যুদ্ধবিরতির পর মানবিক সাহায্যের প্রবাহ বাড়ায় গাজায় আর দুর্ভিক্ষ নেই বলে ঘোষণা দিয়েছে জাতিসংঘ সমর্থিত ক্ষুধা পর্যবেক্ষক সংস্থা। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এই ঘোষণা দেয় সংস্থাটি।
সংস্থাটি জানিয়েছে, অক্টোবর মাসে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হওয়ার পর মানবিক সহায়তা এবং বাণিজ্যিক খাদ্য সরবরাহে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি ঘটেছে। খবর সিএনএন’র
ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন (আইপিসি) বলেছে, ‘সংঘাত উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়ার কারণে, প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনা এবং মানবিক ও বাণিজ্যিক খাদ্য সরবরাহের যথেষ্ট সরবরাহ হওয়ায় গাজা উপত্যকায় খাদ্য নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। এখন কোনো এলাকাতেই দুর্ভিক্ষের মতো অবস্থা নেই।’
পর্যবেক্ষক সংস্থা সতর্ক করে দিয়েছে, যে কোনো সময় পরিস্থিতি আবার খারাপ হতে পারে। যদি নতুন করে যুদ্ধ শুরু হয় এবং মানবিক ও বাণিজ্যিক সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়, তবে উত্তর গাজা, গাজা গভর্নরেট, দেইর আল-বালাহ ও খান ইউনিস অঞ্চলগুলো ২০২৬ সালের এপ্রিলের মধ্যেই দুর্ভিক্ষের ঝুঁকির মুখোমুখি হতে পারে।
এদিকে, আগস্ট মাসে ইসরাইল তীব্রভাবে গাজায় দুর্ভিক্ষের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেছিল যে, তারা উপত্যকায় ত্রাণ পৌঁছানোর জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। এদিকে, গাজায় ত্রাণ বিতরণের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইসরাইলি সংস্থা দ্য কোঅর্ডিনেশন অফ গভর্নমেন্ট অ্যাক্টিভিটিজ ইন দ্য টেরিটরিজ জানিয়েছে, প্রতিদিন ৬০০-৮০০টি ত্রাণ ট্রাক গাজা উপত্যকায় প্রবেশ করে, যার মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশ খাদ্য বহন করে।
আরডি