জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদিকে অশ্রুসিক্ত বিদায় জানালেন লাখো জনতা।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় লাখো জনতার অংশগ্রহণে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তার বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক নামাজে ইমামতি করেন। জানাজায়, প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ স্থানীয় নেতারা অংশগ্রহণ করেন।
এদিকে, শহীদ হাদির নামাজে জানাজাকে কেন্দ্র করে জনসমুদ্রে পরিণত হয় জানাজাস্থল জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকা।
শহীদ হাদিকে দ্রোহের প্রতীক বলে সম্বোধন করেছেন জনপ্রিয় ইসলামী আলোচক মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি বলেছেন, দ্রোহের প্রতীক শহীদ ওসমান হাদির রাজকীয় বিদায়। ধূমকেতুর মতো এলেন। ন্যায় ও ইনসাফের বলিষ্ঠ কণ্ঠ হিসেবে গোটা জনপদে বিপ্লবের দাবানল ছড়িয়ে হঠাৎ রবের সান্নিধ্যে চলে গেলেন। নিশ্চয়ই আসমানে আমার ভাইকে এর চাইতেও বড় রাজকীয় অভ্যর্থনা জানানোর আয়োজন চলছে।
তিনি বলেন, জুমার নামাজের পরপরই গুলিবিদ্ধ, আবার পরের জুমার রাতেই শাহাদাত বরণ! পেয়েছেন কোটি মানুষের কান্না মিশ্রিত দোয়া। সুবহানাল্লাহ! এ এক পরম সৌভাগ্য!
সবশেষে আজহারী বলেন, ইনশাআল্লাহ ওসমান হাদি বেঁচে থাকবেন সহস্র মুক্তিকামী মানুষের ভালোবাসায়। অনুপ্রেরণা জোগাবেন প্রজন্ম হতে প্রজন্ম। সাহসের বাতিঘর হয়ে থাকবেন অগণন মানুষের হৃদয়ে।
এসআর