বিভিন্ন মেয়াদে জেল খেটে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে বেনাপোল চেকপোষ্ট দিয়ে দেশে ফিরেছেন ২৪ জন বাংলাদেশি নারী-পুরুষ ও শিশু। এদের মধ্যে ৫ জন নারী, ৩ জন শিশু ও ১৬ জন পুরুষ রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার সময় পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করে।
ফেরত আসরা হলেন- সোনিয়া বেগম, পারভীন খাতুন, লাবনী আক্তার সুমাইয়া, ফাহিমা খাতুন, জুবাইদা খাতুন, বকুল বেগম, জবেদা বেগম, কুলসুম আক্তার, রিয়াজ তালুকদার, জুবাইয়ের আসলাম, পারভেজ, ইউসুফ খান, ইয়ামিন, সুজন সর্দার, ইলিয়াছ খান, আব্দুল সালাম হাওলাদার, মুকুল, ইব্রাহিম হাওলাদার, ফজলু হাওলাদার, মারুফ হাওলাদার , মিজানুর রহমান হাওলাদার, কাইয়ুম মিয়া, জাফর আহমেদ ও ইয়াসিন তালুকদার। এরা নড়াইল, বাগেরহাট, বরিশাল, পিরোজপুর, খুলনা ও রংপুর জেলার বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা। এদের মধ্যে অধিকাংশই স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানসহ রয়েছেন।
ফেরত আসা সোনিয়া বেগম জানান, তারা দালালদের মাধ্যমে ভালো কাজের আশায় ভারতে পাড়ি জমান প্রায় তিন বছর আগে। এরপর সে দেশের পুলিশের কাছে আটক হয়ে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়। সেখানে এক বছর জেল খাটার পর সেদেশের বেসরকারী এনজিও সংস্থা তাদের ছাড়িয়ে নিজেদের শেল্টার হোমে রাখে। এরপর দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের যোগাযোগের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে দেশে ফেরত আসেন তারা। তারা ভারতের তামিলনাড়ু প্রদেশের সালেম জেলার আত্তুর এলাকার একটি শেল্টার হোমের হেফাজতে ছিলেন।
বেনাপোল চেকপোস্ট পুলিশ ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘ফেরত আসা বাংলাদেশি নারী-পুরুষরা ভালো কাজের আশায় তারা বিভিন্ন সীমান্তে দিয়ে ভারত গিয়ে আটক হন। ইমিগ্রেশন এর আনুষ্ঠানিকতা শেষে এদেরকে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়।’
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘থানার আনুষ্ঠানিক কাজ শেষে এদেরকে বেসরকারী এনজিও সংস্থা জাস্টিস এন্ড কেয়ার এর নিকট হস্তান্তর করা হয়।’
বেসরকারী সংস্থা জাস্টিস এন্ড কেয়ার এর এরিয়া কোয়ার্ডিনেটর শফিকুর রহমান বলেন, ‘ফেরত আসাদের আমরা যশোর নিয়ে নিজ শেল্টার হোমে রাখব । এরপর সেখান থেকে তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’
ইখা