় দেশের সীমান্তবর্তী এলাকার হাজার হাজার বাসিন্দা তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। সোমবার (০৮ ডিসেম্বর) উভয় দেশের সৈন্যদের হামলা-পাল্টা হামলায় ৫ জনের প্রাণহানির ঘটনার পর সীমান্তের আতঙ্কিত বাসিন্দারা পালিয়ে যাচ্ছেন।ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, সোমবারের সীমান্ত সংঘাতের জন্য পরস্পরকে দায়ী করেছে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া। গত জুলাইয়ে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ার পর এটিই দুই দেশের মাঝে সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষ।থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল জানান, থাইল্যান্ড কখনোই সহিংসতা চায়নি। তবে সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আর কম্বোডিয়ার সাবেক নেতা হুন সেন থাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিনা উসকানিতে হামলার অভিযোগ করেছেন।গত মে মাসের শুরুর দিক থেকে প্রতিবেশী দুই দেশের ব্যাপক উত্তেজনা চলছে। উভয় দেশের সংঘাতে ৪০ জনেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। এছাড়া পাল্টাপাল্টি আমদানি নিষেধাজ্ঞা ও ভ্রমণে বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে দুই দেশ।সোমবার থাইল্যান্ডের সেনাবাহিনী দেশটির উবন রাচাথানি প্রদেশে কম্বোডিয়ার ছোড়া গোলার জবাব দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে। এমনকি বিতর্কিত সীমান্ত বরাবর কম্বোডিয়া বিমান হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করে থাই সেনাবাহিনী। তবে কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, কম্বোডিয়ার প্রেহ ভিহিয়ার প্রদেশে প্রথম হামলা চালিয়েছে থাই সামরিক বাহিনী।সোমবারের সংঘর্ষে অন্তত একজন থাই সৈন্য ও কম্বোডিয়ার চার বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এছাড়া এই সংঘাতে আরও অন্তত এক ডজন মানুষ আহত হয়েছেন বলে উভয় দেশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।রোববার উভয় দেশের সৈন্যদের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি হওয়ায় থাইল্যান্ডের সীমান্তের পাঁচটি প্রদেশের প্রায় ৬৫০টি স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন থাই শিক্ষামন্ত্রী।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, কম্বোডিয়ার সীমান্ত লাগোয়া কয়েকটি প্রদেশের শত শত স্কুল থেকে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের বাসায় নিয়ে যাচ্ছেন। এ সময় চারপাশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়।দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দুই দেশের শত বছরের পুরোনো সীমান্তবিরোধ নিয়ে গত ২৪ জুলাই ব্যাপক উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। ওই দিন সকালে কম্বোডিয়ার রকেট হামলার জবাবে বিমান হামলা চালায় থাইল্যান্ডের সামরিক বাহিনী।কয়েকদিন পর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের মধ্যস্থতায় ‘‘তাৎক্ষণিক ও শর্তহীন যুদ্ধবিরতিতে’’ রাজি হয় ব্যাংকক ও নম পেন। পরে গত অক্টোবরে মালয়েশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিতিতে উভয় দেশ যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সই করে। সেই সময় থাই-কম্বোডিয়ার সীমান্ত সংঘাতের অবসানকে ‘‘ঐতিহাসিক সাফল্য’’ দাবি করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।কিন্তু চুক্তি স্বাক্ষরের মাত্র দুই সপ্তাহ পর কম্বোডিয়া সীমান্তে স্থল মাইন বিস্ফোরণে থাইল্যান্ডের দুই সৈন্য আহত হওয়ার পর চুক্তির বাস্তবায়ন স্থগিতের ঘোষণা দেয় ব্যাংকক। যদিও কম্বোডিয়া বারবার বলেছে, তারা চুক্তিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।সূত্র: বিবিসি।এমআর-২
নেতানিয়াহুকে ক্ষমা করতে ট্রাম্পের চাপকে পাত্তা দিচ্ছেন না ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট
আদালতে চলমান দুর্নীতি মামলা থেকে অব্যহতি চেয়ে ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট ইসাক হেরজগের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তাকে ক্ষমা করে দিতে ইসরায়েলের প্রেসিডেন্টের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।তবে ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট জানান, এ ইস্যুতে ট্রাম্পের চাপকে আমলে নিতে আগ্রহী নন তিনি। গতকাল রোববার মার্কিন সাময়িকী পলিটিকোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হেরজগ বলেছেন, “তিনি (নেতানিয়াহু) চিঠি দিয়েছেন এবং আমার দপ্তর সেই চিঠি গ্রহণ করেছে। যেহেতু চিঠিতে যে অনুরোধ তিনি জানিয়েছেন, তা বেশ ব্যাতিক্রম— তাই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে আমি ইসরায়েলের জনগণের স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবো।”প্রসঙ্গত, জেরুজালেম জেলা আদালতে ঘুষ, প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে ৩টি দুর্নীতি মামলা চলছে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে। ২০১৯ সালে এই মামলাগুলো দায়ের ও সেগুলোর বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়।একটি মামলার অভিযোগে বলা হয়, নেতানিয়াহু এবং তার স্ত্রী সারাহ ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে উপহার হিসেবে অলঙ্কার, সিগার এবং দামী মদ নিয়েছিলেন, যেগুলোর সম্মিলিত মূল্য প্রায় ২ লাখ ৬০ হাজার ডলার। দ্বিতীয় মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, গণমাধ্যমের কাছ থেকে অধিকতর ইতিবাচক প্রচার পেতে তিনি মিডিয়া মোগলদের অবৈধ রাষ্ট্রীয় সুবিধা দিয়েছেন।আর তৃতীয় মামলটির অভিযোগপত্রে বলা হয়, ইসরায়েলি টেলি যোগাযোগ প্রতিষ্ঠান বেজেককে রাষ্ট্রীয় সুবিধা পাইয়ে দিতে কোম্পানি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ঘুষ নিয়েছেন নেতানিয়াহু।২০১৯ সালে যখন মামলাগুলোর বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়, সেসময় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন নেতানিয়াহু এবং নিজের প্রভাব খাটিয়ে সেগুলোর বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত রেখেছিলেন তিনি।পরে ২০২১ সালের জুনে ফের সেই মামলাগুলো পুনরুজ্জীবিত করা হয়। সে সময় নেতানিয়াহু ছিলেন বিরোধী দলীয় নেতা।২০২১ সাল থেকে মামলার কার্যক্রম নিয়মিত চললেও গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর এই কার্যক্রম স্থগিত রাখতে জরুরি নির্দেশ দিয়েছিলেন ইসরায়েলের বিচারমন্ত্রী ইয়ারিভ লেভিন।গত অক্টোবরে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির পর ফের শুরু হয়েছে এসব মামলার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।মামলার কার্যক্রম শুরুর পর নেতানিয়াহুকে দুর্নীতির অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিতে ইসরায়েলের প্রেসিডেন্টের প্রতি আহ্বান জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।নেতানিয়াহুর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে ট্রাম্পের সুপারিশ কোনো প্রভাব ফেলবে কি না— পলিটিকোর এমন প্রশ্নের উত্তরে হেরজগ বলেন, “ইসরায়েল একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র। আমরা এই রাষ্ট্রের আইনের ব্যাপারে শ্রদ্ধাশীল। আইন যে সিদ্ধান্ত নেবে, তা ই ঘটবে।”“আরেকটি কথা হলো ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্পর্ক বরাবরই উষ্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ। এই সম্পর্ক দীর্ঘ কয়েক দশকের এবং আমি মরে করি এই সম্পর্ককে যথাযথ প্রেক্ষাপটে দেখা উচিত।”সূত্র : আনাদোলু এজেন্সিএমআর-২
নাইজেরিয়ায় অপহৃত শতাধিক স্কুলশিক্ষার্থী উদ্ধার
নাইজেরিয়ায় একটি খ্রিস্টান ক্যাথলিক আবাসিক স্কুল থেকে অপহৃত হওয়া ১০০ শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেছে দেশটির সেনা-পুলিশ যৌথবাহিনী। রবিবার (০৭ ডিসেম্বর) তাদেরকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।নাইজেরিয়ার খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সংস্থা ক্রিশ্চিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব নাইজেরিয়া (সিএএন)-এর বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।গত ২১ নভেম্বর নাইজেরিয়ার উত্তর-মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশ নাইজারের পাপিরি গ্রামের সেন্ট মেরি’স ক্যাথলিক বোর্ডিং স্কুলে হামলা চালিয়ে ২২৭ জন শিক্ষার্থী এবং ১২ জন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে অপহরণ করে একদল সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা।অপহৃত এই শিশু ও শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে সেদিন থেকেই অভিযান শুরু করে নাইজেরিয়ার সেনা-পুলিশ যৌথ বাহিনী। ১৫ দিন অভিযান চালিয়ে তাদের মধ্যে ১০০ জন শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করতে পেরেছে যৌথ বাহিনী।বাকি ১২৭ জন শিক্ষার্থী ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তাদের হালনাগাদ অবস্থা কী- সে সম্পর্কেও কোনো তথ্য দিতে পারেননি যৌথ বাহিনীর কর্মকর্তারা।এ ব্যাপারে নাইজেরিয়ার কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল দেশিটির বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এবং রয়টার্স। তবে কোনো কর্মকর্তাই এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে চাননি।সিএএন নাইজার শাখার প্রধান ড্যানিয়েল অ্যাটোরি রয়টার্সকে জানান, “অবশিষ্ট ১২৭ শিক্ষার্থী এবং ১২ জন শিক্ষক-শিক্ষিকার কী অবস্থা, তা আমরা এখনও জানি না। সরকারের পক্ষ থেকেও এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে আমাদের কিছু বলা হয়নি। আমরা প্রার্থনা করছি যে তারা সবাই যেন সুস্থ থাকে এবং দ্রুত মুক্তি পায়।”নাইজেরিয়ায় বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে অপরাধপ্রবণ ও সহিংসতায় ভোগা দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। দেশটির বিভিন্ন প্রদেশে এমন বেশ কিছু অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর উদ্ভব ঘটেছে—যাদের পেশা হলো ডাকাতি, লুটপাট, অপহরণ, নারী ও শিশুপাচার, হত্যাসহ প্রায় সবধরনের অপরাধ।দেশটির মোট জনসংখ্যার ৫৩ দশকিক ৫ শতাংশ মুসলিম এবং ৪৫ দশমিক ৯ শতাংশ খৃস্টান। যেসব সশস্ত্র গোষ্ঠী দেশটিতে রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে কয়েকটি আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী আলকায়দা এবং ইসলামিক স্টেট প্রভাবিত। এই গোষ্ঠীগুলো প্রায় নিয়মিত খ্রিস্টানদের ধর্মীয় উপাসনালয়, ব্যবসাকেন্দ্র ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে হামলা চালাচ্ছে।এর আগে নাইজেরিয়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এমন গণঅপহরণের সর্বশেষ ঘটনা ঘটেছিল ২০২৪ সালের মার্চ মাসে। সেবার দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ কাদুনার একটি স্কুল থেকে অপহরণ করা হয়েছিল দুই শতাধিক শিক্ষার্থীকে।সূত্র : রয়টার্সএমআর-২
মালয়েশিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, পাইলটসহ আহত ২
মালয়েশিয়ার পেরাক রাজ্যের তাইপিংয়ে একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় পাইলটসহ ২ জন আহত হয়েছেন। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন তাইপিং পুলিশ প্রধান নাসির ইসমাইল।বিবৃতিতে বলা হয়, রোববার (৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তেকাহ বিমানবন্দরের নিকটবর্তী একটি খোলা জায়গায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে বিমানের প্রধান পাইলট এবং তার সঙ্গে থাকা একজন প্রশিক্ষণার্থী আহত হয়েছেন।তাইপিং পুলিশ প্রধান নাসির ইসমাইল বলেন, রবিবার সকালে ‘এনএমইআরএসএস ৯৯৯’ জরুরি হটলাইনের মাধ্যমে তারা দুর্ঘটনার খবর পান। পুলিশের প্রাথমিক তদন্ত অনুযায়ী, উড্ডয়নরত অবস্থায় বিমানটির ইঞ্জিন হঠাৎ বিকল হয়ে যায়। এসময় পাইলট জরুরি অবতরণের (এমার্জেন্সি ল্যান্ডিং) চেষ্টা করলে বিমানটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।দুর্ঘটনার পরপরই পুলিশের একটি বিশেষ দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রাথমিক মূল্যায়ন সম্পন্ন করেছে। নাসির ইসমাইল আরও জানান, বিমানটি যান্ত্রিক ত্রুটির শিকার হয়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। বর্তমানে বিমানটি ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেয়া এবং দুর্ঘটনার সঠিক কারণ উদঘাটনে বিস্তারিত অনুসন্ধান চলছে। দুর্ঘটনায় আহত দুজনকে দ্রুত উদ্ধার করে তাইপিং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালের চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, বর্তমানে তাদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল এবং তারা আশঙ্কামুক্ত।এমআর-২
