এইমাত্র
  • ওসমান হাদির জানাজায় তিন স্তরে নিরাপত্তা তল্লাশি
  • যশোরে মিলছে না বিনামূল্যের দামি ইনজেকশন
  • টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য শ্রীলঙ্কার প্রাথমিক দল ঘোষণা
  • শহীদ হাদির জানাজা পড়াবেন বড় ভাই
  • জামাতে নামাজ আদায় করে পুরস্কৃত হলেন ১৯জন
  • হিমেল হাওয়ায় ফুলবাড়ীতে জনজীবন বিপর্যস্ত
  • ময়নাতদন্ত সম্পন্ন, শেষ গোসলের জন্য হৃদরোগ হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে হাদিকে
  • গ্যাস সংকটে অস্তিত্ব হুমকির মুখে ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প
  • কবি নজরুলের পাশেই সমাহিত হবেন হাদি, খোঁড়া হচ্ছে কবর
  • সুদানে নিহত ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর মরদেহ দেশে পৌঁছেছে
  • আজ শনিবার, ৬ পৌষ, ১৪৩২ | ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫
    শিক্ষাঙ্গন

    হাদিকে নিয়ে ইবি শিক্ষকের আপত্তিকর পোস্ট, বহিষ্কারের দাবি

    ক্যাম্পাস প্রতিনিধি প্রকাশ: ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৩১ এএম
    ক্যাম্পাস প্রতিনিধি প্রকাশ: ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৩১ এএম

    হাদিকে নিয়ে ইবি শিক্ষকের আপত্তিকর পোস্ট, বহিষ্কারের দাবি

    ক্যাম্পাস প্রতিনিধি প্রকাশ: ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৩১ এএম

    জুলাইযোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে নিয়ে ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট করার অভিযোগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) পরিসংখ্যান ও উপাত্ত বিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষকের বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন বিভাগটির শিক্ষার্থীরা। পোস্টকারী ওই শিক্ষক বিভাগটির সহযোগী অধ্যাপক আলতাফ হোসেন।

    শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শিক্ষার্থীরা তার রুমে ভাঙচুর চালায় এবং তার বহিষ্কারের দাবি জানান। এর আগে বিকেল সাড়ে ৪টায় একই দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য বিভাগের নারী শিক্ষার্থীরাও প্রশাসন ভবনের সামনে মানববন্ধন করেন।

    পোস্টকারী শিক্ষক আলতাফ হোসেন বর্তমানে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। তিনি বৃহস্পতিবার রাতে ওসমান হাদির মৃত্যুর সংবাদের পর প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার প্রত্রিকার অফিস ভাঙচুরের ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেন। ওই পোস্টে তিনি ওসমান হাদিকে ‘জংলী পুলা’ বলে সম্বোধন করেন। পোস্টে তিনি লিখেন, ‘আওয়ামী লীগের অফিস ভাংচুরের সময় বললেন ১৫ বছরের শাসনের ক্ষোভ। ৩২ ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের সময়ও তাই বললেন। আজ প্রথম আলো জ্বালিয়ে দিয়েছে, এখন কি বলবেন? ওসমান হাদির মতো একটা জংলী পুলার জন্য এত আবেগ তুললে যা হওয়ার তাই হয়েছে। এখনো যারা আক্রান্ত হয় নাই, ভাবছেন বেঁচে গেছেন? না, ধীরে ধীরে সবাই আক্রান্ত হবেন। প্রথম আলো জ্বালিয়ে দেওয়ার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমি এই পত্রিকার অনেক কিছুর সাথে দ্বিমত করলেও সংবাদ মাধ্যমে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ গণমাধ্যম। এই গণমাধ্যম টিকিয়ে রাখতে হবে।’

    এ ঘটনায় ক্যাম্পাসজুড়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। প্রতিবাদে শুক্রবার সন্ধ্যায় শিক্ষার্থীরা বিভাগে গিয়ে তার রুমের সামনে থাকা তার নামফলকটি ভেঙে ফেলেন এবং রুমের তালা ভেঙে ভিতরে থাকা বিভিন্ন অসবাবপত্র ভাঙচুর করেন।

    বিভাগটির শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘ওসমান হাদি ভাইকে নিয়ে আমাদের বিভাগের শিক্ষক আলতাফ হোসেন ফেসবুকে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন। তাকে শিক্ষক বলতেও আমাদের লজ্জা হয়। গত তিন বছর তিনি বিদেশে আছেন। তার ছুটি শেষ হলেও দেশে ফেরেন নাই। দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থেকেও তিনি কিভাবে চাকরিতে বহাল রয়েছে প্রশাসনের কাছে আমরা জানতে চাই। ফ্যাসিস্টের কোনো দোসরকে ছাড় দেওয়া যাবে না। শনিবারের মধ্যে প্রশাসনকে তার বিরুদ্ধে গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে পরিষ্কার জবাব দিতে হবে।’

    এদিকে মানববন্ধনে নারী শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘ওসমান হাদিকে নিয়ে কটুক্তি শুধু একজন শহীদের অবমাননা নয়, এটি দেশের জন্য আত্মত্যাগ এবং সমগ্র জাতির সম্মানের উপর সরাসরি আঘাত। আমরা তার স্থায়ী বহিষ্কার চাই।’

    এর আগে ওসমান হাদির হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার বাদ জুমা ক্যাম্পাসের বটতলায় গায়েবানা জানাজা শেষে সেখান থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশে শাখা ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দরা বক্তব্য দেন। এসময় তারা দ্রুত হাদির খুনীদের বিচার নিশ্চিত ও ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে সবাইকে একজোট হয়ে লড়াইয়ের আহ্বান জানান। এসময় শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এক সপ্তাহের আল্টিমেটাম দিয়েছেন।

    ইখা

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…