জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের পাশেই সমাহিত হবেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই বিপ্লবী শহিদ ওসমান হাদি।
আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সাড়ে ১১টায় শহিদ ওসমান হাদির কবর খোঁড়ার কাজ শুরু করা হয়।
এর আগে, শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের জরুরি অনলাইন বৈঠকে জুলাই বিপ্লবী ওসমান হাদির মরদেহ কাজী নজুরুলের কবরের পাশেই সমাহিত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সাইফুদ্দীন আহমদ।
তিনি বলেন, ওসমান হাদির পরিবার, ডাকসু এবং ক্যাবিনেট সদস্যদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে জরুরি সিন্ডিকেট সভা ডাকা হয়। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে নজরুল সমাধি প্রাঙ্গণে খালি থাকা নির্দিষ্ট স্থানে ওসমান হাদির দাফনস্থল নির্ধারণ করা হয়।
এদিকে শহিদ ওসমান হাদির মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য নেয়া হয়েছে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। আজ দুপুর দুইটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় শহিদ ওসমান হাদির নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের পর রাজধানীর বিজয়নগরের বক্স কালভার্ট রোড এলাকায় মোটরসাইকেলে আসা দুই সন্ত্রাসীর গুলিতে গুরুতর আহত হন ওসমান হাদি। ওই সময় রিকশায় থাকা অবস্থায় তার মাথায় গুলি লাগে। ঘটনার পর প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। একপর্যায়ে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরবর্তীতে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওসমান হাদিকে সরকারিভাবে সিঙ্গাপুরে নেয়া হয়। তবে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে (এসজিএইচ) মৃত্যুবরণ করেন তিনি। তার মৃত্যুর ঘটনায় হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে দেশজুড়ে তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে।
সবশেষ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ওসমান হাদির মরদেহ দেশে আসে। বর্তমানে তার মরদেহ জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। শনিবার জোহরের নামাজের পর রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে ওসমান হাদির জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে সমাহিত হবেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এই সম্মুখযোদ্ধা।
এইচএ