বিনোদন
সব দেখুন
প্রায় ৩০ হাজার বিয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন হৃতিক
২০০০ সাল। মুক্তি পেল বলিউড সিনেমা ‘কহো না পেয়ার হ্যায়’। আর এই এক ছবিতেই রাতারাতি পাল্টে গেল হৃতিক রোশনের জীবন। প্রথম ছবিতেই তার আকাশছোঁয়া সাফল্য এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল, মাত্র এক মাসের মধ্যে তার কাছে প্রায় ৩০ হাজার বিয়ের প্রস্তাব এসেছিল! সম্প্রতি ভারতীয় একটি জনপ্রিয় টক শো-তে অংশ নিয়ে ক্যারিয়ারের শুরুর দিকের সেই উন্মাদনার কথাই শোনালেন বলিউডের এই ‘গ্রিক গড’।হৃতিক জানান, সিনেমাটি সুপারহিট হওয়ার পর তার বাড়ির সামনে প্রতিনিয়ত ভক্তদের ভিড় লেগেই থাকত। বিশেষ করে তরুণী ও তাদের অভিভাবকরা হৃতিকের সঙ্গে দেখা করার জন্য অধীর অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতেন। প্রতিদিন সকালে জানালার পর্দা সরালেই হৃতিক দেখতেন বাড়ির প্রধান ফটকে দীর্ঘ লাইন।পেছনের দরজা দিয়ে পালানোর গল্প ভক্তদের এই বিশাল ভিড় সামলানো তখন হৃতিকের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছিল। অভিনেতা জানান, সেই সময় ভক্তদের চোখ এড়িয়ে নিজের প্রেমিকা সুজান খানের সঙ্গে দেখা করতে মাঝেমধ্যে বাড়ির পেছনের দরজা ব্যবহার করতেন তিনি। সামনের গেটে যখন হাজারো তরুণী তার একঝলক পাওয়ার আশায় দাঁড়িয়ে, তখন পেছনের দরজা দিয়ে চুপিচুপি প্রেমিকার কাছে ছুটতেন হৃতিক।সাফল্য ও ব্যক্তিগত জীবন পর্দায় সুপুরুষ চেহারা, নাচ এবং অভিনয়ের জাদুতে হৃতিক তখন ভারতীয় তরুণ প্রজন্মের কাছে সেনসেশন। তবে ৩০ হাজার বিয়ের প্রস্তাব বা আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা কোনো কিছুই তাকে তার ভালোবাসা থেকে টলাতে পারেনি। ভক্তদের হৃদয় ভেঙে ২০০০ সালেই অভিনেতা সঞ্জয় খানের কন্যা ও তার বাল্যবন্ধু সুজান খানকে বিয়ে করেন তিনি। ক্যারিয়ারের শুরুতেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিলেও তার জনপ্রিয়তায় তখন বিন্দুমাত্র নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি।এসআর
সালমান শাহ হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ১৩ জানুয়ারি
ঢাকাই চলচ্চিত্রের ‘অমর’খ্যাত চিত্রনায়ক সালমান শাহকে (চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার ইমন) হত্যার অভিযোগে তার স্ত্রী সামীরা হকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৩ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন ঢাকার একটি আদালত।আজ রবিবার (৭ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল রানার আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন জমা না দেওয়ায় আদালত নতুন এ দিন ধার্য করেন।এর আগে গত ২১ অক্টোবর রাজধানীর রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করেন সালমান শাহের মামা মোহাম্মদ আলমগীর। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।মামলার আসামিরা হলেন- সালমান শাহের স্ত্রী সামীরা হক, শিল্পপতি ও সাবেক চলচ্চিত্র প্রযোজক আজিজ মোহাম্মদ ভাই, লতিফা হক লুছি, খলনায়ক ডন, ডেবিট, জাভেদ, ফারুক, মে-ফেয়ার বিউটি সেন্টারের রুবি, আব্দুস ছাত্তার, সাজু এবং রেজভি আহমেদ ফরহাদ (১৭)। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও অনেককে আসামি করা হয়েছে।১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সালমান শাহের মৃত্যুর পর রমনা থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়। তবে গত ২০ অক্টোবর ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক বাদীপক্ষের রিভিশন মঞ্জুর করে মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন। তার পরদিন, ২১ অক্টোবর, মোহাম্মদ আলমগীর রমনা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।মামলার অভিযোগে মোহাম্মদ আলমগীর উল্লেখ করেন, ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর তার বোন নিলুফার জামান চৌধুরী (নীলা চৌধুরী), বোনের স্বামী কমর উদ্দীন আহমদ চৌধুরী এবং তাদের ছোট ছেলে শাহরান শাহ নিউ ইস্কাটনের বাসায় সালমান শাহের সঙ্গে দেখা করতে যান। সেখানে গিয়ে তারা জানতে পারেন, সালমান ঘুমাচ্ছেন। কিছুক্ষণ পর প্রডাকশন ম্যানেজার সেলিম ফোন করে জানান, সালমানের কিছু হয়েছে। দ্রুত তারা বাসায় ফিরে দেখেন, সালমান শোবার ঘরে নিথর হয়ে পড়ে আছেন এবং কয়েকজন অপরিচিত নারী তার হাত-পায়ে তেল মালিশ করছেন। পাশের কক্ষে সামীরার আত্মীয় রুবি বসে ছিলেন।সেখানে আরও বলা হয়, সালমানের মা চিৎকার করে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার অনুরোধ করেন। পথে তারা সালমানের গলায় দড়ির দাগ এবং মুখমণ্ডল ও পায়ে নীলচে দাগ দেখতে পান। পরে তাকে হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, সালমান শাহ অনেক আগেই মারা গেছেন।মোহাম্মদ আলমগীর এজহারে আরও জানান, সালমানের পিতা কমর উদ্দীন আহমদ চৌধুরী মৃত্যুর আগে ছেলের মৃত্যুকে হত্যা বলে সন্দেহ করে ১৯৯৭ সালের ২৪ জুলাই চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি দরখাস্ত দাখিল করেন। এতে তিনি রমনা থানার অপমৃত্যু মামলাটি দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণ এবং সিআইডির মাধ্যমে তদন্তের আবেদন জানান। তবে, মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে কেউ মৃত্যুবরণ করে থাকলে প্রমাণ সাপেক্ষে তারা মামলার দায় থেকে অব্যাহতি পাবেন।এতে আরও বলা হয়, এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাতপরিচয়ের পলাতক আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজশে সালমান শাহ কে হত্যা করেছেন।সূত্র : বাসসইখা
মেহেদি রাঙা হাতের ছবিতে কনার নতুন বিয়ের গুঞ্জন, কৌতূহলী ভক্তরা
গানের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব দিলশাদ নাহার কনা। মাঝেমধ্যে নিজের বিভিন্ন মুহূর্তের ছবি অনুরাগীদের সঙ্গে শেয়ার করেন জনপ্রিয় এ কণ্ঠশিল্পী। সেই ধারাবাহিকতায় হঠাৎই নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ছবি শেয়ার করেন গায়িকা। সেখানে দেখা যাচ্ছে, মেহেদি হাতে সেজেছেন তিনি।ছবির ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘আমার হাতে মেহেন্দি...’।এরপরই রহস্য ঘনীভূত হয়। হঠাৎ মেহেদি হাতে ছবি কেন গায়িকার সে নিয়ে শোরগোল চলছে। তবে কি কোনো সুখবর দিতে যাচ্ছেন তিনি? নতুন করে বাঁধছেন ঘর? কে সেই পাত্র? এমনই নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনেকে কনার পোস্টে অভিনন্দনও জানাচ্ছেন।তবে এই রহস্য খোলাসা করতে চাননি গায়িকা। যেন আরও ঘনীভূত করলেন। কনা বলেন, ‘এখন কিছুই বলতে চাচ্ছি না। থাকুক না রহস্য। সঠিক সময় আসলে সবাই জানতে পারবে।’সংগীতশিল্পী দিলশাদ নাহার কনা দীর্ঘ ৭ বছর প্রেম করে ২০১৯ সালের ২১ এপ্রিল বিয়ে করেন গোলাম মো. ইফতেখার গহীনকে। তারা ৬ বছর সংসারের পর তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। বিচ্ছেদের বিষয়টি নিশ্চিত করে ২৫ জুন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক আবেগঘন বার্তা দেন কনা।এরপর থেকেই শোনা যাচ্ছে, শিল্পীর ব্যক্তি জীবনেও দুষ্টু কোকিলের আগমন ঘটেছে। সেই কোকিলের উদাসী ডাকে সাড়া দিয়েই ভাঙতে চলেছে কনার ৬ বছরের সংসার।একটি সূত্রে জানা গেছে, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছেন কনা। তিনি মো. শাহরিয়ার সাঈদ (শুভ্র) নামের এক গিটারিস্টের সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করছেন। দীর্ঘদিন ধরেই তাদের এই পরকীয়া সম্পর্ক চলমান। শিগগির তারা বিয়েও করবেন বলে শোনা যাচ্ছে। অনেকেই বলছেন গানের ভুবনে তাদের প্রেম ‘ওপেন সিক্রেট’। বিষয়টি সংগীতাঙ্গনের প্রায় সবাই জানেন। তারই সঙ্গে গোপনে সেরেছেন বিয়ে। আর সেই বিয়েরই মেহেদি হাতের ছবিটি তিনি আজ পোস্ট করেছেন বলে মনে করছেন নেটিজেনরা।এদিকে সদ্যই অন্তর্জালে উন্মুক্ত হয়েছে বিকেএসপির প্রথম থিম সং। সেই গানে কণ্ঠ দিয়েছেন কনা। এ ছাড়াও নতুন বেশ কিছু গান নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন গায়িকা।এইচএ
শুটিং চলাকালে শরীরে আগুন ধরে আহত আরিফিন শুভ
ঢাকার বাইরে অনেকটাই ‘মালিক’ সিনেমার শুটিং চলছে। পুরো ইউনিটই বিষয়টি গোপন রেখে কাজ করতে চাইলেও তা আর পুরোপুরি সম্ভব হয়নি। ইতোমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে ফাঁস হয়েছে সিনেমাটির কয়েকটি শুটিং দৃশ্য। এর মধ্যেই নতুন খবর, সিনেমাটির শুটিং করতে গিয়েই আহত হয়েছেন আরিফিন শুভ।অ্যাকশন দৃশ্যের শুট করতে গিয়ে শরীরে আগুন লেগে যায় ঢাকাই সিনেমার এই জনপ্রিয় নায়কের। যদিও সিনেমার মতোই এই দুর্ঘটনা নিয়েও চুপ সিনেমাটির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।তবে শুটিং ইউনিটের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, অ্যাকশন দৃশ্যে আরিফিন শুভর শরীরের নিচের অংশে নিয়ন্ত্রিত আগুন জ্বলার কথা ছিল। সবকিছু ঠিকভাবেই প্রস্তুত ছিল।কিন্তু ক্যামেরা ঘুরতেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়—আগুন হঠাৎ ধরে উঠে শুভর পায়ে। কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে শিখা যেন আরো উঁচু হয়ে ওঠে। ইউনিট সূত্রে আরো জানা গেছে, আগুন লাগার পর শুভ প্রথমে নিজেই শিখা নেভানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু আগুন থামছিল না।এক ভিডিওতে দেখা যায়, শরীরে বিভিন্ন স্থানে আগুন নিয়েই শুটিং চালিয়ে যাচ্ছিলেন আরিফিন শুভ। হঠাৎ করেই তিনি পায়ে তাপ অনুভব করেন। এবং পায়ের আগুন ক্রমেই জ্বলতে থাকে। তার হাতে ছিল দুটি কুড়াল জাতীয় বস্তু। তিনি সেটা দিয়ে নেভানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু আগুন চলে যায় নিয়ন্ত্রণের বাইরে।তীব্র তাপে ভারসাম্য হারিয়ে একসময় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। তখনই ইউনিট সদস্যরা এগিয়ে এসে আগুন নেভান। আগুন নিভে গেলেও শুভর পায়ে দগ্ধচিহ্ন পড়ে।দুর্ঘটনার পর পরিচালক সাইফ চন্দন শুট বন্ধের সিদ্ধান্ত নিলেও, শুভ নাকি পিছু হটেননি। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েই ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে সেদিনের সব শুট শেষ করেন তিনি। পায়ে ক্ষত নিয়েই এখনো নিয়মিত শুটিং চালিয়ে যাচ্ছেন এই নায়ক। দুর্ঘটনার বিষয়ে ছবির পরিচালক আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করতে চাননি। আসন্ন ঈদুল ফিতরে মুক্তির প্রস্তুতি চলছে অ্যাকশনধর্মী ‘মালিক’ সিনেমার। যেখানে আরিফিন শুভর বিপরীতে আছেন বিদ্যা সিনহা মিম। চিত্রনাট্য লিখেছেন সিদ্দিক আহমেদ।এইচএ
অর্থ-বাণিজ্য
সব দেখুন
৬ দিনে এলো ৬৩ কোটি ডলার রেমিট্যান্স
চলতি মাসের প্রথম ৬ দিনে দেশে এসেছে ৬৩ কোটি ২৪ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ১০ কোটি ৫৪ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। রোববার (৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।এতে বলা হয়, চলতি ডিসেম্বরের প্রথম ৬ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৬৩ কোটি ২৩ লাখ ৮০ হাজার ডলার। এর মধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৮ কোটি ৫৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার।এছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৮ কোটি ১৭ লাখ ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ৪৬ কোটি ৩০ লাখ ১০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৭ লাখ ৯০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।এর আগে গত নভেম্বরে এসেছে চলতি অর্থবছরের সর্বোচ্চ ২৮৮ কোটি ৯৫ লাখ ২০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। আর গত অক্টোবর ও সেপ্টেম্বরে দেশে এসেছিল যথাক্রমে ২৫৬ কোটি ৩৪ লাখ ৮০ হাজার ও ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর গত আগস্ট ও জুলাইয়ে যথাক্রমে দেশে এসেছিল ২৪২ কোটি ১৮ লাখ ৯০ হাজার ও ২৪৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। এফএস
