যশোরে হত্যাসহ ১৪ মামলার আসামি জাহিদ হোসেন মিলন ওরফে ‘টাক মিলন’ আটক হয়েছেন। শুক্রবার ১৯ ডিসেম্বর) গভীর রাতে ঢাকার রামপুরা থেকে ডিবি পুলিশ তাকে আটক করে। মিলন যশোর শহরের পুরাতন কসবার রোস্তম আলীর ছেলে ও যশোর জেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক। গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।
জানা গেছে, জাহিদ হোসেন মিলন ‘সন্ত্রাসীদের গডফাদার’। ক্ষমতার দাপটে অবৈধ অর্থে তিনি কোটিপতি বনে যান। তার নেতৃত্বে টোকাইরা পালবাড়ি ভাস্কর্য মোড়ে ইজিবাইক থেকে চাঁদাবাজি, থ্রি হুইলার চালকদের কাছ থেকে নিয়মিত টাকা আদায় করতো। পালবাড়ির রয়েল কমিউনিটি সেন্টারে ক্যাসিনো জুয়া বোর্ড নিয়ন্ত্রণ করতেন মিলন। তাকে শেল্টার দিতেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি শাহীন চাকলাদার।
গত ২০২০ সালের ১২ জানুয়ারি ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানে দুবাই থেকে স্ত্রী, সন্তান নিয়ে দেশে ফেরার পথে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটক হন টাক মিলন। পুলিশ ২০২৪ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারি মধ্যপ অবস্থায় তিন সহযোগিসহ মিলনকে আটক করে।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, টাক মিলনের বিরুদ্ধে হত্যাসহ ১৪ টি মামলা রয়েছে। ২০১৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে শহরের পুরাতন কসবা কাজীপাড়া এলাকার যুবলীগ কর্মী শরিফুল ইসলাম সোহাগকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ২০১৯ সালের ২৭ জানুয়ারি রাতে যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের বাড়িতে বোমা হামলার ঘটনায় জড়িত ছিলেন এই টাক মিলন।
যশোর ডিবি পুলিশের ওসি মোহাম্মদ আলী জানান, বিগত দিনে মিলনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারে অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। কয়েকটি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি ছিলো। গোপন খবরের ভিত্তিতে ডিবির একটি টিম ঢাকার রামপুরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।
ইখা