সরকারী রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে প্রতিনিয়ত কক্সবাজারের গভীর সমুদ্র পথ দিয়ে অবৈধ পন্থায় মিয়ানমারে পাচার হচ্ছে দেশীয় পণ্য ও নির্মাণ সামগ্রী।
তথ্য সুত্র বলছে, আড়ালে থাকা মাদক ব্যবসায়ীরা দেশীয় পণ্যের বিনিময়ে মিয়ানমার থেকে নিয়ে আসছে ইয়াবা ও আইসের চালান। পাশাপাশি ন্যায্যমূল্যের চেয়ে চার গুণ মূনাফা লাভ হওয়ার কারণে কারবারিরা তাদের অপকর্ম অব্যাহত রেখেছে।
এদিকে সাগর পথে চোরাকারবারীদের চলমান এই অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধ করার জন্য দেশীয় জলসীমায় দায়িত্বরত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদস্যরা সদা প্রস্তুত থেকে তাদের চলমান অভিযানিক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।
উক্ত বাহিনীর হাতে দেশীয় পণ্য বোঝাই ট্রলারসহ পাচারকারী চক্রের সদস্যদের আটক হওয়ার চিত্রও চোখে পড়ার মতো।
এবিষয়ে টেকনাফের সুশীল সমাজের ব্যক্তিরা আক্ষেপ প্রকাশ করে সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, সাগর পথে ফিশিং দেশীয় পণ্য বোঝাই ট্রলারসহ আটক হওয়া ব্যক্তিরা উক্ত ট্রলার গুলোতে কর্মরত মাঝিমাল্লা।
তাদের দাবি অবৈধ পন্থায় মিয়ানমারে দেশীয় পণ্য পাচার করে তার বিনিময়ে মাদকের চালান নিয়ে বাংলাদেশে নিয়ে আসা মূল হোতারা বারংবার থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।
পর্দার অন্তরালে থাকা আসল চোরাকারবারীদের আইনের আওতায় নিয়ে না আসলে অবৈধ পন্থায় এই পাচার কার্যক্রম প্রতিরোধ করা সম্ভব হবেনা বলেও জানান তারা।
তারেই ধারাবাহিকতায় ১৭ ডিসেম্বর (বুধবার) বিকালের দিকে সময়ের কণ্ঠস্বরকে নৌবাহিনীর মিডিয়া সেলের দায়িত্বরত কর্মকর্তা গভীর সমুদ্র পথ থেকে দেশীয় সিমেন্ট বোঝাই দুটি ট্রলারসহ ২৩ জনকে আটক করার তথ্য নিশ্চিত করে একটি প্রেস বার্তা পাঠিয়েছেন।
তিনি জানান ১৬ ডিসেম্বর,কক্সবাজারের কুতুবদিয়া গভীর সমুদ্র পয়েন্ট থেকে ৪৫ কিলোমিটার অদূরে টেকনাফের সেন্টমার্টিনের গভীর সাগরে হয়ে মিয়ানমারে প্রবেশ করার আগে দেশীয় জলসীমায় দায়িত্বরত বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ শহীদ মহিবুলাহ দেশীয় পণ্য বহনকারী এফবি আজিজুল হক’ এবং ‘এফবি রুনা আক্তার’ নামক দুটি ফিশিং ট্রলারে তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করে, ১৭৫০ বস্তা দেশে তৈরি ডায়মন্ড সিমেন্ট উদ্ধার ও ২৩ জন পাচারকারীকে আটক করতে সক্ষম হয়। এসময় তাদের ব্যবহৃত ৩২ টি মোবাইল ফোনও জব্দ করা হয়।
উদ্ধারকৃত মালামাল, বহনকারী দুটি ফিশিং ট্রলার ও আটককৃত ২৩ পাচারকারীকে বিরুদ্ধে মামলা দায়ের সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান নৌবাহিনী।
এসআর