পেঁয়াজ আমদানি শুরু, এক লাফে প্রতিকেজিতে দাম কমল ৩০ টাকা
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে তিন মাস পর আবারও ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। রোববার (৭ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় ভারতীয় তিনটি পেঁয়াজবাহী ট্রাক বন্দর এলাকায় প্রবেশ করে। এদিকে আমদানির খবর ছড়িয়ে পড়তেই খুচরা বাজারে এক লাফে কেজিপ্রতি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা পর্যন্ত দাম কমে যায়। ব্যবসায়ীদের দাবি, আমদানি অব্যাহত থাকলে বাজার আরও স্থিতিশীল হবে।ভারতের নাসিক অঞ্চলের পেঁয়াজ আমদানি করেছে মেসার্স রনি এন্টারপ্রাইজ। প্রতিষ্ঠানটির আমদানিকারক আব্দুল মালেক বাবু জানান, অনুমতি পাওয়ার পর ৪০০ ডলার মূল্যে পেঁয়াজ আমদানি করেছেন। তবে এখনও কাস্টমস প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়ায় বিক্রি শুরু হয়নি।হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা এ আর জামান বাঁধন জানান, সন্ধ্যার পূর্বে তিনটি পেঁয়াজ বোঝাইট্রাক ভারত থেকে বন্দরে প্রবেশ করেছে। ব্যবসায়ীরা শুল্কায়ন ও পরীক্ষণের জন্য আবেদন না করায় কাস্টমসের প্রক্রিয়া শুরু হয়নি।হিলি স্থলবন্দরের আমদানি কারক ও হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলাম জানান, আগস্ট মাস থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি চেয়ে তিনিসহ বন্দরের শতাধিক ব্যবসায়ী বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। কিন্তু কৃষকের ক্ষতির দিক বিবেচনা করে অনুমতি বন্ধ রাখে সরকার। গত কয়েকদিন থেকে পেঁয়াজের বাজার অস্থির হয়ে পড়ে। এতে ক্রেতা সাধারণ দুর্ভোগে পড়েন। পেঁয়াজের দাম সহনীয় রাখতে রোববার থেকে সীমিত পরিসরে আমদানির অনুমতি দিতে শুরু করেছেন। এদিকে আমদানির খবরে ম্যাজিকের মতো দাম কমায় সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন ক্রেতা সাধারণ।এক রাতের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ৩০ টাকা দাম কমাকে অস্বাভাবিক বলে মন্তব্য করেন এনজিও কর্মী নিলুফা ইয়াসমিন। তিনি বলেন, ‘গত কয়েকদিন সকাল-বিকেল পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। এখন আমদানি শুরু হবে-এই খবর শুনেই হঠাৎ দাম কমে গেল। সংকটের অজুহাতে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছে মতো দাম বাড়ায়। কোনো সরকারই বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না; বারবারই ব্যর্থ হয়।’ রোববার সন্ধ্যায় হিলি বাজারে প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরে কয়েকজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলেও নিলুফার অভিযোগের সত্যতা মেলে।খুচরা ব্যবসায়ী মোকারম হোসেন জানান, শনিবার যে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৩০ টাকায়। এখন ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মুড়ি কাটা পেঁয়াজের দাম ছিল ১১০ টাকা। এখন বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকা দরে। তার ভাষ্য হিলি বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। সেজন্য পাইকারি ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। যার প্রভাব পড়েছে খুচরা পর্যায়ে।এদিকে একাধিক আমদানিকারকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হিলি স্থল বন্দরের শতাধিক ব্যবসায়ী পেঁয়াজ আমদানি আইপি (অনুমতি পত্র) চেয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন। ইতোমধ্যে অনেকে অনুমতি পেয়ে আমদানি শুরু করেছেন। যাদের অনুমতি মেলেনি তারা ভারতের রপ্তানিকারকদের সঙ্গে কথা বলে সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়েছেন। অনুমতি পেলে আমদানি শুরু করবেন।এবি
বাড়ল সয়াবিন তেলের দাম, আগামীকাল থেকে কার্যকর
দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। লিটারে ৬ টাকা বাড়িয়ে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৯৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামীকাল সোমবার (৮ ডিসেম্বর) থেকে কার্যকর হবে নতুন এ দাম ।রোববার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম মোল্লা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।এতে বলা হয়, বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনার প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ভোজ্যতেলের মূল্য নিম্নোক্তভাবে সমন্বয় করা হলো।প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৯৫ টাকা, ৫ লিটার বোতল সয়াবিন তেল ৯৫৫ টাকা। প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৭৬ টাকা ও প্রতি লিটার খোলা পাম তেলের দাম ১৬৬ টাকা।এর আগে গত ২৪ নভেম্বর লিটারে ৯ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয় ১৯৮ টাকা। যা নিয়ে আপত্তি তোলে বাণিজ্য মন্ত্রনালয়।আরডি
আমদানির ঘোষণায় একদিনে পেঁয়াজের দাম কমেছে ৪০ টাকা
চট্টগ্রামের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে একদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ৪০ টাকা। বাজারে নতুন পেঁয়াজ আসার পাশাপাশি ভারত থেকে আইপি (আমদানি অনুমতি) অনুমোদনে সরকারের ঘোষণার প্রভাব পড়েছে বাজারে- এমন দাবি এই বাজারের ব্যবসায়ীদের।ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৃহস্পতিবার কিংবা শনিবার যে পেঁয়াজ ১৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছিল সেটি নেমেছে ৯০ টাকায়। আবার মেহেরপুর জাতের নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি ৭০-৮৫ টাকায়।ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, চলতি মৌসুমের পুরোটাই দেশীয় পেঁয়াজেই চাহিদা মিটেছে। সারাবছর বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ ছিল স্বাভাবিক। এতে একদিকে কৃষকরা লাভবান হয়েছেন, অন্যদিকে আমদানি না হওয়ায় বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হয়ে জাতীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।আজ রবিবার (৭ ডিসেম্বর) খাতুনগঞ্জ ও চাক্তাই এলাকার বেশ কয়েকটি আড়তে এসেছে নতুন পেঁয়াজ। মেহেরপুরি জাতের এ পেঁয়াজ পাবনা ও সিরাজগঞ্জের পেঁয়াজের চেয়ে আকারে বড়।খাতুনগঞ্জের হামিদ উল্লাহ মিয়া বাজারের মেসার্স আল মুনিরিয়া ট্রেডার্সের ম্যানেজার আবদুল আজিজ বলেন, ভারত থেকে আমদানির খবরে রাতের মধ্যেই পেঁয়াজের দাম কমে গেছে। শনিবার যে পেঁয়াজ আমরা ১৩০ টাকায় বিক্রি করেছি, আজকে সেটা ৯০টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নতুন মেহেরপুরি পেঁয়াজ এসেছে। এগুলে কেজিতে ৭৫-৮০ টাকায় বিক্রি করছি।গত কয়েকদিনে হঠাৎ করে দেশি পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বাড়তে থাকলে ভারত থেকে আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। শনিবার ৩০ টনের ৫০টি আইপি দেওয়ার তথ্য জানায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এ খবরে সারাদেশে পাইকারি ও খুচরা দুই বাজারেই প্রভাব পড়ে।চলতি বছর বাজারে প্রায় পুরো চাহিদাই মিটিয়েছে দেশি পেঁয়াজ। তবে প্রতিবারের মতো এবারও মৌসুমের শেষ সময়ে এসে পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা শুরু হয়। খাতুনগঞ্জ ও চাক্তাইয়ে স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন ১৫-১৮ ট্রাক পেঁয়াজ আসে। গত সপ্তাহে কিছুটা কমলেও এখন স্বাভাবিক হয়েছে খাতুনগঞ্জ-চাক্তাইয়ে পেঁয়াজ আসা। তবে, দেশি কৃষকদের অতি লোভের কারণে বাজারে দাম বেড়েছিল। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বছরে দেশে পেঁয়াজের চাহিদা থাকে ৩২ লাখ টনের মতো। চাহিদার চেয়ে বেশি পেঁয়াজ দেশে উৎপাদিত হয়। উৎপাদন হলেও সংরক্ষণের অভাবে এর একটি বড় অংশই নষ্ট হয়। বিগত বছরগুলোতে চাহিদার অবশিষ্ট পেঁয়াজ ভারত থেকে আমদানি করা হতো। পাশাপাশি পাকিস্তান, চায়না থেকেও পেঁয়াজ আমদানি করেন অনেকে। কিন্তু চলতি মৌসুমে পেঁয়াজ সংরক্ষণে কৃষকদের আধুনিক প্রযুক্তি সরবরাহ করে কৃষি বিভাগ। নতুন ‘এয়ার ফ্লো’ মেশিন ব্যবহারের কারণে পেঁয়াজের পচন অনেকাংশে রোধ করা গেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। আগে যেখানে ৩০-৩৫ শতাংশ পেঁয়াজ পচে যেতো, সেখানে এয়ার ফ্লো মেশিন ব্যবহারের কারণে পচনের পরিমাণ ৫ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে।বাংলাদেশের প্রায় সব জেলায় পেঁয়াজ চাষ হয়। তবে পাবনা, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ, কুষ্টিয়া, রাজশাহী, ঝিনাইদহ, মাগুরা, মেহেরপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, দিনাজপুর ও রংপুরে বেশি পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়।বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সদ্য অবসরে যাওয়া ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শৈলেন্দ্র নাথ মজুমদার সম্প্রতি জাগো নিউজকে বলেন, দেশে যত পেঁয়াজ উৎপাদন হয়, তার ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ নানা কারণে নষ্ট হয়ে যায়। বিশেষ করে সংরক্ষণের অভাবে পচে যায়।তিনি বলেন, আমাদের দেশে কমবেশি ৩০ লাখ টন পেঁয়াজের চাহিদা থাকে। উৎপাদন বেশি হলেও নষ্ট হওয়ার কারণে চার থেকে ছয় লাখ টনের ঘাটতি তৈরি হতো।কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে দুই লাখ ৪৬ হাজার ৭৫২ হেক্টর জমিতে আবাদ করে ৩৪ লাখ ১৬ হাজার ৯৯০ টন পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে। ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে দুই লাখ ৫৮ হাজার ৭৯০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের চাষ হয়েছে। এতে উৎপাদন হয়েছে ৩৭ লাখ ৮৯ হাজার ৮৮৭ টন। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে চারা, কন্দ ও বীজ মিলিয়ে দুই লাখ ৮০ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে ৪২ লাখ ৫০ হাজার টন পেঁয়াজের উৎপাদন হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে দুই লাখ ৮৬ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪২ লাখ ৬৪ হাজার ১০০ টন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এস এম সোহরাব উদ্দিন বলেন, প্রতিবছর দেশের চাহিদার চেয়ে পেঁয়াজ বেশি উৎপাদন হতো। কিন্তু সংরক্ষণ প্রযুক্তি ব্যবহার না করার কারণে অনেকটাই পচে যেতো। এতে চাহিদায় ঘাটতি হতো। চলতি বছর সেই ঘাটতি হয়নি। সরকারি প্রণোদনার অংশ হিসেবে নতুন এয়ার ফ্লো মেশিন সরবরাহ করা হয়েছে কৃষকদের। যে কারণে এবার পেঁয়াজ তেমন একটা পচেনি। এতে সারাবছর বাজারে পেঁয়াজ সরবরাহে ঘাটতি পড়েনি। এখনো অনেক কৃষকের হাতে পুরনো পেঁয়াজ রয়েছে।এইচএ
সীমিত আকারে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে
পেঁয়াজের বাজার সহনীয় রাখতে রোববার (৭ ডিসেম্বর) থেকে সীমিত আকারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটি আমদানির অনুমতি দিচ্ছে সরকার। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।এতে বলা হয়, পেঁয়াজের বাজার সহনীয় রাখতে রোববার থেকে সীমিত আকারে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়া হবে। প্রতিদিন ৫০টি করে আইপি (আমদানি অনুমতি) ইস্যু করা হবে। প্রত্যেকটি আইপিতে সর্বোচ্চ ৩০ টন পেঁয়াজের অনুমোদন দেয়া হবে।বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ১ আগস্ট থেকে অদ্যাবধি যেসব আমদানিকারক রপ্তানি অনুমতির জন্য আবেদন করেছেন, তারাই কেবল আবেদন পুনরায় দাখিল করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে একজন আমদানিকারক একবারের জন্য আবেদনের সুযোগ পাবেন।দেশে পেঁয়াজের বাজার সহনীয় রাখতে পরবর্তী আদেশ না দেয়া পর্যন্ত এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।এবি
