লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর) আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত (হাতপাখা) প্রতিদ্বন্দ্বী মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ'র নির্বাচনী কাজে ব্যবহারের জন্য তার এক ভক্ত কোটি টাকা দামের একটি প্রাডো ব্র্যান্ডের গাড়ি উপহার দিয়েছেন।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে ঢাকা থেকে ড্রাইভ করে এনে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়নের আউলিয়ানগরস্থ ওই এমপি প্রার্থীর বাড়িতে নিয়ে পৌঁছে দেন।তবে নাম পরিচয় প্রকাশে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।সম্পুর্ন আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির জন্য গাড়িটি হুজুরকে দিয়ে তিনি ওমরাহ পালন করার জন্য পবিত্র মক্কায় চলে যাবেন বলে জানা গেছে।গাড়িটি মুলত আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণার কাজে ব্যবহারের জন্য দেওয়া হয়।
মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলা চেয়ারম্যান।এর আগে তিনি একটানা ওই উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়ন পরিষদের দুইবারের ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন।তিনি হযরত হাফেজ্জী হুজুর (রহ.) এর মেয়ের জামাতা ও খলিফা।আল্লাহওয়ালা,সৎ ও জনদরদি একজন আলেম চেয়ারম্যান হিসেবে এ অঞ্চলের সর্বশ্রেণীর মানুষের কাছে তিনি বেশ সমাদৃত। চালচলনে,পোশাক-আশাকে তিনি একেবারে সাদামাটা মানুষ হলেও জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালনে খুবই কঠোর।এলাকায় তিনি বেশ জনপ্রিয় আলেম নেতা।
একজন আলেম চেয়ারম্যান হিসেবে লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর) আসনে তিনি জনপ্রিয় ও সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি। ৭৫ বছর বয়সী প্রবীণ এ আলেম মানুষের কাছে পীর সাহেব কমলনগর নামে পরিচিত।দলীয় ভাবে তিনি চরমোনাই পীরের ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য।একজন ইসলামী রাজনৈতিক নেতা ও বার বার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে সারাদেশে তার রয়েছে ব্যাপক পরিচিতি।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি সমমনা ৮ দলের প্রার্থী হয়ে হাতপাখা প্রতীক নিয়ে লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন।
স্থানীয়রা জানান,প্রবীণ এই জনপ্রতিনিধির নির্বাচনে যে টাকা ব্যয় হয়,ওই টাকা নির্বাচনের সময় বিভিন্নজনের কাছ থেকে পাওয়া সহযোগিতা তার চেয়েও আরও বেশি পান।তবে এক টাকাও কাউকে তিনি দিতে বলেননি। মানুষ নিজের ইচ্ছাতেই দিচ্ছেন।আর অনেকেই নিজ উদ্যোগেই ব্যক্তিগতভাবে তার নির্বাচনের সময়ে শ্রম দিচ্ছেন।জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সাদামাটা পোশাক ও স্যান্ডেল পরে তিনি ঘুরে বেড়াচ্ছেন এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে।প্রচারণায় তিনি অন্য প্রার্থীদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। প্রবীণ এ আলেম চেয়ারম্যান বর্তমান সমাজব্যবস্থায় অন্যান্য চেয়ারম্যানসহ সমাজের বিত্তবানদের জন্য অনুকরণীয়। সমাজসেবায় তিনি সমাজের সম্মানিত ব্যক্তি। আলেম-উলামা ও জনসাধারণের জন্য উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। ঘুষ,দুর্নীতি ও জুলুমবাজদের বিরুদ্ধে তিনি বজ্র কঠিন। সারাদেশে রয়েছে তার অসংখ্য ভক্ত ও মুরিদ। স্থানীয়রা আরও জানান, নির্বাচন ঘনিয়ে আসলেই হুজুরের ভক্ত মুরিদানরা আরও গাড়ি ও টাকা নিয়ে স্বেচ্ছায় শ্রম দেওয়া শুরু করবে।
মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন,আমি ও আমার নেতাকর্মীরা যে নিয়তে নামাজ পড়ি,রোজা রাখি অন্যান্য ইবাদত করি,ঠিক সেই নিয়তেই রাজনীতি করি। রাজনীতিটাকে আমরা ইবাদত মনে করেই করি।তাই মানুষের সেবা করাও একটা ইবাদত।জনসেবা ও জনগণের খেদমত করাটা অন্যান্য ইবাদতের চেয়ে উত্তম ইবাদত।মানুষ ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে চায়।
আর আল্লাহর নৈকট্য লাভ করার সবচেয়ে উত্তম পদ্ধতি হলো জনসেবা করা।দুইবার ইউপি চেয়ারম্যান ছিলাম,একবার উপজেলা চেয়ারম্যান হয়েছে।ঘুষ দুর্নীতি চিরতরে উৎখাত করতে এবার সংসদ নির্বাচন করবো ইনশাআল্লাহ।কিছু আল্লাহর বান্দা হয়তো দীনি কাজে শরীক হতে এমন উদ্যোগ নিয়েছেন।আমার নির্বাচন আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন করার জন্য। এতে দুনিয়ার কোন উদ্দেশ্য নেই।
এনআই