পর্যাপ্ত মজুদ থাকা সত্ত্বেও মৌসুমের শুরুতে পেঁয়াজের কেজি ১৪০
মৌসুমের শুরুতে পেঁয়াজের দাম অনেকেটাই বেড়েছে। পর্যপ্ত মজুদ থাকা স্বত্বেও দেশের খুচরা বাজারে দুই দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের কেজিপ্রতি দাম ৩০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এখন প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে দেড়শ টাকা পর্যন্ত।ব্যবসায়ী ও বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, উৎপাদন অঞ্চল থেকে সরবরাহ কমে যাওয়ায় পাইকারি বাজারেই দাম বাড়ছে, যা দ্রুত প্রভাব ফেলেছে খুচরা বাজারে। বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, মজুতদাররা সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজ আটকে রেখে দাম বাড়াচ্ছে। একই সঙ্গে দাম বাড়ার অজুহাত তুলে ভারত থেকে আমদানির জন্য সরকারকে চাপ দিচ্ছে।রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন বাজারে দেখা যায়, দেশি পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ২ দিন আগেও এই দাম ছিল ১১০ থেকে ১২০ টাকার মধ্যে। মুড়িকাটা নতুন পেঁয়াজ আসতে শুরু করেছে। যদিও সেটা পরিমাণে খুব অল্প। আর পাতাসহ পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়।কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীরা বলেন, ফরিদপুর, রাজবাড়ী ও পাবনার হাটে দুই দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজ পাইকারি কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেড়েছে। হাটে ৮০ বস্তা পেঁয়াজ কেনার পরিকল্পনা ছিল কিন্তু সরবরাহ কম থাকায় ২০ বস্তা পেয়েছি। ফলে দাম বাড়িয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে।খুচরা বিক্রেতারা জানান, ক্রেতারা দাম শুনে হতবাক হচ্ছেন, কেউ কেউ তর্কেও জড়াচ্ছেন। তাদের দাবি, নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসা এবং আমদানি শুরু হলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই দাম কমতে পারে।বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত মৌসুমে কৃষকরা ন্যায্য দাম না পেয়ে সব পেঁয়াজ বিক্রি করে ফেলেছেন। ফলে এখন তাদের কাছে পেঁয়াজ নেই। এই সুযোগে অসাধু মজুতদাররা সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজ আটকে রেখে দাম বাড়াচ্ছেন।কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সরেজমিন উইংয়ের অতিরিক্ত পরিচালক (মনিটরিং ও বাস্তবায়ন) ড. জামাল উদ্দীন বলেন, প্রকৃতপক্ষে বাজারে সরবরাহের কোনো ঘাটতি নেই। আমদানির অনুমতি দিতে সরকারকে বাধ্য করতেই সিন্ডিকেটচক্র কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়াচ্ছে। অথচ এখনো এক লাখ টনেরও বেশি পুরোনো পেঁয়াজ আছে।এইচএ
আমদানির খবরে পিয়াজের দাম কমছে
আমদানির অনুমতি দেওয়ার পর রাজধানীতে পিয়াজের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা কমেছে। এতে কিছুটা স্বস্তি ফিরছে বাজারে। তবে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে দেশি জাতের পুরোনো পিয়াজের সরবরাহ কিছুটা কমেছে। পাইকারী বাজারে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা দরে, খুচরায় দাম হাঁকা হচ্ছে ১৩০ টাকা। ২ দিন আগেও পিয়াজ বিক্রি হয়েছিল দেড়শ টাকায়।এদিকে, দোকানে মুড়িকাটা জাত বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা দরে। দোকানিরা জানান, আমদানি অব্যাহত থাকলে এবং মুড়িকাটা জাতের সরবরাহ বাড়লে দাম আরও কমবে। মাসখানেক আগে হঠাৎ অস্থির হয়ে ওঠে পিয়াজের বাজার। সরকার আমদানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে দর কিছুটা কমতে শুরু করেছে। হিলি স্থলবন্দর দিয়ে এরইমধ্যে শুরু হয়েছে আমদানি কার্যক্রম। এরইমধ্যে ৩০ টন পিয়াজ দেশে প্রবেশ করেছে।এমআর-২
৬ দিনে এলো ৬৩ কোটি ডলার রেমিট্যান্স
চলতি মাসের প্রথম ৬ দিনে দেশে এসেছে ৬৩ কোটি ২৪ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ১০ কোটি ৫৪ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। রোববার (৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।এতে বলা হয়, চলতি ডিসেম্বরের প্রথম ৬ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৬৩ কোটি ২৩ লাখ ৮০ হাজার ডলার। এর মধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৮ কোটি ৫৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার।এছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৮ কোটি ১৭ লাখ ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ৪৬ কোটি ৩০ লাখ ১০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৭ লাখ ৯০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।এর আগে গত নভেম্বরে এসেছে চলতি অর্থবছরের সর্বোচ্চ ২৮৮ কোটি ৯৫ লাখ ২০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। আর গত অক্টোবর ও সেপ্টেম্বরে দেশে এসেছিল যথাক্রমে ২৫৬ কোটি ৩৪ লাখ ৮০ হাজার ও ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর গত আগস্ট ও জুলাইয়ে যথাক্রমে দেশে এসেছিল ২৪২ কোটি ১৮ লাখ ৯০ হাজার ও ২৪৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। এফএস
পেঁয়াজ আমদানি শুরু, এক লাফে প্রতিকেজিতে দাম কমল ৩০ টাকা
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে তিন মাস পর আবারও ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। রোববার (৭ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় ভারতীয় তিনটি পেঁয়াজবাহী ট্রাক বন্দর এলাকায় প্রবেশ করে। এদিকে আমদানির খবর ছড়িয়ে পড়তেই খুচরা বাজারে এক লাফে কেজিপ্রতি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা পর্যন্ত দাম কমে যায়। ব্যবসায়ীদের দাবি, আমদানি অব্যাহত থাকলে বাজার আরও স্থিতিশীল হবে।ভারতের নাসিক অঞ্চলের পেঁয়াজ আমদানি করেছে মেসার্স রনি এন্টারপ্রাইজ। প্রতিষ্ঠানটির আমদানিকারক আব্দুল মালেক বাবু জানান, অনুমতি পাওয়ার পর ৪০০ ডলার মূল্যে পেঁয়াজ আমদানি করেছেন। তবে এখনও কাস্টমস প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়ায় বিক্রি শুরু হয়নি।হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা এ আর জামান বাঁধন জানান, সন্ধ্যার পূর্বে তিনটি পেঁয়াজ বোঝাইট্রাক ভারত থেকে বন্দরে প্রবেশ করেছে। ব্যবসায়ীরা শুল্কায়ন ও পরীক্ষণের জন্য আবেদন না করায় কাস্টমসের প্রক্রিয়া শুরু হয়নি।হিলি স্থলবন্দরের আমদানি কারক ও হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলাম জানান, আগস্ট মাস থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি চেয়ে তিনিসহ বন্দরের শতাধিক ব্যবসায়ী বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। কিন্তু কৃষকের ক্ষতির দিক বিবেচনা করে অনুমতি বন্ধ রাখে সরকার। গত কয়েকদিন থেকে পেঁয়াজের বাজার অস্থির হয়ে পড়ে। এতে ক্রেতা সাধারণ দুর্ভোগে পড়েন। পেঁয়াজের দাম সহনীয় রাখতে রোববার থেকে সীমিত পরিসরে আমদানির অনুমতি দিতে শুরু করেছেন। এদিকে আমদানির খবরে ম্যাজিকের মতো দাম কমায় সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন ক্রেতা সাধারণ।এক রাতের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ৩০ টাকা দাম কমাকে অস্বাভাবিক বলে মন্তব্য করেন এনজিও কর্মী নিলুফা ইয়াসমিন। তিনি বলেন, ‘গত কয়েকদিন সকাল-বিকেল পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। এখন আমদানি শুরু হবে-এই খবর শুনেই হঠাৎ দাম কমে গেল। সংকটের অজুহাতে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছে মতো দাম বাড়ায়। কোনো সরকারই বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না; বারবারই ব্যর্থ হয়।’ রোববার সন্ধ্যায় হিলি বাজারে প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরে কয়েকজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলেও নিলুফার অভিযোগের সত্যতা মেলে।খুচরা ব্যবসায়ী মোকারম হোসেন জানান, শনিবার যে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৩০ টাকায়। এখন ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মুড়ি কাটা পেঁয়াজের দাম ছিল ১১০ টাকা। এখন বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকা দরে। তার ভাষ্য হিলি বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। সেজন্য পাইকারি ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। যার প্রভাব পড়েছে খুচরা পর্যায়ে।এদিকে একাধিক আমদানিকারকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হিলি স্থল বন্দরের শতাধিক ব্যবসায়ী পেঁয়াজ আমদানি আইপি (অনুমতি পত্র) চেয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন। ইতোমধ্যে অনেকে অনুমতি পেয়ে আমদানি শুরু করেছেন। যাদের অনুমতি মেলেনি তারা ভারতের রপ্তানিকারকদের সঙ্গে কথা বলে সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়েছেন। অনুমতি পেলে আমদানি শুরু করবেন।এবি
বাড়ল সয়াবিন তেলের দাম, আগামীকাল থেকে কার্যকর
দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। লিটারে ৬ টাকা বাড়িয়ে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৯৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামীকাল সোমবার (৮ ডিসেম্বর) থেকে কার্যকর হবে নতুন এ দাম ।রোববার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম মোল্লা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।এতে বলা হয়, বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনার প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ভোজ্যতেলের মূল্য নিম্নোক্তভাবে সমন্বয় করা হলো।প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৯৫ টাকা, ৫ লিটার বোতল সয়াবিন তেল ৯৫৫ টাকা। প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৭৬ টাকা ও প্রতি লিটার খোলা পাম তেলের দাম ১৬৬ টাকা।এর আগে গত ২৪ নভেম্বর লিটারে ৯ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয় ১৯৮ টাকা। যা নিয়ে আপত্তি তোলে বাণিজ্য মন্ত্রনালয়।আরডি
আমদানির ঘোষণায় একদিনে পেঁয়াজের দাম কমেছে ৪০ টাকা
চট্টগ্রামের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে একদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ৪০ টাকা। বাজারে নতুন পেঁয়াজ আসার পাশাপাশি ভারত থেকে আইপি (আমদানি অনুমতি) অনুমোদনে সরকারের ঘোষণার প্রভাব পড়েছে বাজারে- এমন দাবি এই বাজারের ব্যবসায়ীদের।ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৃহস্পতিবার কিংবা শনিবার যে পেঁয়াজ ১৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছিল সেটি নেমেছে ৯০ টাকায়। আবার মেহেরপুর জাতের নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি ৭০-৮৫ টাকায়।ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, চলতি মৌসুমের পুরোটাই দেশীয় পেঁয়াজেই চাহিদা মিটেছে। সারাবছর বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ ছিল স্বাভাবিক। এতে একদিকে কৃষকরা লাভবান হয়েছেন, অন্যদিকে আমদানি না হওয়ায় বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হয়ে জাতীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।আজ রবিবার (৭ ডিসেম্বর) খাতুনগঞ্জ ও চাক্তাই এলাকার বেশ কয়েকটি আড়তে এসেছে নতুন পেঁয়াজ। মেহেরপুরি জাতের এ পেঁয়াজ পাবনা ও সিরাজগঞ্জের পেঁয়াজের চেয়ে আকারে বড়।খাতুনগঞ্জের হামিদ উল্লাহ মিয়া বাজারের মেসার্স আল মুনিরিয়া ট্রেডার্সের ম্যানেজার আবদুল আজিজ বলেন, ভারত থেকে আমদানির খবরে রাতের মধ্যেই পেঁয়াজের দাম কমে গেছে। শনিবার যে পেঁয়াজ আমরা ১৩০ টাকায় বিক্রি করেছি, আজকে সেটা ৯০টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নতুন মেহেরপুরি পেঁয়াজ এসেছে। এগুলে কেজিতে ৭৫-৮০ টাকায় বিক্রি করছি।গত কয়েকদিনে হঠাৎ করে দেশি পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বাড়তে থাকলে ভারত থেকে আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। শনিবার ৩০ টনের ৫০টি আইপি দেওয়ার তথ্য জানায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এ খবরে সারাদেশে পাইকারি ও খুচরা দুই বাজারেই প্রভাব পড়ে।চলতি বছর বাজারে প্রায় পুরো চাহিদাই মিটিয়েছে দেশি পেঁয়াজ। তবে প্রতিবারের মতো এবারও মৌসুমের শেষ সময়ে এসে পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা শুরু হয়। খাতুনগঞ্জ ও চাক্তাইয়ে স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন ১৫-১৮ ট্রাক পেঁয়াজ আসে। গত সপ্তাহে কিছুটা কমলেও এখন স্বাভাবিক হয়েছে খাতুনগঞ্জ-চাক্তাইয়ে পেঁয়াজ আসা। তবে, দেশি কৃষকদের অতি লোভের কারণে বাজারে দাম বেড়েছিল। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বছরে দেশে পেঁয়াজের চাহিদা থাকে ৩২ লাখ টনের মতো। চাহিদার চেয়ে বেশি পেঁয়াজ দেশে উৎপাদিত হয়। উৎপাদন হলেও সংরক্ষণের অভাবে এর একটি বড় অংশই নষ্ট হয়। বিগত বছরগুলোতে চাহিদার অবশিষ্ট পেঁয়াজ ভারত থেকে আমদানি করা হতো। পাশাপাশি পাকিস্তান, চায়না থেকেও পেঁয়াজ আমদানি করেন অনেকে। কিন্তু চলতি মৌসুমে পেঁয়াজ সংরক্ষণে কৃষকদের আধুনিক প্রযুক্তি সরবরাহ করে কৃষি বিভাগ। নতুন ‘এয়ার ফ্লো’ মেশিন ব্যবহারের কারণে পেঁয়াজের পচন অনেকাংশে রোধ করা গেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। আগে যেখানে ৩০-৩৫ শতাংশ পেঁয়াজ পচে যেতো, সেখানে এয়ার ফ্লো মেশিন ব্যবহারের কারণে পচনের পরিমাণ ৫ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে।বাংলাদেশের প্রায় সব জেলায় পেঁয়াজ চাষ হয়। তবে পাবনা, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ, কুষ্টিয়া, রাজশাহী, ঝিনাইদহ, মাগুরা, মেহেরপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, দিনাজপুর ও রংপুরে বেশি পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়।বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সদ্য অবসরে যাওয়া ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শৈলেন্দ্র নাথ মজুমদার সম্প্রতি জাগো নিউজকে বলেন, দেশে যত পেঁয়াজ উৎপাদন হয়, তার ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ নানা কারণে নষ্ট হয়ে যায়। বিশেষ করে সংরক্ষণের অভাবে পচে যায়।তিনি বলেন, আমাদের দেশে কমবেশি ৩০ লাখ টন পেঁয়াজের চাহিদা থাকে। উৎপাদন বেশি হলেও নষ্ট হওয়ার কারণে চার থেকে ছয় লাখ টনের ঘাটতি তৈরি হতো।কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে দুই লাখ ৪৬ হাজার ৭৫২ হেক্টর জমিতে আবাদ করে ৩৪ লাখ ১৬ হাজার ৯৯০ টন পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে। ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে দুই লাখ ৫৮ হাজার ৭৯০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের চাষ হয়েছে। এতে উৎপাদন হয়েছে ৩৭ লাখ ৮৯ হাজার ৮৮৭ টন। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে চারা, কন্দ ও বীজ মিলিয়ে দুই লাখ ৮০ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে ৪২ লাখ ৫০ হাজার টন পেঁয়াজের উৎপাদন হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে দুই লাখ ৮৬ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪২ লাখ ৬৪ হাজার ১০০ টন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এস এম সোহরাব উদ্দিন বলেন, প্রতিবছর দেশের চাহিদার চেয়ে পেঁয়াজ বেশি উৎপাদন হতো। কিন্তু সংরক্ষণ প্রযুক্তি ব্যবহার না করার কারণে অনেকটাই পচে যেতো। এতে চাহিদায় ঘাটতি হতো। চলতি বছর সেই ঘাটতি হয়নি। সরকারি প্রণোদনার অংশ হিসেবে নতুন এয়ার ফ্লো মেশিন সরবরাহ করা হয়েছে কৃষকদের। যে কারণে এবার পেঁয়াজ তেমন একটা পচেনি। এতে সারাবছর বাজারে পেঁয়াজ সরবরাহে ঘাটতি পড়েনি। এখনো অনেক কৃষকের হাতে পুরনো পেঁয়াজ রয়েছে।এইচএ
সীমিত আকারে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে
পেঁয়াজের বাজার সহনীয় রাখতে রোববার (৭ ডিসেম্বর) থেকে সীমিত আকারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটি আমদানির অনুমতি দিচ্ছে সরকার। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।এতে বলা হয়, পেঁয়াজের বাজার সহনীয় রাখতে রোববার থেকে সীমিত আকারে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়া হবে। প্রতিদিন ৫০টি করে আইপি (আমদানি অনুমতি) ইস্যু করা হবে। প্রত্যেকটি আইপিতে সর্বোচ্চ ৩০ টন পেঁয়াজের অনুমোদন দেয়া হবে।বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ১ আগস্ট থেকে অদ্যাবধি যেসব আমদানিকারক রপ্তানি অনুমতির জন্য আবেদন করেছেন, তারাই কেবল আবেদন পুনরায় দাখিল করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে একজন আমদানিকারক একবারের জন্য আবেদনের সুযোগ পাবেন।দেশে পেঁয়াজের বাজার সহনীয় রাখতে পরবর্তী আদেশ না দেয়া পর্যন্ত এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।এবি
শিক্ষাঙ্গন
সব দেখুন
গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ
গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) আইন বিভাগের প্রভাষক মো. লিমন হোসেনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও নানাবিধ অনৈতিক আচরণের অভিযোগ তুলেছেন বিভাগটির বেশ কয়েকজন ছাত্রী। রবিবার (৭ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে পৃথক লিখিত অভিযোগপত্র জমা দেন তারা।উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগ বরাতে জানা যায়, প্রভাষক মো. লিমন হোসেন শ্রেণিকক্ষে এবং নিজের কক্ষে অশোভন মন্তব্য করতেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ফেসবুকে আপত্তিকর বার্তা পাঠিয়ে নারী শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত জীবনে জোরপূর্বক হস্তক্ষেপ করতেন এবং সবার সামনে তাদের লজ্জিত করতেন। বার্তায় তিনি নিজের বৈবাহিক সমস্যা এবং ব্যক্তিগত যৌনজীবন নিয়ে আলোচনা করে শিক্ষার্থীদের অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে ফেলতেন। তিনি বলতেন যে তার স্ত্রী তাকে সন্তুষ্ট করতে পারেন না এবং তিনি যৌন জীবনে নিঃসঙ্গতায় ভুগছেন। এ ছাড়াও অনেক আপত্তিকর বিষয়েও লিখিত অভিযোগে আলোকপাত করেছেন বিভাগটির ছাত্রীরা।শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আরেকটি অভিযোগপত্রে পাঁচটি দফা উপস্থাপন করা হয়। এতে বলা হয়, শিক্ষক লিমন হোসেন ধর্ষণে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের সশরীরে থানায় গিয়ে ছাড়ানোর চেষ্টা করেছেন, অপরাধীকে বাঁচানোর চেষ্টাও অপরাধের শামিল; ক্লাসে পড়ানোর ছলে শিক্ষার্থীদের ব্যাক্তিগত জীবনে জোড়পূর্বক প্রবেশ করে শিক্ষার্থীর ব্যাক্তিগত বিষয় সকলের সামনে উপস্থাপন করে শিক্ষার্থীদের হেয় করেন তিনি; একজন শিক্ষক হিসেবে তার পড়ানোর পদ্ধতি কোনভাবেই গবেষণাকেন্দ্রিক নয়, উল্টো গলাদ্ধকরণ পদ্ধতিতে বিশ্বাস করেন তিনি, যা শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল মেধাকে বিনষ্ট করেন; স্বজনপ্রীতি নীতি ব্যবহার করে ব্রিটিশ পদ্ধতি Divide and Rule policy প্রয়োগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করেন তিনি, যা পরবর্তীতে বড় অপরাধের জন্ম দেয় এবং ক্যাম্পাসে বিগত দিনে ঘটে যাওয়া প্রায় সব অপরাধের সঙ্গে জড়িত চক্রের সঙ্গে, এমনকি সম্প্রতি বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও প্রভাষক লিমন হোসেনের একান্ত সম্পর্কে বিদ্যমান এবং তাদের প্রকাশ্য মদদদাতা তিনিই, যা শিক্ষার্থী মনে ক্রমশ ভীতি সঞ্চারণ করে যাচ্ছে।রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলনায়তনে শিক্ষার্থীরা এসব অভিযোগের বিস্তারিত তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন এবং দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। অনেক শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন যে তিনি মানুষের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অতিরিক্ত আগ্রহী, যা বিব্রতকর। এমনকি নিজের প্রেম ও বিচ্ছেদের গল্প বারবার বলে শিক্ষার্থীদের অস্বস্তিতে ফেলেন। শিক্ষার্থীরা কার সাথে মেলামেশা করবে, সেটাতেও তিনি হস্তক্ষেপ করেন।এসব অভিযোগ প্রসঙ্গে লিমন হোসেন বলেন, ’এ ধরণের অভিযোগের বিষয়ে আমি অবগত নই। আমি এ ধরনের কোনো কথা বলি নাই। এ ধরনের অভিযোগ ভিত্তিহীন।’তিনি এও বলেন, ’আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যে আমার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ তোলা হয়েছে।’এ নিয়ে যৌন নিপীড়ন-বিরোধী সেলের প্রধান ড. ওয়াহিদা জামান লস্কর বলেন, ’আজই আমাকে যৌন নিপীড়ন-বিরোধী সেলের সভাপতির দায়িত্বের বিষয়ে প্রশাসন থেকে চিঠি প্রদান করা হয়েছে। তবে উপাচার্যের কাছে প্রদানকৃত অভিযোগপত্রের বিষয়ে এখনো অবগত নন তিনি।’সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।এদিকে ধর্ষণের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য ৭ দিন সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তদন্ত চলাকালীন আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. রফিকুল আলম ও প্রভাষক লিমন হোসেনকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। এই সময়ে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে তাদের।তদন্ত কমিটিতে ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. জহিরুল ইসলাম খানকে সভাপতি ও বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আবু রায়হানকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।এনআই
হানাদার মুক্ত দিবসে ববিতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন
১৯৭১ সালের ৮ ডিসেম্বর বরিশাল হানাদারমুক্ত হয়েছিল। সেই ঐতিহাসিক দিনটিকে স্মরণ করে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল।সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালের সর্বস্তরের মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ এবং বরিশাল হানাদার মুক্ত দিবস উদযাপন করা হয়।অনুষ্ঠানে ভূমিকা সরকার বলেন, যারা বরিশালকে মুক্ত করার জন্য লড়াই করেছেন, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই আমাদের এই আয়োজন। তরুণ প্রজন্মকে তাদের লড়াই-সংগ্রামের ইতিহাস জানানো জরুরি। ব্যক্তিকে বাদ দিয়ে নিরপেক্ষভাবে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরতে হবে।আব্দুর রহমান বলেন, ৫৪ বছর আগে আজকের এই দিনে লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বরিশালে প্রথম স্বাধীনতার পতাকা উড়েছিল।পাশাপাশি আমরা বলতে চাই মুক্তিযুদ্ধের এই ইতিহাস প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে সঞ্চারিত হোক । ক্লিনটন চাকমা বলেন, ৮ ডিসেম্বরের এই দিনে আমরা স্মরণ করছি সেই সব বীর মুক্তিযোদ্ধাদের, যাদের আত্মত্যাগে বরিশাল স্বাধীন হয়েছিল।এনআই
এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা সাংবাদিকতা ও ওকালতি করতে পারবেন না
এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা শিক্ষকতার পাশাপাশি সাংবাদিকতাসহ বিভিন্ন পেশায় জড়িত। কেউ আইনজীবী, আবার কেউ বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেন। এতদিন এ কাজে কোনো আইনি বাধা ছিল না। তবে নতুন এমপিও নীতিমালায় শিক্ষকদের ‘আর্থিক লাভজনক’ কোনো পেশায় জড়িত থাকা যাবে না বলে উল্লেখ করা হয়েছে। রবিবার (০৭ ডিসেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে নতুন এমপিও নীতিমালা প্রকাশ করা হয়।এমনকি আর্থিক লাভজনক কয়েকটি পেশার নাম উল্লেখও করে দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে- সাংবাদিকতা, আইন পেশা, বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা।এ নীতিমালার ১১ নম্বর ধারার ১৭ উপধারার ‘ক’ ও ‘খ’ বিধিতে এ বিষয়ে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে।নীতিমালার ১১.১৭-এর ‘ক’ ধারায় বলা হয়, এমপিওভুক্ত কোনো শিক্ষক-কর্মচারী একই সঙ্গে একাধিক কোনো পদে/চাকরিতে বা আর্থিক লাভজনক কোনো পদে নিয়োজিত থাকতে পারবে না। এটি তদন্তে প্রমাণিত হলে সরকার তার এমপিও বাতিলসহ দায়ী ব্যক্তি/ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।‘খ’ বিধিতে ‘আর্থিক লাভজনক’ পদ বলতে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত যে কোনো ধরনের বেতন/ভাতা/সম্মানী এবং বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান/সংস্থায়/বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান/সাংবাদিকতা/আইন পেশায় কর্মের বিনিময়ে বেতন/ভাতা/সম্মানীকে বোঝাবে।এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিব নাম প্রকাশ না করে গণমাধ্যমকে বলেন, সরকারি চাকরিজীবীরা অন্য আর্থিক লাভজনক প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে পারেন না। এখন এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীরা সরকারি অর্থ পান। তাদের বেতন ও ১৫ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতা দেওয়া হয়েছে। ঈদ বোনাস অন্যান্য ভাতাও সরকার দিচ্ছে।তিনি জানান, এজন্য এমপিও নীতিমালায় তাদের আর্থিক লাভজনক যে কোনো পেশায় না জড়ানোর জন্য নির্দেশনা রয়েছে। কেউ নীতিমালা লঙ্ঘন করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এমআর-২
ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি স্থাপনের অগ্রগতির বিষয়ে জানাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়
রাজধানীর সরকারি সাত কলেজ তথা প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে আন্দোলনের মধ্যে বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত ও অগ্রগতির কথা জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।সোমবার (৮ ডিসেম্বর) মন্ত্রণালয় থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই সিদ্ধান্ত ও অগ্রগতির কথা জানানো হয়। এসবের মধ্যে রয়েছে-১) মানসম্মত শিক্ষা, সময়মতো পরীক্ষা অনুষ্ঠান ও ফল প্রকাশ এবং প্রশাসনিক ও ব্যবস্থাপনাগত উৎকর্ষ নিশ্চিতকরণ বিষয়ে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের যৌক্তিক চাহিদা পূরণের লক্ষ্যকে সামনে রেখে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠার কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অধ্যাদেশ ২০২৫’-এর খসড়া, যা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কর্তৃক ইতঃপূর্বে প্রেরণ করা হয়েছিল, তা পরিমার্জনপূর্বক চূড়ান্তকরণের কাজ চলমান রয়েছে। ২) অংশীজন ও সর্বসাধারণের মতামত গ্রহণের জন্য খসড়া অধ্যাদেশটি গত ২৪ সেপ্টেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। খসড়া বিষয়ে শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং সুধীজনসহ বিভিন্ন মহল হতে পাঁচ হাজারেরও বেশি মূল্যবান মতামত পাওয়া গিয়েছে। পাশাপাশি, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, শিক্ষাবিদ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উদ্যোগে তিনটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। একইসাথে, নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুসারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ এর মতামত সংগ্রহের কাজও সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রাপ্ত প্রতিটি মতামত আইনগত ও বাস্তবতার নিরিখে পর্যালোচনা করে খসড়া পরিমার্জন করা হচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে, পরিমার্জনের কাজ সম্পন্ন করে আগামী ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে পরিমার্জিত খসড়ার ওপর আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করা সম্ভব হবে।৩) খসড়া চূড়ান্তকরণের কাজ চলমান রাখার পাশাপাশি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এর পক্ষ হতে ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি (প্রস্তাবিত) এর অন্তবর্তীকালীন প্রশাসন, সাত কলেজের অধ্যক্ষবৃন্দ, শিক্ষক ও ছাত্র প্রতিনিধিদের সাথেও সময়ে সময়ে প্রয়োজনীয় আলোচনা করা হচ্ছে। বিশেষ করে, অধ্যাদেশ চূড়ান্তকরণসহ সামগ্রিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার মধ্যবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা যেন কোনোভাবেই বিঘ্নিত না হয় সে লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ভর্তি, রেজিস্ট্রেশন ও ক্লাস পরিচালনার বিষয়ে গত ১১ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন, অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন এবং সাত কলেজের অধ্যক্ষদের অংশগ্রহণে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এ বিষয়ে করণীয় নির্ধারণপূর্বক নির্দেশনা প্রদান করা হয়।৪) বিগত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি (প্রস্তাবিত) অন্তর্বর্তী প্রশাসনের প্রশাসকের ২৮ সেপ্টেম্বর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামে কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট, বিজ্ঞান ইউনিট ও ব্যবসা শিক্ষা ইউনিট ভর্তির আবেদন গ্রহণ করা হয়। বিভিন্ন ইউনিটে মোট ১০ হাজার ১৯৪ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়। পরবর্তীতে নির্ধারিত সময়ে ৯ হাজার ৩৮৮ জন শিক্ষার্থী ভর্তির নিশ্চয়ন (confirmation) সম্পন্ন করে। আরো উল্লেখ করা প্রয়োজন- অন্তর্বর্তী প্রশাসন পরিচালনা এবং ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ভর্তি, রেজিস্ট্রেশন ও পাঠদানের জন্য একটি অপারেশন ম্যানুয়েলও অনুমোদন করা হয়েছে।৫) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে যে সকল শিক্ষার্থী ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে, তাদের ক্লাস শুরুর বিষয়টি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার বিবেচনায় নিয়ে বিগত ৪ ডিসেম্বর অধ্যক্ষগণ এবং ৭ ডিসেম্বর শিক্ষক প্রতিনিধিদের সাথে সভা করা হয়েছে। ভর্তি বিজ্ঞপ্তির আলোকে বিদ্যমান একাডেমিক কাঠামোতে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরুর জন্য স্ব স্ব কলেজের শিক্ষকগণকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। আসন্ন শীতকালীন ছুটি শেষে ১ জানুয়ারি ২০২৬ থেকে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু করা সম্ভব হবে মর্মে শিক্ষক প্রতিনিধিগণ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।৬) উচ্চশিক্ষার গুরুত্ব, সংশ্লিষ্ট অংশীজনের ব্যাপকতা, শিক্ষক-কর্মকর্তাদের পদ সংরক্ষণ, কলেজগুলোর স্বাতন্ত্র্য রক্ষা, নারী শিক্ষার সুযোগ সংকোচন না করা, নারীদের জন্য নির্ধারিত কলেজসমূহের মূল বৈশিষ্ট্য অক্ষুন্ন রাখা, স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তিতে কলেজসমূহের মালিকানা সংরক্ষণ, কলেজসমূহের বিদ্যমান মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত না করা, সর্বোপরি প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির সাথে সাত কলেজের সম্পৃক্ততার ধরণ বিষয়ে বাস্তবসম্মত, কার্যকর ও উপযোগী কাঠামো নির্ধারণসহ সকল সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষযয়কে বিবেচনায় নিয়ে বস্তুনিষ্ঠভাবে ও বিধিবদ্ধ পদ্ধতি অনুসরণ করে অধ্যাদেশের খসড়া পরিমার্জন করা হচ্ছে। সময়সাপেক্ষ এ প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট সকল মহলের ধৈর্যশীল আচরণ ও বিবেচনা একান্ত কাম্য। সকলের সহযোগিতায় সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য ও সমন্বিত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হবে বলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ বিশ্বাস করে।৭) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনির্ভাসিটি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগকে দেশের উচ্চ শিক্ষার মানোন্নয়নের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধাপ ও সুযোগ হিসেবে বিবেচনা করছে। শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং অভিভাবকসহ সকল অংশীজনের ন্যায্য স্বার্থ রক্ষা এবং দেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার মানোন্নয়নে ইতিবাচক একাডেমিক পরিবেশ প্রতিষ্ঠা করা এ বিভাগের প্রধান লক্ষ্য।ব্যক্তিগত ধারণা, অসম্পূর্ণ তথ্য বা গুজবের ভিত্তিতে বিভ্রান্তি বা পারস্পরিক দ্বন্দ্বের সৃষ্টি না করে সরকারি কর্মচারী হিসেবে শিক্ষকগণ পেশাদারিত্ব বজায় রাখবেন এবং শিক্ষার্থীবৃন্দ নিজের অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল আচরণ করবেন বলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ প্রত্যাশা করে। শিক্ষার্থীদের মূল্যবান শিক্ষা জীবন এবং সামগ্রিক শিক্ষা কার্যক্রম যাতে কোনোভাবেই ব্যাহত না হয়, সে বিষয়ে সকলকে সচেতন থাকার জন্য সকলকে বিশেষভাবে আহ্বান জানানো যাচ্ছে।এসআর
তথ্য-প্রযুক্তি
সব দেখুন
জাপানের বাজারে এলো মানব ওয়াশিং মেশিন
জাপানের বাজারে এসেছে ‘মানব ওয়াশিং মেশিন’। ব্যবহারকারী একটি পডে শুয়ে ঢাকনা বন্ধ করলেই কাপড়ের মতো পরিষ্কার হয়ে যাবে।‘হিউম্যান ওয়াশার অব দ্য ফিউচার’ নামের এই যন্ত্রের একটি মডেল গত অক্টোবরে ওসাকায় এক প্রদর্শনীতে প্রদর্শন করা হয়। সে সময় যন্ত্রটি দেখার জন্য দীর্ঘ লাইন পড়ে গিয়েছিল। জাপানি প্রতিষ্ঠান ‘সায়েন্স’ যন্ত্রটি তৈরি করেছে। এটি ১৯৭০ সালে ওসাকায় আয়োজিত এক্সপোতে প্রদর্শিত একটি পুরোনো পণ্যের আধুনিক সংস্করণ। গত শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) নির্মাতা কোম্পানি সায়েন্স-এর মুখপাত্র সাচিকো মায়েকুরা বলেন, ‘আমাদের কোম্পানির প্রেসিডেন্ট তখন ১০ বছরের শিশু ছিলেন। সেই প্রদর্শনী থেকেই তিনি অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই মেশিন শুধু শরীর নয়, মনও পরিষ্কার করে দেবে।’ একই সাথে ব্যবহারকারীর হৃদস্পন্দন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শারীরিক লক্ষণও পর্যবেক্ষণ করবে।ওসাকার একটি হোটেল প্রথম ক্রেতা হিসেবে একটি মানব ওয়াশিং মেশিন কিনেছে এবং অতিথিদের জন্য সেবা চালু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।মূখপাত্র মায়েকুরা বলেন, ‘মেশিনটির মূল আকর্ষণ হলো- এটি খুবই বিরল একটি যন্ত্র। আমরা প্রায় ৫০টি মেশিন বানানোর পরিকল্পনা করছি।’ যন্ত্রটির বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ কোটি ইয়েন (৩ লাখ ৮৫ হাজার মার্কিন ডলার)।এইচএ
১৬ ডিসেম্বর থেকে অনিবন্ধিত মুঠোফোন বন্ধে কঠোর সরকার
সরকার ১৬ ডিসেম্বর থেকে মোবাইল হ্যান্ডসেট নিবন্ধন প্রক্রিয়া (এনইআইআর) চালু করতে যাচ্ছে। যা টেলিযোগাযোগ খাতে নিরাপত্তা জোরদার ও অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন ব্যবহারে বিধিনিষেধ আরোপ করবে। এই নতুন উদ্যোগের ফলে দেশের মোবাইল নেটওয়ার্কে নিবন্ধনবিহীন, চুরি হওয়া কিংবা অনুমোদনবিহীন আমদানি করা মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুযোগ বন্ধ হয়ে যাবে।নতুন ব্যবস্থার আগাম ঘোষণা পাওয়ার পর অনিবন্ধিত মোবাইল ডিভাইসের দাম বাড়ার আশঙ্কায় বাজারে ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে। তবে সাধারণ মানুষ বিশেষত ছাত্র-যুবকরা অভিযোগ করছেন, সরকারি শুল্ক ও ভ্যাটের কারণে অফিসিয়াল ফোনের দাম অনেক বেড়ে যাওয়ায় তারা পছন্দের ফোন কেনার সুযোগ পাচ্ছেন না। একটি ২০ হাজার টাকার ফোনে ৫৭ শতাংশ ভ্যাট যুক্ত হয়ে এর দাম ৫০ হাজার টাকারও বেশি হয়ে যাচ্ছে।অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা অনিবন্ধিত ফোন আমদানিতে ৫৭ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি তুলেছেন। মোবাইল বিজনেস কমিউনিটির সভাপতি মো. আসলাম বলেন, সরকার যদি আলোচনায় না আসে, তাহলে ব্যবসায়ীরা রাজপথে নামার পথে বাধ্য হবে।ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব জানান, দেশে ৭৩ শতাংশ ডিজিটাল প্রতারণায় অবৈধ স্মার্টফোন ব্যবহৃত হচ্ছে, যা বন্ধ করতে সরকার এই কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, মোবাইল ফোন চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত একটি বিশেষ গোষ্ঠীর স্বার্থে এই উদ্যোগের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে।নির্বাচনের আগে অবৈধ ডিভাইসকেন্দ্রিক অপরাধ দমন, সুলভ দামে মোবাইল সরবরাহ, অভ্যন্তরীণ বাজার নিয়ন্ত্রণ এবং সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি এই লক্ষ্য নিয়েই ১৬ ডিসেম্বর থেকে এনইআইআর কার্যকর করার সিদ্ধান্ত সরকার নেয়।আইসিটি বিভাগ জানিয়েছে, এনইআইআর চালুর আগের দিন পর্যন্ত নেটওয়ার্কে থাকা সব মোবাইল ফোন স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হবে। পরবর্তীতে বিদেশ থেকে ফোন আনার ক্ষেত্রে অনলাইনে নিবন্ধনের সুযোগ থাকবে। এইচএ
সারাদেশে মোবাইল ফোনের দোকান বন্ধ, বিটিআরসি ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি
সিন্ডিকেট প্রথা বিলোপ ও মোবাইল ফোন আমদানির সুযোগ উন্মুক্ত করাসহ নানা দাবিতে সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য আজ থেকে মোবাইল ফোনের দোকান বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন মোবাইল ব্যবসায়ীরা। দাবি না মানলে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কার্যালয় ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তারা।আজ রবিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। ঢাকায় মোবাইল ফোনের বেশিরভাগ দোকান বন্ধ রাখতে দেখা গেছে। আগামী ১৬ ডিসেম্বর চালু হতে যাওয়া ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) সংস্কার, সিন্ডিকেট প্রথা বিলোপ ও মোবাইল ফোন আমদানির সুযোগ উন্মুক্ত করাসহ কয়েকটি দাবি আদায়ে এ কর্মসূচি করছেন তারা।এদিকে, দাবি আদায়ে মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীরা রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কার্যালয় ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন।শনিবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেয় মোবাইল ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি (এমবিসিবি)।বাংলাদেশ মোবাইল বিজনেস কমিউনিটির সাধারণ সম্পাদক আবু সায়ীদ পিয়াস জানান, দাবি আদায়ে রোববার সকাল থেকেই সারাদেশে মোবাইল ফোনের দোকান বন্ধ রেখেছেন। ব্যবসায়ীরা এখন বিটিআরসি কার্যালয়ের সামনে জড়ো হচ্ছেন। সেখানে অবস্থান কর্মসূচি করা হবে।মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, এনইআইআর বাস্তবায়ন হলে লাখো ব্যবসায়ী ও তাদের পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হবে। নতুন এ নিয়মের ফলে শুধুমাত্র একটি বিশেষ গোষ্ঠী লাভবান হবে এবং বাড়তি করের চাপে গ্রাহক পর্যায়েও মোবাইলের দাম বেড়ে যাবে।ব্যবসায়ীদের যত অভিযোগ ও দাবিমোবাইল ফোন ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের মোবাইল ফোন ব্যবসার মার্কেট শেয়ার যাদের ৭০ শতাংশের বেশি, তাদের সঙ্গে বসে আলোচনা করে এনইআইআর চালু করতে হবে। কোনোভাবেই তারা এনইআইআরের বিরুদ্ধে না। তবে এ প্রক্রিয়ার কিছু সংস্কার, ন্যায্য করনীতি প্রণয়ন, একচেটিয়া সিন্ডিকেট বিলোপ এবং মুক্ত বাণিজ্যের স্বার্থে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে তাদের কিছু দাবি ও প্রস্তাবনা রয়েছে। এ বিষয়ে তাদের ব্যাখ্যা সরকারকে জানাতে চান। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাদের বিশাল সংখ্যক ব্যবসায়ীর কথা না শুনেই একতরফা এনইআইআর চালু করতে যাচ্ছে।ব্যবসায়ী নেতাদের অভিযোগ, কোনো পূর্ব-পরামর্শ ছাড়াই হঠাৎ এনইআইআর বাস্তবায়নের ঘোষণা বাজারে চরম অস্থিরতা তৈরি করেছে। ফলে দেশের প্রায় ২৫ হাজার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এবং এর সঙ্গে জড়িত ২০ লাখেরও বেশি মানুষের জীবিকা হুমকির মুখে পড়েছে। তারা বৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে ব্যাংক থেকে শত শত কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন। বর্তমানে তাদের স্টকে কোটি কোটি টাকার হ্যান্ডসেট রয়েছে। আগামী ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে এ বিপুল পরিমাণ অবিক্রিত হ্যান্ডসেট বিক্রি করা অসম্ভব। দাবি না মেনে গুটিকয়েক ব্যবসায়ীকে একচেটিয়া ব্যবসার সুযোগ করে দিলে তারা পথে বসবেন।এমবিসিবির নেতারা জানান, এনইআইআরের বর্তমান কাঠামো যদি অপরিবর্তিতভাবে বাস্তবায়িত হয়, তাহলে শুল্ক ৫৭ শতাংশ হোক কিংবা শূন্য শতাংশ, কোনো অবস্থাতেই বৈধ উপায়ে মোবাইল ফোন আমদানি সম্ভব হবে না। কারণ বিটিআরসির আমদানি নীতিমালায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে, কোনো বিদেশি ব্র্যান্ড যদি স্থানীয়ভাবে তাদের পণ্য সংযোজন করে, তাহলে সেই ব্র্যান্ডের কোনো মডেল অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান আমদানি করতে পারবে না।তাদের অভিযোগ, এ নীতিমালা কার্যত মনোপলি ব্যবসার সুযোগ তৈরি করছে। এর ফলে বাজারে বিদ্যমান প্রতিযোগিতা বিলুপ্ত হবে এবং প্রায় ১৮ কোটি মানুষের মোবাইল ফোন বাজারের নিয়ন্ত্রণ গুটিকয়েক প্রতিষ্ঠানের হাতে চলে যাবে। একই সঙ্গে স্মার্টফোনের দাম আকস্মিকভাবে বেড়ে যাবে এবং সাধারণ ভোক্তারা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এইচএ
প্রবাসীদের মোবাইল ফোন রেজিস্ট্রেশন-আমদানি বন্ধসহ ৭ সিদ্ধান্ত
যেসব প্রবাসীর জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) রেজিস্ট্রেশন কার্ড আছে, তারা ট্যাক্স ছাড়া মোট তিনটি ফোন সঙ্গে আনতে পারবেন। একই সঙ্গে বাংলাদেশে ক্লোন মোবাইল, চুরি/ছিনতাই করা ফোন এবং রিফারবিশড মোবাইল আমদানি বন্ধ করা হবে।গত সোমবার (১ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে এনবিআর, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং বিটিআরসির মধ্যকার সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও সভায় ৭টি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।সভার সিদ্ধান্তসমূহগুলো হলো-১) প্রবাসীরা দেশে ছুটি কাটানোর সময়ে ৬০ দিন পর্যন্ত স্মার্টফোন রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই ব্যবহার করতে পারবেন। ৬০ দিনের বেশি থাকলেই মোবাইল ফোন রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।২) প্রবাসীদের যাদের বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন কার্ড আছে, তারা ফ্রিতে মোট ৩টি ফোন সঙ্গে আনতে পারবেন। অর্থাৎ নিজের ব্যবহারের হ্যান্ডসেটের অতিরিক্ত দুটি নতুন ফোন সঙ্গে নিয়ে আসতে পারবেন ফ্রিতে।চতুর্থ ফোনের ক্ষেত্রে ট্যাক্স দিতে হবে। যাদের বিএমইটি কার্ড নেই তারা নিজের ব্যবহারের ফোনের পাশাপাশি অতিরিক্ত একটি ফোন ফ্রিতে আনতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে মোবাইল ক্রয়ের বৈধ কাগজটি নিজের সঙ্গে রাখতে হবে। কেননা মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর কিংবা মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন বিমানবন্দরে চোরাচালানিরা সাধারণ প্রবাসীদের চাপাচাপি করে স্বর্ণ, দামি মোবাইল ফোন ইত্যাদির শুল্কহীন পাচারে লিপ্ত আছে।চোরাচালানিদের এই অপচেষ্টা রোধ করার জন্যই ক্রয় কৃত মোবাইলের কাগজ সঙ্গে রাখতে হবে।৩) স্মার্টফোনের বৈধ আমদানি শুল্ক উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনা হবে। এতে বৈধভাবে আমদানি করা মোবাইল ফোনের দাম কমে আসবে। বর্তমানে বৈধ পথে মোবাইল আমদানির শুল্ক প্রায় ৬১ শতাংশ। এটা উল্লেখযোগ্য হারে কমাতে সরকার কাজ শুরু করেছে।৪) আমদানি শুল্ক কমালেই বাংলাদেশের ১৩-১৪টি ফ্যাক্টরিতে উৎপাদনকৃত মোবাইলের শুল্ক ও ভ্যাট কমাতে হবে, অন্যথায় কম্পানিগুলোর বিদেশি বিনিয়োগ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।আমদানি এবং অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের শুল্ক কমানো এবং তা সমন্বয় নিয়ে বিটিআরসি এবং এনবিআর যৌথভাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একাধিকবার বসেছে এবং দ্রুততার সঙ্গে কাজ শুরু করেছে। আলোচনার ফলাফল দেশের ডিভাইস ইন্ডাস্ট্রির অনুকূল আসবে বলে মন্ত্রণালয় বিশ্বাস করে। ৫) আপনার অজান্তেই কেউ আপনার নামে নিবন্ধিত সিম ব্যবহার করছে কিনা সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। যে-কোনো সাইবার অপরাধ, অনলাইন স্ক্যামিং, অনলাইন ও মোবাইল জুয়া, মোবাইল ব্যাংকিং জনিত অপরাধে আপনার নামে নিবন্ধিত সিমটি ব্যবহৃত হচ্ছে কিনা- সে ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। অপরাধ এবং রেজিস্ট্রেশন ঝামেলা এড়াতে সবসময় নিজের নামে নিবন্ধিত সিম ব্যবহার করুন।বাংলাদেশে ক্লোন মোবাইল, চুরি/ছিনতাই করা ফোন এবং রিফারবিশড মোবাইল আমদানি বন্ধ করা হবে।৬) ১৬ ডিসেম্বরের আগে বাজারে অবৈধভাবে আমদানি করা স্টক ফোনগুলোর মধ্যে যেগুলোর বৈধ আইএমইআই নাম্বার আছে, সেই আইএমইআই লিস্ট বিটিআরসিতে জমা দিয়ে হ্রাসকৃত শুল্কে সেগুলোকে বৈধ করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ নিয়ে এনবিআর-এর সাথে আলোচনা চলছে। তবে ক্লোন ফোন এবং রিফারবিশড ফোনের ক্ষেত্রে এই সুবিধা দেওয়া হবে না।৭) বর্তমানে ব্যবহৃত সচল মোবাইল ফোন কোনোভাবেই ১৬ ডিসেম্বরের আগে বন্ধ হবে না। এ সংক্রান্ত গুজব থেকে সচেতন থাকুন। ১৬ ডিসেম্বর থেকে চালু হচ্ছে এনইআইআর, সুতরাং বৈধ আইএমইআই নম্বরহীন হ্যান্ডসেট ক্রয় থেকে বিরত থাকুন। অবৈধ আমদানিকৃত, চোরাচালানকৃত এবং ক্লোন ফোন বাংলাদেশে বন্ধ করা হবে।দেশে বিদেশের পুরনো ফোনের ডাম্পিং বন্ধ হবে। কেসিং পরিবর্তন করে এসব ইলেকট্রনিক বর্জ্য দেশে ঢুকিয়ে যে রমরমা চোরাকারবারি ব্যাবসা শুরু করা হয়েছে, সেটা বন্ধ করা হবে। বিমানবন্দর এবং স্থলবন্দরগুলোতে ভারত, থাইল্যান্ড, চীন থেকে আসা ফ্লাইটগুলো শনাক্ত করা হচ্ছে, দ্রুতই কাস্টমস থেকে অভিযান চালানো হবে।প্রস্তাবিত টেলিযোগাযোগ অধ্যাদেশ (সংশোধনী) ২০২৫ এ মোবাইল সিমের ইকেওয়াইসি এবং আইএমইআই রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত ডেটা সুরক্ষার নিশ্চয়তা তৈরি করা হয়েছে। নতুন একটি ধারা যোগ করে রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত উপাত্ত লঙ্ঘনকারীদের অপরাধের আওতায় আনা হয়েছে। সুতরাং অযথা ভয় বিস্তারের গুজবে কান না দিতে সবাইকে সচেতন করা হচ্ছে।এইচএ
নতুন লোগো উন্মোচন করলো বাংলালিংক
নতুন লোগো উন্মোচন করেছে দেশের বেসরকারি মোবাইল অপারেটর বাংলালিংক। এটিকে অত্যাধুনিক, গ্রাহককেন্দ্রিক ও প্রযুক্তিনির্ভর অপারেটর হিসেবে রূপান্তরে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করেছে প্রতিষ্ঠানটি।প্রতিষ্ঠানটির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ বাংলালিংক ডিজিটালে রবিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে এক পোস্টের মাধ্যমে গ্রাহকদের লোগো পরিবর্তনের কথা জানানো হয়েছে। ওই পোস্টে নতুন লোগোর ছবি প্রকাশ করে লেখা হয়েছে ‘নতুন বাংলালিংকের নতুন শুরু!’। একই সঙ্গে অপারেটির একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। সেখানে নতুন লোগো উন্মোচিত হতে দেখা যাচ্ছে।বাংলালিংক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, নতুন পরিচয় বাংলালিংকের মূল প্রতিষ্ঠান ভিওন গ্রুপের বৈশ্বিক লক্ষ্য সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতেও ভূমিকা রাখবে। ভিওনের লক্ষ্য ‘ডিজিটাল অপারেটর অ্যাম্বিশন’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ খাতের সেবা ও পরিসরকে ডিজিটালভাবে এবং গ্রাহকদের দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে আরও সমৃদ্ধ করা।২০০৫ সালে চালুর পর এই টেলিকম অপারেটরটি অন্তত পাঁচ বার লোগোতে পরিবর্তন এনেছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, যাত্রা শুরুর পরপরই বাংলালিংক তাদের ব্র্যান্ড পরিচয়ে বেছে নেয় দেশের জাতীয় প্রাণী রয়েল বেঙ্গল টাইগারের রং ও ডোরা। প্রথম লোগোটি ছিল কমলা রঙের একটি বর্গাকার ফ্রেম, তার ওপর বাঘের ডোরার নকশা এবং নিচে ছোট অক্ষরে লেখা বাংলালিংক। টেক্সটের রঙ ছিল কমলা ও সবুজ। একবছর পরেই লোগোতে প্রথম পরিবর্তন আনে প্রতিষ্ঠানটি। ওই সময়ে বাংলালিংক লেখাটি কমলা রঙের হয়ে যায়।কয়েক বছরের মধ্যেই আবারও বদলে ফেলা হয় লোগো। নতুন নকশায় আসে সাদা বর্ডারসহ থ্রি-ডি কমলা ব্যাকগ্রাউন্ডের ব্যবহার। প্রায় এক দশক ধরে এ থ্রি-ডি লোগোই ছিল বাংলালিংকের ব্র্যান্ড পরিচয়ের মূল অংশ।২০২০ সালের জুলাইতে বিশ্বব্যাপী মিনিমালিজমের প্রবণতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে এবার নকশাটিও হয় একেবারেই মিনিমাল— হেলভেটিকা ফন্টে লেখা, সাদাসিধে উপস্থাপন। পরিচিত কমলা ক্যানভাস থেকেও বাদ দেওয়া হয় গাঢ় বর্ডার; ক্যানভাসের ওপর ডোরার নকশা হয়ে ওঠে আরও বিমূর্ত ও অসামঞ্জস্যপূর্ণ।বর্তমানে যোগাযোগ, শিক্ষা, কাজ কিংবা বিনোদন—সব ক্ষেত্রেই মানুষ ডিজিটাল কানেকটিভিটির ওপর নির্ভরশীল। বাংলালিংকের নতুন এই ব্র্যান্ড পরিচয় উন্নততর ডিজিটাল সেবা দেওয়ার মাধ্যমে সমাজের ক্ষমতায়নে ভিওনের প্রচেষ্টার প্রতিফলন। ইন্টারনেট ব্রাউজ করা, বিনোদন উপভোগ, সেলফ-কেয়ার অ্যাপ ব্যবহার কিংবা প্রিয়জনের সঙ্গে যোগাযোগ এবং গ্রাহকের দৈনন্দিন জীবনের সব ধরনের ডিজিটাল অভিজ্ঞতাকে সহজ, নির্ভরযোগ্য ও অর্থবহ করতে নতুন এ ব্র্যান্ড ডিজাইন তৈরি করা হয়েছে।এ উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলালিংক নতুন এক যুগে প্রবেশ করেছে। অপারেটরটির লক্ষ্য শুধু নেটওয়ার্ক সেবা প্রদানকারী হিসেবে নয়, বরং গ্রাহকদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে দেশের কোটি মানুষকে সেবা প্রদান করা। বাংলালিংকের প্রতিটি সেবা শুরু হয় গ্রাহকের প্রয়োজন অনুধাবন করার মধ্য দিয়ে আর শেষ হয় তাদের প্রতিদিনের জীবনের প্রতিটি প্রয়োজন যত্নের সঙ্গে সমাধান করার মাধ্যমে।লোগো উন্মোচন অনুষ্ঠানে বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইওহান বুসে বলেন, ‘নতুন এই ব্র্যান্ড পরিচয় শুধু বাহ্যিক পরিবর্তন নয়। এটি আমাদের মূল প্রতিষ্ঠান ভিওনের ডিজিটাল অপারেটরের লক্ষ্য এবং আমাদের গ্রাহকদের জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যের সাহসী পুনর্ব্যক্তি। আমাদের নতুন পরিচয় গতি, উদ্ভাবন ও অগ্রগতির প্রতীক। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে আমরা নির্ভরযোগ্য সংযোগ আর সবার জন্য ডিজিটাল সেবা নিশ্চিত করতে চাই। মানুষের জীবনকে আরও সহজ করা এবং অন্যের জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক দৃষ্টান্ত তৈরি করাও আমাদের উদ্দেশ্য।’ইখা
স্যামসাংয়ের প্রথম মাল্টি-ফোল্ডিং ফোন উন্মোচন, টেক্কা দিতে চায় আইফোনকে
দক্ষিণ কোরিয়ার বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান স্যামসাং আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করেছে গ্যালাক্সি জেড ট্রাইফোল্ড মোবাইল ফোন। যা ট্রাই-ফোল্ড (তিনভাঁজ) স্মার্টফোন বাজারে কোম্পানির প্রথম পদক্ষেপ। ১০ ইঞ্চির ডায়নামিক অ্যামোলেড ডিসপ্লে ও শক্তিশালী হার্ডওয়্যারসহ এই ডিভাইসটি ফোল্ডেবল ফরম্যাটে ডেস্কটপ-স্তরের সুবিধা দেবে।ডিসেম্বরের ১২ তারিখে কোরিয়ায় বাজারে আসছে এই ডিভাইস; যুক্তরাষ্ট্রে এর উন্মোচন হবে ২০২৬ সালের প্রথম প্রান্তিকে। এর দাম অ্যাপলের নতুন আইফোন ১৭ এর প্রায় দ্বিগুণ—দুই হাজার ৪৪৩ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় তিন লাখেরও বেশি। তবে এর আগেও অন্যান্য ফোন নির্মাতা তিন বার ভাঁজ করা যায় (ট্রিপল ফোল্ডিং) এমন ফোন বাজারে এনেছে।স্মার্টফোনের প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকার জন্য নির্মাতারা নতুন নতুন ফিচার ও ডিজাইন চালুর উদ্যোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। তারই অংশ হিসেবে নতুন এই ফোন বাজারে এনেছে স্যামসাং।গত ১৪ বছর ধরে বিশ্বের শীর্ষ স্মার্টফোন নির্মাতার স্থানটি দখল করে রাখার সম্প্রতি জানা গেছে, শিগগির অ্যাপলের কাছে সিংহাসন হারাতে চলেছে স্যামসাং। এই পরিস্থিতিতে নতুন ফোনটি বাজারে আনছে স্যামসাং।আগামী বছরেই বাজারে ফোল্ডিং আইফোন আসছে—এমন গুজব বাজারে বেশ প্রচলিত।ডিজাইন ও ডিসপ্লে: গ্যালাক্সি জেড ট্রাইফোল্ড পুরোপুরি খোলা অবস্থায় পুরুত্ব ১২.৯ মিমি এবং ভাঁজের সবচেয়ে পাতলা অংশে মাত্র ৩.৯ মিমি। ওজন ৩০৯ গ্রাম। আগের ট্রাই-ফোল্ড ধারণার মতো অ্যাকর্ডিয়ন-স্টাইল নয়; বরং এটি দু’বার ভাঁজ খুলে বড় ডিসপ্লে তৈরি করে।বাইরের দিকে থাকা কেন্দ্রীয় প্যানেলটি ৬.৫ ইঞ্চির কভার ডিসপ্লে হিসেবে কাজ করে, আর ভেতরের ১০ ইঞ্চির বড় মূল প্যানেল একসঙ্গে পাঁচটি অ্যাপ চালানোর সুযোগ দেয়— যা মোবাইলে ‘ডেস্কটপ-সদৃশ’ মাল্টিটাস্কিং অভিজ্ঞতা তৈরি করে।পারফরম্যান্স ও শক্তি: ডিভাইসটিতে রয়েছে স্ন্যাপড্রাগন ৮ এলিট ফর গ্যালাক্সি চিপসেট এবং ১৬ জিবি র্যাম— যা ভারী মাল্টিটাস্কিং ও হাই-এন্ড অ্যাপ চালাতে মসৃণ পারফরম্যান্স নিশ্চিত করবে।বড় ভেতরের ডিসপ্লের বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে ফোনটিতে রয়েছে ৫,৬০০ এমএএইচ ক্ষমতার ট্রিপল-সেল ব্যাটারি।ক্যামেরা সক্ষমতা: স্যামসাং ট্রাইফোল্ড–এ যুক্ত করেছে ২০০ মেগাপিক্সেল মূল ক্যামেরা, ৩ গুণ অপটিক্যাল জুমসহ ১০ মেগাপিক্সেল টেলিফটো লেন্স এবং ১২ মেগাপিক্সেল আলট্রা-ওয়াইড ক্যামেরা। ফোল্ডেবল ফোনের দুর্বল ক্যামেরা নিয়ে সমালোচকদের জবাব দিতেই এ শক্তিশালী ক্যামেরা সিস্টেম যুক্ত করা হয়েছে। গ্যালাক্সি জেড ট্রাইফোল্ড কোরিয়ায় লঞ্চ হবে ১২ ডিসেম্বর। এরপর ধীরে ধীরে চীন, তাইওয়ান, সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও যুক্তরাষ্ট্রে ২০২৬ সালের শুরুতে উন্মোচিত হবে।কোরিয়ায় ডিভাইসটির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৩,৫৯০,৪০০ উন (প্রায় ২,৪৫০ ডলার)। যুক্তরাষ্ট্রে দাম হবে প্রায় ২,৫০০ ডলার।উচ্চমূল্যের এই ফোনের সঙ্গে স্যামসাং দিচ্ছে— একটি কেস, ৪৫ ওয়াট চার্জার, একবারের জন্য ৫০% ছাড়ে স্ক্রিন রিপ্লেসমেন্ট সুবিধা এবং ৬ মাসের গুগল এআই প্রো সাবস্ক্রিপশন।এইচএ
আইন-আদালত
সব দেখুন
পুলিশকে অত্যন্ত সতর্ক থাকার নির্দেশ
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস (১৪ ডিসেম্বর) ও মহান বিজয় দিবস (১৬ ডিসেম্বর) সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পুলিশকে অত্যন্ত সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে সম্মেলন কক্ষে সমন্বয় সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) মো. সরওয়ার।।জাতীয় দিবস দুটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনে এবং জাতীয় কর্মসূচিগুলো সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. সরওয়ার বলেন, সবাইকে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে। রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে জনবল মোতায়নে কোনো বিলম্ব করা যাবে না। সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার মধ্যে সমন্বয় রাখতে হবে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ দুটি গুরুত্বপূর্ণ দিবসকে কেন্দ্র করে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেবে।অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, আশা করি সবার সহযোগিতায় দিবস দুটি নির্বিঘ্নে উদ্যাপিত হবে। সবাইকে যথাযথভাবে নিজ নিজ পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে গুজব বা ভুয়া সংবাদ ছড়িয়ে জনমনে যেন বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।সমন্বয় সভার শুরুতে ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস্) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে আসন্ন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গৃহীত সার্বিক নিরাপত্তা পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন।এফএস
প্রবাস
সব দেখুন
মালয়েশিয়ায় কিশোরীকে ‘ধর্ষণের’ অভিযোগে বাংলাদেশি যুবক গ্রেফতার
মালয়েশিয়ায় ১৬ বছর বয়সি এক কিশোরীকে ‘ধর্ষণের’ অভিযোগে ৩১ বছর বয়সি এক বাংলাদেশি যুবককে গ্রেফতার করেছে দেশটির পুলিশ।সোমবার (৮ ডিসেম্বর) কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পরপরই ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়। ভুক্তভোগী কিশোরী বর্তমানে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানা গেছে।পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত যুবক নেগারি সেম্বিলান রাজ্যের তামান সেমারাকের একটি মুদি দোকানে কাজ করতেন। ভুক্তভোগী কিশোরীও একই দোকানে তার সহকর্মী ছিল।গত ৩০ এপ্রিল কিশোরীর মা তার মেয়ের শারীরিক পরিবর্তন লক্ষ্য করে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে যান। সেখানে পরীক্ষার পর জানা যায় কিশোরীটি সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা। পরবর্তীতে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের পরামর্শে ওই কিশোরীর পরিবার পুলিশের কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করে। নিলাই জেলা পুলিশ সুপার জোহরি ইয়াহইয়া এক বিবৃতিতে জানান, ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর অভিযুক্ত বাংলাদেশি যুবক মালয়েশিয়া থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে চলে গিয়েছিলেন। দীর্ঘ কয়েক মাস পর সোমবার (৮ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা ৪৪ মিনিটে তিনি পুনরায় মালয়েশিয়ায় প্রবেশের চেষ্টা করেন। তবে বিমানবন্দরের অ্যারাইভাল হলে পৌঁছাতেই আগে থেকে সতর্ক থাকা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত যুবক স্বীকার করেছেন যে মুদি দোকানে কাজ করার সময় তিনি ওই কিশোরীকে চারবার ‘ধর্ষণ’ করেছিলেন।পুলিশ সুপার জোহরি ইয়াহইয়া আরও জানান, অভিযুক্ত বাংলাদেশিকে রিমান্ডের আবেদনের জন্য মঙ্গলবার (৯ অক্টোবর) সেরেম্বান ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হবে। ঘটনার অধিকতর তদন্ত চলছে।আরডি
লাইফস্টাইল
সব দেখুন
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে যেসব খাবার এড়িয়ে চলা জরুরি
বর্তমান সময়ে খাবারের প্যাকেটে লেখা লো ফ্যাট, প্রাকৃতিক, মাল্টিগ্রেইন, চিনি মুক্ত—এসব শব্দ দেখে অনেকেই নিশ্চিন্ত হন। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধুমাত্র এই লেবেল দেখে খাবার বেছে নেওয়া বিপজ্জনক হতে পারে, বিশেষ করে যাদের ডায়াবেটিস বা প্রি-ডায়াবেটিস রয়েছে। রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাবারের প্রকৃত উপাদান জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।ময়দা দিয়ে তৈরি পিৎজা, বার্গার বান, নান বা ব্রেড শরীরে খুব দ্রুত চিনিতে রূপান্তরিত হয়, ফলে রক্তে শর্করা দ্রুত বেড়ে যায়।তাই এর বদলে মাল্টিগ্রেইন বা গোটা শস্যের রুটি ও ব্রেড খাওয়া ভালো। মিষ্টি দইকেও অনেকেই স্বাস্থ্যকর ভাবেন, কিন্তু এতে প্রচুর চিনি থাকে। এর পরিবর্তে সাদা দই বা গ্রিক দই নিয়ে তাতে ফল বা একটু দারুচিনি মেশানো স্বাস্থ্যকর বিকল্প। একইভাবে, ফলের রসেও ফাইবার থাকে না।এতে শুধু ফ্রুক্টোজ থেকে যায়, যা রক্তে শর্করা বাড়াতে পারে। এ ছাড়া কলা, মধু বা মিষ্টি দুধ দিয়ে তৈরি স্মুদি আরো ক্ষতিকর হতে পারে। তাই জুসের বদলে আস্ত ফল খাওয়াই ভালো।সকালের নাশতায় জনপ্রিয় কর্নফ্লেক্স, চকলেট সিরিয়াল বা গ্র্যানোলা বারেও থাকে প্রচুর পরিশোধিত চিনি ও কার্বোহাইড্রেট। এর বদলে ডালিয়া, ওটস, পোহা বা উপমার মতো দেশি এবং কম চিনিযুক্ত খাবার বেছে নেওয়া উচিত।শিঙারা, পাকোড়া, চিপস ও প্যাকেটজাত স্ন্যাকস তেল, কার্বস ও লবণে ভরপুর। এর পরিবর্তে ভাজা ছোলা, বাদাম বা এয়ার-ফ্রাইড স্ন্যাকস ভালো বিকল্প। চিনি-মুক্ত লেখা বিস্কুট বা মিষ্টিতেও চিনি অ্যালকোহল থাকতে পারে, যা রক্তে শর্করা বাড়ায় এবং পেটের সমস্যা তৈরি করে। তাই বাড়িতে খেজুর, নারকেল বা বাদাম দিয়ে তৈরি মিষ্টি বেশি উপকারী।পূর্ণ ফ্যাটযুক্ত দুধ, চিজ বা পনিরে স্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি থাকে, যা ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বাড়াতে পারে। এর বদলে স্কিমড দুধ বা লো-ফ্যাট পনির খাওয়া ভালো।সাদা চালও ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ, কারণ এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি। তাই ব্রাউন রাইস, বাজরা, জোয়ার বা কুইনোয়ার মতো শস্য ব্যবহার করা উচিত।কেক, পেস্ট্রি ও বেকারি পণ্যে চিনি, ময়দা ও ট্রান্স ফ্যাট থাকে। যা ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য ক্ষতিকর। এর বদলে ডার্ক চকলেট বা ওটস-বাদাম দিয়ে তৈরি ঘরোয়া মিষ্টিই নিরাপদ।সূত্র: এবিপিএবি
